ETV Bharat / city

মিষ্টির দোকানে 16 ঘণ্টা পড়ে রইল কোরোনা আক্রান্তের মৃতদেহ !

নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে না পাওয়ায় মিষ্টির দোকানেই পড়ে রইল কোরোনা আক্রান্ত মালিকের মৃতদেহ। আজ সকালে ওই ব্যক্তির বাড়িতে রিপোর্ট পৌঁছানোর পর স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হয়।

Coronavirus
Coronavirus
author img

By

Published : Jul 3, 2020, 3:42 AM IST

Updated : Jul 3, 2020, 6:25 AM IST

কলকাতা, 2 জুলাই: সোয়াবের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসতে দেরি হওয়ায় আমহার্স্ট স্ট্রিটের ঘটনারই প্রায় পুনরাবৃত্তি হল উত্তর কলকাতার গৌরিবাড়িতে । রিপোর্ট না পাওয়ায় রাতভর মিষ্টির দোকানেই পড়ে রইল কোরোনা আক্রান্ত মালিকের মৃতদেহ । রিপোর্ট আসার পর স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে মৃতদেহ সৎকারের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।

গৌরিবাড়ির ওই মিষ্টির দোকানের মালিকের বাড়ি সিঙ্গুরে । তিনি প্রতিদিন বাড়ি ফিরতেন না ৷ কর্মচারীদের সঙ্গেই দোকানে থাকতেন । কয়েক সপ্তাহ আগে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি । শরীরে কোরোনার উপসর্গ দেখা দেওয়ায় 29 জুন একটি বেসরকারি ল্যাবরেটরি থেকে নমুনা পরীক্ষা করেন । গতকাল বিকেলে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয় । কিন্তু নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট না পাওয়ায় চিকিৎসকরা ডেথ সার্টিফিকেট দিতে অস্বীকার করেন ।

হাসপাতাল থেকে দেহ ফিরিয়ে আনা হয় । স্থানীয় এক চিকিৎসকের কাছ থেকে ডেথ সার্টিফিকেট লেখাতে গেলে তিনিও রিপোর্ট পাওয়ার আগে সার্টিফিকেট দিতে অস্বীকার করেন । নিরুপায় হয়ে কর্মীরা মৃতদেহ দোকানে রেখে নিজেরা বাইরে শুয়ে পড়েন । দোকানের ভিতরেই 16 ঘণ্টা পড়ে থাকে মৃতদেহ । আজ সকালে ঘটনাটি জানাজানি হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা ।

ওই ব্যক্তি বেসরকারি ল্যাবে সিঙ্গুরের বাড়ির ঠিকানা দেওয়ায় আজ সকালে সেখানেই নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পৌঁছায় । রিপোর্টে জানা যায়, তিনি কোরোনা আক্রান্ত ছিলেন । এরপরই স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মীরা এসে মৃতদেহ নিয়ে যান।

কোরোনা আক্রান্তের মৃতদেহ সারারাত এভাবে পড়ে থাকায় স্বাস্থ্য দপ্তরের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে । প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, কোনও ব্যক্তির যদি কোরোনা উপসর্গ থাকে তবে যাবতীয় নির্দেশিকা মেনে মৃতদেহ সৎকার করতে হবে । নমুনার রিপোর্ট হাতে না পেলে চিকিৎসকরা কীভাবে ডেথ সার্টিফিকেট দেবেন ? সাধারণ ডেথ সার্টিফিকেট দিলে মৃতদেহটিকে প্রথাগতভাবে সৎকারের জন্য শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হবে তা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। তাই রিপোর্ট হাতে না পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা ছাড়া কোনও উপায় ছিল না।

কলকাতা, 2 জুলাই: সোয়াবের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসতে দেরি হওয়ায় আমহার্স্ট স্ট্রিটের ঘটনারই প্রায় পুনরাবৃত্তি হল উত্তর কলকাতার গৌরিবাড়িতে । রিপোর্ট না পাওয়ায় রাতভর মিষ্টির দোকানেই পড়ে রইল কোরোনা আক্রান্ত মালিকের মৃতদেহ । রিপোর্ট আসার পর স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে মৃতদেহ সৎকারের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।

গৌরিবাড়ির ওই মিষ্টির দোকানের মালিকের বাড়ি সিঙ্গুরে । তিনি প্রতিদিন বাড়ি ফিরতেন না ৷ কর্মচারীদের সঙ্গেই দোকানে থাকতেন । কয়েক সপ্তাহ আগে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি । শরীরে কোরোনার উপসর্গ দেখা দেওয়ায় 29 জুন একটি বেসরকারি ল্যাবরেটরি থেকে নমুনা পরীক্ষা করেন । গতকাল বিকেলে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয় । কিন্তু নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট না পাওয়ায় চিকিৎসকরা ডেথ সার্টিফিকেট দিতে অস্বীকার করেন ।

হাসপাতাল থেকে দেহ ফিরিয়ে আনা হয় । স্থানীয় এক চিকিৎসকের কাছ থেকে ডেথ সার্টিফিকেট লেখাতে গেলে তিনিও রিপোর্ট পাওয়ার আগে সার্টিফিকেট দিতে অস্বীকার করেন । নিরুপায় হয়ে কর্মীরা মৃতদেহ দোকানে রেখে নিজেরা বাইরে শুয়ে পড়েন । দোকানের ভিতরেই 16 ঘণ্টা পড়ে থাকে মৃতদেহ । আজ সকালে ঘটনাটি জানাজানি হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা ।

ওই ব্যক্তি বেসরকারি ল্যাবে সিঙ্গুরের বাড়ির ঠিকানা দেওয়ায় আজ সকালে সেখানেই নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পৌঁছায় । রিপোর্টে জানা যায়, তিনি কোরোনা আক্রান্ত ছিলেন । এরপরই স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মীরা এসে মৃতদেহ নিয়ে যান।

কোরোনা আক্রান্তের মৃতদেহ সারারাত এভাবে পড়ে থাকায় স্বাস্থ্য দপ্তরের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে । প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, কোনও ব্যক্তির যদি কোরোনা উপসর্গ থাকে তবে যাবতীয় নির্দেশিকা মেনে মৃতদেহ সৎকার করতে হবে । নমুনার রিপোর্ট হাতে না পেলে চিকিৎসকরা কীভাবে ডেথ সার্টিফিকেট দেবেন ? সাধারণ ডেথ সার্টিফিকেট দিলে মৃতদেহটিকে প্রথাগতভাবে সৎকারের জন্য শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হবে তা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। তাই রিপোর্ট হাতে না পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা ছাড়া কোনও উপায় ছিল না।

Last Updated : Jul 3, 2020, 6:25 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.