কলকাতা, 19 জুন : সারদা মামলায় আট বছর পর জামিন পেলেন দেবযানী মুখোপাধ্যায় ৷ 2013 সালে সারদা চিটফান্ড কাণ্ডে গ্রেফতার হন সুদীপ্ত সেনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী দেবযানী ৷ সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেছিলেন তিনি ৷ শনিবার কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল ও বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ সেই আবেদন মঞ্জুর করে ৷ তবে জামিন পেলেও এখনই জেলবন্দি জীবন থেকে মুক্তি পাবেন না দেবযানী ৷ কারণ, ভিন রাজ্যে এখনও তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা চলছে ৷ সেগুলিতে এখনও জামিন পাননি তিনি ৷
দেবযানীর আইনজীবী জয়ন্তনারায়ণ চট্টোপাধ্যায়ের যুক্তি ছিল, যাঁরা এই মামলার প্রধান অভিযুক্ত, তাঁদের মধ্যে অনেকেই ইতিমধ্যেই জামিন পেয়ে গিয়েছেন ৷ অন্যদিকে, দেবযানী মুখোপাধ্যায় সারদার একজন কর্মচারী ছিলেন মাত্র ৷ তা সত্ত্বেও তাঁকে এত দিন জেলে আটকে রাখা হয়েছে ৷ এর বিরোধিতা করেছিলেন জয়ন্তনারায়ণ ৷
আরও পড়ুন : সারদা মামলায় ইডির জেরার মুখোমুখি বাপি করিম
একইসঙ্গে করোনা পরিস্থিতির কথাও উল্লেখ করেছিলেন দেবযানীর আইনজীবী ৷ গত মঙ্গলবার মামলার শুনানিতে সিবিআই দেবযানীর জামিন সংক্রান্ত মামলা পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে ৷ কিন্তু প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ সিবিআইয়ের সেই আর্জি খারিজ করে দেয় ৷ গত বুধবারই এই মামলার শুনানি শেষ হয়েছিল ৷ তারপর এদিন জামিনের আবেদন মঞ্জুর করল আদালত ৷
প্রসঙ্গত, সুদীপ্ত সেনের মালিকানাধীন সারদা গ্রুপ অফ কোম্পানিজের (Saradha group of companies) ডিরেক্টর ছিলেন দেবযানী ৷ 2013 সালের 23 এপ্রিল শ্রীনগর থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয় ৷ তাঁর সঙ্গে গ্রেফতার হন সুদীপ্ত সেনও ৷ এরপর শুরু হয় মামলা ৷ পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি ঝাড়খণ্ড এবং ওড়িশাতেও দেবযানীর বিরুদ্ধে আর্থিক জালিয়াতির অভিযোগ ছিল ৷
আরও পড়ুন : সারদা মামলায় প্রাক্তন আইপিএস দেবেন্দ্রনাথ বিশ্বাস এবং বাপি করিমকে তলব করল ইডি
এইসব অভিযোগের ভিত্তিতেই একাধিক মামলা রুজু করা হয় ৷ পশ্চিমবঙ্গে দেবযানীর বিরুদ্ধে যে মামলাগুলি চলছে, সেগুলিতেই এদিন তাঁর জামিন মঞ্জুর করে কলকাতা হাইকোর্ট ৷ কিন্তু এখনও ওড়িশার ভুবনেশ্বরে বিশেষ সিবিআই আদালতে দেবযানীর বিরুদ্ধে চলা একাধিক মামলার মীমাংসা হয়নি ৷ সেই মামলাগুলিতে জামিনও পাননি দেবযানী ৷ এছাড়া, ঝাড়খণ্ডে রুজু হওয়া মামলাগুলিও ঝুলে রয়েছে ৷ তাই এ রাজ্যে চলা মামলাগুলিতে জামিন পেলেও আপাতত জেল থেকে ছাড়া পাচ্ছেন না তিনি ৷ আগের মতোই আলিপুরের মহিলা সংশোধনাগারে থাকতে হবে তাঁকে ৷