কলকাতা,18 সেপ্টেম্বর: রাজ্য বিধানসভার ক্যান্টিন নিয়ে চর্চা দীর্ঘদিনের। ক্ষভের বহিঃপ্রকাশও দেখা যায় কখনও কখনও । ক্যান্টিনের বিভিন্ন জিনিসের দাম সংবাদ শিরোনামে এসেছে বারবার (Canteen Controversy in Legislative Assembly) । বাজার চলতি দরের থেকে বেশি দাম কেন দিতে হবে সে প্রশ্নও তুলেছেন কেউ কেউ । কিন্তু এবার যা ঘটল তাতে হাসছেন বিধায়করাও। বিধানসভার ক্যান্টিনের সঙ্গে সরাসরি বিধানসভা কর্তৃপক্ষের কোনো যোগ নেই। রীতিমতো টেন্ডার দিয়ে ক্যান্টিনের জন্য ক্যাটারার ফ্রাঞ্চাইজি দেওয়া হয়। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে যারা এই ক্যান্টিন চালান তারা বিধানসভা থেকে কিছু ভর্তুকি পান। মোদ্দা কথা আরও একবার শিরোনামে বিধানসভার ক্যান্টিন।
সারা বছর ধরে বিধানসভায় ক্যান্টিন চললেও সাধারণত যখন বিধানসভা সেশন চলে তখনই বাড়তি লোকজনের আনাগোনা হয় সেখানে। কারণ সেখানে বিধায়করা তো খেতে যানই পাশাপাশি বিধানসভার কর্মী, বিধায়কদের নিরাপত্তারক্ষী, গাড়ির চালক এমনকি সাংবাদিকরাও অধিবেশন চলাকালীন ক্যান্টিনে গিয়ে থাকেন। তবে বিধানসভার বাইরে থেকে কারও ক্যান্টিনে এসে খাওয়ার অনুমতি নেই।
আরও পড়ুন: গঙ্গা-পদ্মা ভাঙন, কেন্দ্রের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ মমতা
বিধানসভা চলাকালীন এবার প্রত্যেক বিধায়ককে বুলেটিন আকারে বিধানসভায় খাবারের তালিকা এবং তার মূল্য লেখা একটি কাগজ দেওয়া হয়েছে। ইডলি-ধোসা থেকে শুরু করে বিরিয়ানি সবই রয়েছে এই তালিকায়। খাদ্য রসিক বিধায়কদের রসনা তৃপ্তির জন্য আছে ইলিশ চিংড়ির ব্যবস্থাও। চাইলেই কাটলেট বা ফিস ফ্রাই এমনকী ফিস কবিরাজিও মেলে এখানে । মূল গোলমাল যে জায়গাটায় তা হল এই তালিকায় দেওয়া পার্টি টোস্ট এর দাম প্লেন পাউরুটির থেকে বেশি। তালিকায় রয়েছে জ্যাম অথবা বাটার দিয়ে চার পিস পাউরুটির টোস্টের দাম 19 টাকা। আর জ্যাম অথবা বাটার ছাড়া কেবল পাউরুটি নিতে গেলে বিধায়কদের পকেট থেকে খসাতে হবে 20 টাকা (এক পিস প্লেন পাউরুটি 5 টাকা)। অতএব শুকনো পাউরুটির দাম পাউরুটি টোস্টের থেকেও বেশি।
আর এটা দেখেই হাসছেন কেউ কেউ। বিজেপির মুখ্য সচেতক মনোজ টিগ্গা বলছেন, 'আমরা তো বিধানসভা চলাকালীন প্রায়শই ক্যান্টিনে খেতে যাই। কিন্তু এদিনের এই তালিকা দেখে রীতিমতো অবাক আমরা। চার টুকরো প্লেন পাউরুটির দাম বলছে বাটার টোস্টের থেকেও বেশি। আমি গোটা বিষয়টি বিরোধী দলনেতার নজরে আনব। প্রয়োজনে অধ্যক্ষের সঙ্গেও কথা বলব'। অন্যদিকে, শাসকদলের বিধায়ক অপূর্ব সরকার বলছেন, ব্যাপারটা শুনে প্রথমে অবাক লাগছিল। পরে দেখলাম তেমনটাই লেখা রয়েছে। আমরা বিষয়টি অধ্যক্ষের নজরে আনব ।