কলকাতা, 19 জুলাই : বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠন জামাত-উল-মুজাহিদিনের সদস্য সন্দেহে ধৃত তিন যুবকের সম্পর্কে সামনে এল আরও বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য ৷ সূত্রের খবর, ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনআইএ-কে (National Investigation Agency) এই সমস্ত তথ্য সরবরাহ করেছে বাংলাদেশের সন্ত্রাসবিরোধী গোয়েন্দা সংস্থা (Counter Terrorism and Intelligence Bureau) ৷ তাদের তরফে জানানো হয়েছে, অস্তিত্ব রক্ষার লড়াইয়ে নেমেই পশ্চিমবঙ্গে সন্ত্রাসবাদী হামলা করার ছক কষেছিল ধৃতরা ৷ তাদের এই কাজের দায়িত্ব দিয়েছিল জিয়া নামে এক মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসবাদী ৷ এছাড়া, প্রত্যক্ষভাবে না হলেও কলকাতায় ধৃত তিন যুবক যে পরোক্ষভাবে খাগড়াগড় বিস্ফোরণের সঙ্গে যুক্ত, ক্রমে সেই ধারণা আরও পোক্ত হচ্ছে গোয়েন্দাদের মনে ৷ এই বিষয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতে পেয়েছে কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) এসটিএফ (STF) ৷
আরও পড়ুন : জেএমবি সদস্য সন্দেহে বারাসত থেকে গ্রেফতার আরও 1
গত 10 জুলাই দক্ষিণ কলকাতার হরিদেবপুর থানা এলাকার একটি ভাড়া বাড়ি থেকে তিন যুবককে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ ৷ ধৃতরা হল রবিউল ইসলাম, নাজিউর রহমান এবং শেখ সাবির ৷ এখনও পর্যন্ত যেটুকু জানা গিয়েছে, তা হল, ধৃত তিন যুবকই জেএমবি সদস্য ৷ কলকাতায় নাশকতা চালানোর পরিকল্পনা ছিল তাদের ৷ এদিকে, বাংলাদেশের সন্ত্রাসবিরোধী গোয়েন্দা সংস্থা জানাচ্ছে, প্রশাসনের তৎপরতায় সেদেশে অস্তিত্ব হারানোর মুখে এসে দাঁড়িয়েছে একাধিক জঙ্গি সংগঠন ৷ নিজেদের টিকিয়ে রাখতে এখন তাই অন্যান্য আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছে তারা ৷
আরও পড়ুন : জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহর সঙ্গে যোগ ছিল ধৃত 3 জেএমবি জঙ্গির
বাংলাদেশের মোস্ট ওয়ান্টেড এক জঙ্গির নাম জিয়া ৷ সূত্রের খবর, সেদেশের একাধিক নিষিদ্ধ সংগঠন ও জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে সখ্য রয়েছে এই জিয়ার ৷ অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে এই জিয়াই নাকি রবিউল ইসলাম, নাজিউর রহমান এবং শেখ সাবিরকে কলকাতায় পাঠায় ৷ তাদের বড়সড় নাশকতার পরিকল্পনা থাকলেও তা ভেস্তে যায় গোয়েন্দাদের তৎপরতায় ৷ বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশের গোয়েন্দাদের সঙ্গে বিশদে কথা বলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনআইএ ৷ তারপর ফের এক দফা জঙ্গি সন্দেহে ধৃত তিন যুবককে জেরা করা হবে বলে এনআইএ সূত্রের খবর ৷ প্রসঙ্গত, আগেও ধৃতদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন এআইএ গোয়েন্দারা ৷
আরও পড়ুন : কলকাতায় জেএমবি জঙ্গি ধরা পড়তেই উত্তরবঙ্গে নজরদারি বাড়াল পুলিশ
এদিকে, কলকাতা পুলিশের এসটিএফের দাবি, ধৃতদের সঙ্গে খাগড়াগড় কাণ্ডের প্রত্যক্ষ না হলেও পরোক্ষ যোগাযোগ অবশ্যই রয়েছে ৷ তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া পেনড্রাইভ-সহ অন্যান্য় সামগ্রী ঘেঁটেই এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে এসটিএফ ৷ এ বিষয়ে আরও তথ্য পেতে প্রয়োজনে খাগড়াগড় বিস্ফোরণ কাণ্ডে ধৃতদের মুখোমুখি বসিয়ে এই তিনজনকে জেরা করা হতে পারে ৷ প্রসঙ্গত, রবিউল ইসলাম, নাজিউর রহমান এবং শেখ সাবিরকে প্রাথমিক জেরার পরই উত্তর 24 পরগনা জেলার বসিরহাট থেকে লালু সেন ওরফে রাহুল কুমার নামে আরও এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয় ৷ সেও জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত বলেই মনে করা হচ্ছে ৷