কলকাতা, 15 মে : কিছুদিন আগে দ্রুত নিয়োগের দাবিতে সোশাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করে বাড়িতে বসে আন্দোলন করেছিলেন আপার প্রাইমারির চাকরিপ্রার্থীরা । এবার সেই পথ অনুসরণ করে বাড়িতে বসে প্রতিবাদ জানালেন প্রাথমিক স্তরের শিক্ষক পদপ্রার্থীরা । তাঁদের দাবি, দ্রুত 2017 সালের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী প্রাথমিকের TET(টিচার্স এলিজিবিলিটি টেস্ট)-র দিন ঘোষণা করুক সরকার ।
রাজ্যে শেষ TET পরীক্ষা হয়েছিল 2015 সালে । তার দুই বছর পর 2017 সালে প্রাথমিক TET পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ । ফার্স্ট থেকে ক্লাস ফাইভ পর্যন্ত শিক্ষক পদের জন্য TET পরীক্ষার সেই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, 2017 সালের অক্টোবর মাসে আবেদন করেন লক্ষাধিক প্রার্থী । কিন্তু, আবেদন করাই সার । দীর্ঘ তিন বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও এখনও হয়নি TET পরীক্ষা । 2017-র TET নিয়ে তৈরি হয়েছিল বেশ কিছু আইনি জটিলতাও । সেগুলি কাটিয়ে এই বছর TET পরীক্ষা হওয়ার ইঙ্গিত মিলেছিল ।
স্কুল শিক্ষা দপ্তর সূত্রে জানা গেছিল, পৌরনিগমের ভোটের পর TET পরীক্ষা হতে পারে । কিন্তু, এখানেও বাদ সাধে কোরোনা । COVID-19 প্রতিরোধে শুরু হয়ে যায় লকডাউন । ফলে, অন্যান্য সব নিয়োগের মতো প্রাথমিক TET-এর ভবিষ্যৎও অনিশ্চিত হয়ে পড়ে । সেই কারণে লকডাউন ওঠার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে রাজ্য সরকার যাতে TET পরীক্ষার দিন ঘোষণা করে সেই দাবিতে বাড়িতে বসে আন্দোলনের ডাক দেয় পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক চাকরিপ্রার্থী মঞ্চ ।
আন্দোলনের ডাকে সাড়া দিয়ে শুক্রবার সকাল 10টা থেকে বিকেল 5টা পর্যন্ত সোশাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করে নিজেদের দাবি তুলে ধরলেন প্রাথমিক TET-এর আবেদনকারী প্রার্থীরা । কোরোনা ভাইরাস প্রতিরোধের নিয়ম মেনে নিজের বাড়িতে মুখে মাস্ক পরে, দাবি লেখা প্ল্যাকার্ড, কাগজ হাতে তুলে নিয়ে প্রতিবাদ জানান তাঁরা । সেই ছবি আপলোড করা হয় সোশাল মিডিয়ায় । কেউ লিখেছেন, "তিন বছর আগে প্রাইমারি টেটের ফর্ম ফিলআপ হলেও এখনও পরীক্ষার দিন ঘোষণা করা হল না । মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর কাছে আবেদন, দ্রুত পরীক্ষার দিন ঘোষণা করে, নিয়োগ সম্পূর্ণ করে আমাদের বেকারত্বের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিন ।"
আবার কেউ একহাতে একটা থালা ধরা ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, "কোন রাস্তায় যাব আমরা দিদি? তুমি বলে দাও ।" আবার কেউ লিখেছেন, "মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী, তিন বছর হয়েছে প্রাইমারির ফর্ম ফিলআপ করা । এবার কোরোনার পর পরীক্ষা নিয়ে মুক্তি দিন ।" তবে, মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর প্রোফাইলে কমেন্ট করার অপশন বন্ধ করে দেওয়ায় আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থীদের মতো নিজেদের প্রতিবাদের ছবি সেখানে পোস্ট করতে পারেননি তাঁরা ।