কলকাতা, 28 অগস্ট : করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিতে অনিচ্ছুক নাগরিকদের এবার ফোন করে ডেকে টিকা নেওয়াবে কলকাতা পৌরনিগম ৷ বিশেষ করে যাঁদের টিকা নেওয়ার (দ্বিতীয় ডোজ) সময় পেরিয়ে গিয়েছে, কিন্তু এখনও টিকা নেননি, তাঁদের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করবেন কলকাতা পৌর নিগমের স্বাস্থ্যকর্মীরা ৷ করোনার তৃতীয় টেউ মহানগরে আছড়ে পড়ার আগেই অধিকাংশ নাগরিকের টিকাকরণ সম্পন্ন করার লক্ষ্যে এই কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পৌরপ্রশাসক ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) ৷ তাঁর দাবি, দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিতে কারও সমস্যা হওয়ার কথা নয় ৷ কারণ, দ্বিতীয় ডোজের জন্য লাইনে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হচ্ছে না ৷ কোনও টিকাকরণ কেন্দ্রেই দ্বিতীয় ডোজ বাকি রাখা হচ্ছে না ৷
আরও পড়ুন : Covid-19 : উৎসবের মরসুমে করোনা নিয়ে আরও সতর্ক হতে নির্দেশ কেন্দ্রের
শনিবার ফিরহাদ জানান, ইতিমধ্যেই শহরের 90 শতাংশ বাসিন্দাকে করোনা টিকার প্রথম ডোজ দিয়ে দেওয়া হয়েছে ৷ দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার কাজও পুরো দমে চলছে ৷ আশা করা যায়, তৃতীয় ঢেউ শহরে আছড়ে পড়ার আগেই সেই কাজ শেষ হয়ে যাবে ৷ ফিরহাদের দাবি, কলকাতার বেশ কয়েকটি এলাকায় বহিরাগতদের আনাগোনা বেশি ৷ সেখানে তাই সংক্রমণের সম্ভাবনাও বেশি ৷ সেই কারণেই নিয়মিতভাবে এই এলাকাগুলি স্যানিটাইজ্ড করা হচ্ছে ৷ বস্তি এলাকাগুলিতে স্বাস্থ্যকর্মীদের বাড়ি বাড়ি পাঠিয়ে বাসিন্দাদের করোনার টিকা দেওয়া হচ্ছে ৷
এদিকে, করোনা আবহের মধ্যেই কলকাতার বিভিন্ন ওয়ার্ডে মশাবাহিত রোগ বিশেষ করে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ বাড়ছে ৷ তাতে মাথাব্যথা বাড়ছে পৌর কর্তৃপক্ষেরও ৷ এই বিষয়ে মানুষকে সচেতন করতে আগামী 31 অগস্ট থেকে একমাস ধরে প্রচার অভিযান চালাবে কলকাতা পৌরনিগম ৷ শহরের বিভিন্ন প্রান্তে অটোয় ঘুরে ঘুরে প্রচার চালানো হবে ৷
আরও পড়ুন : Durga Puja in Kolkata : ঢাকি থেকে পুরোহিত, ভ্যাকসিন বাধ্যতামূলক আবাসনের পুজোয়
অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গের প্রধান বিরোধী দল বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের অভিযোগ, রাজ্যে প্রায় সাড়ে তিন কোটি করোনা টিকা পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে ৷ এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন ফিরহাদ ৷ তিনি জানান, দিলীপ ঘোষের দাবি সত্যি হলে পদ ছেড়ে দেবেন তিনি ৷ আর দিলীপ ঘোষের কথা যদি মিথ্যা প্রমাণিত হয়, তাহলে তাঁকেও দলের রাজ্য সভাপতি এবং সাংসদ পদ ছেড়ে দিতে দিতে হবে ৷ ফিরহাদের সাফ কথা, সাড়ে তিন কোটি তো দূরের কথা, রাজ্যে এক শতাংশ টিকাও নষ্ট করা হয়নি ৷