কলকাতা, 25 এপ্রিল : লাখ লাখ মানুষ নিয়মিত বাজারে যাচ্ছেন। দিন রাতের বিভিন্ন সময় কেনাকাটাও করছে তাঁরা। বহুজাতিক বাজারগুলোতেও ক্রেতা-বিক্রেতারা হাতে গ্লাভস মুখে মাস্ক পরে জিনিসপত্র কিনছেন। কখনও কখনও রাস্তাতেই মুখের মাস্ক, গ্লাভস সচেতনভাবে বা নিজের অজান্তেই ছুঁড়ে ফেলে দিচ্ছেন। এটা যে কতটা ভয়ঙ্কর তা নিয়ে ফের সতর্ক করলেন পরিবেশ প্রযুক্তিবিদ সোমেন্দ্র মোহন ঘোষ। সর্বদা সতর্ক থাকতে হবে প্রত্যেক নাগরিককে । ইউজ অ্যান্ড থ্রো মাস্ক বা গ্লাভস ব্যবহার করলে, কাজ মিটে যাওয়ার পরে নির্দিষ্ট জায়গায় সেগুলিকে ফেলার পরামর্শ দিয়েছেন পরিবেশ প্রযুক্তিবিদ সোমেন্দ্র মোহন ঘোষ।
শহরের বিভিন্ন মানুষ মুখে মাস্ক এবং হাতে গ্লাভস পরে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাফেরা করছেন। শহরের হাসপাতালে গুলিতেও তাঁরা গ্লাভস এবং মাস্ক পরে ঘুরছেন। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের কর্মীরাও তাঁদের কাজের পর অবচেতনভাবেই বাড়িতে গিয়ে সুরক্ষা সরঞ্জাম খুলে ফেলছেন। কতটা বিপদজনক কাজ তিনি করছেন, তা সঙ্গে সঙ্গে টের পাওয়া যাবে না বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ সোমেন্দ্র মোহন ঘোষ।
তাঁর কথায়, শহরর বিভিন্ন জায়গায় এবং রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় কোরোনা ডাস্টবিন রাখা দরকার। কাজ হয়ে গেলে হাতের গ্লাভস এবং মাস্ক নির্দিষ্ট ডাস্টবিনে ফেলতে হবে। না হলে জরিমানা করার ব্যবস্থা করতে হবে। তাহলেই মানুষের মধ্যে সচেতনতা ফিরে আসবে। ব্যবহার করা সুরক্ষা সরঞ্জাম নির্দিষ্ট জায়গায় না ফেলে, শহরের বিভিন্ন জায়গায় ফেললে পরে কোরোনা ভাইরাস আরও বেশি সংক্রামিত হতে পারে বলে মনে করেন তিনি।
রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের নজরদারির অভাব রয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। কোরোনা ভাইরাসের সঙ্গে যুক্ত যাবতীয় চিকিৎসা সরঞ্জাম বায়োমেডিক্যাল বর্জ্যেই ফেলতে হবে এবং সেগুলি বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে নষ্ট করার পরামর্শ দিয়েছেন পরিবেশ প্রযুক্তিবিদ সোমেন্দ্র মোহন ঘোষ।
সমগ্র বিষয়টিতে রাজ্য সরকারের আরও বেশি নজরদারি বাড়ানো দরকার। রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের সক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। একটুও ঢিলেমি ভয়ঙ্কর ভাবে ছড়াতে পারে কোরোনা ভাইরাস, মত তাঁর।