কলকাতা, 18 মার্চ: কলকাতা পুলিশের সব থেকে বড় আবাসন আলিপুর বডি গার্ড লাইনে পুলিশ কর্মীদের পরিবারের সদস্যরা কোরোনার ভয়ে আতঙ্কিত ৷ তাঁদের আতঙ্ক দূর করতে এবং পুলিশকর্মীদের পরিবারের কেউ করোনা আক্রান্ত কিনা তা জানার জন্য আজ বিশেষ ব্যবস্থা নিল লালবাজার । পুলিশ হাসপাতালের বিশিষ্ট চিকিৎসককে নিয়ে এসে আলিপুর বডিগার্ড লাইনে করা হল কোরোনা পরীক্ষা শিবির । তাঁদের আতঙ্ক দূর করতে এবং পুলিশকর্মীদের পরিবারের কেউ কোরোনা আক্রান্ত কিনা তা বোঝার জন্য আজ বিশেষ ব্যবস্থা নিল লালবাজার।
পুলিশ হাসপাতালের বিশিষ্ট চিকিৎসককে নিয়ে এসে আলিপুর বডিগার্ড লাইনে হল কোরোনা পরীক্ষা শিবির । পরীক্ষা করে চিকিৎসক জানিয়ে দিলেন পুলিশ কর্মীদের পরিবার কেউ কোরোনা আক্রান্ত নন । কলকাতায় কোরোনা আক্রান্ত রোগীর সন্ধান মেলার পর রীতিমতো আতঙ্কে রয়েছে গোটা শহর । সামান্য কাশি হলেও তাঁকে সন্দেহের চোখে দেখছেন সাধারণ মানুষ । সেই আতঙ্কের রেশ পড়েছে পুলিশের মধ্যেও। লালবাজারের পক্ষ থেকে বারবার দেওয়া হচ্ছে সতর্কবার্তা। কীভাবে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে খোদ পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা টুইট করে জানিয়েছেন সেই কথা। কিন্তু তার পরেও আতঙ্ক কাটেনি পুলিশকর্মীদের পরিবারের সদস্যদের। পাশাপাশি পুলিশ কর্মীদের পরিবারের সদস্যরা কেউ ঘটনায় আক্রান্ত হয়েছেন কিনা তা জানতে চেষ্টা চালাচ্ছে লালবাজার। সেই সূত্র ধরেই আজ আলিপুর বডিগার্ড লাইনে পৌঁছে যান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার দেবেন্দ্র প্রতাপ সিং। সেখানে হয় কোরোনা পরীক্ষা শিবির। পাশাপাশি স্প্রে করা হয় স্যানিটাইজার।
পুলিশকর্মীদের সুরক্ষার জন্য ইতিমধ্যেই বেশ কিছু ব্যবস্থা নিয়েছে লালবাজার। ট্রাফিক বিভাগের সব কর্মীদের দেওয়া হয়েছে মাস্ক এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজা়র। আজ কলকাতা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার দেবেন্দ্র প্রতাপ সিং বলেন, ''সচেতনতামূলক প্রচার চালাচ্ছে কলকাতা পুলিশ। রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য দপ্তরের যে নির্দেশিকা রয়েছে সেগুলি কঠোরভাবে মানতে হবে । কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের সব কর্মীদের মাস্ক এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজা়র দেওয়া হয়েছে। সাধারণ মানুষদের সচেতনতার জন্য কলকাতা পুলিশ সক্রিয় ৷ পাশাপাশি মাস্ক এবং স্যানিটাইজারের কালোবাজারি রুখতে নেওয়া হচ্ছে ব্যবস্থা।"