কলকাতা, 12 ফেব্রুয়ারি : ফের ক্ষুব্ধ রাজ্যপাল, তাঁর অভিযোগ, কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্য়ালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তাঁকে আমন্ত্রণই জানানো হয়নি !
রাজ্যের সঙ্গে রাজ্যপালের বিরোধ যেন থামতেই চায় না ৷ একের পর এক সমাবর্তন অনুষ্ঠানে গিয়ে ছাত্রদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে রাজ্যপালকে ৷ বুধবার তিনি টুইটে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আগামী 14 ফেব্রুয়ারি পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে রাজ্যের মন্ত্রীদের আমন্ত্রণ জানানো হলেও তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি । এই ঘটনায় গুঞ্জন ছড়িয়েছে বিভিন্ন মহলে। যদিও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আচার্যকে আসার জন্য আবেদন জানানো হয়েছিল । কিন্তু আচার্যের সম্মতি না মেলায় তাঁর নাম আমন্ত্রণ পত্রে রাখা হয়নি ।
কোচবিহারের স্থানীয় উৎসব অডিটোরিয়ামে সকাল 11 টায় সমাবর্তন অনুষ্ঠানটি হবে । ওই অনুষ্ঠানে 39 জনকে স্বর্ণপদক ও 54 জনকে রৌপ্য পদক দেওয়া হবে । প্রথা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য তথা রাজ্যপালের ঘোষণার মধ্য দিয়ে সমাবর্তন অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয় । তবে সমাবর্তন উপলক্ষে যে আমন্ত্রণ পত্র ছাপানো হয়েছে, তাতে নেই রাজ্যপালের নাম ৷ আমন্ত্রণ পত্রে রয়েছে বোস ইনস্টিটিউটের প্রাক্তন নির্দেশক শিবাজী রাহা, রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ এবং অগ্রসর শ্রেণির কল্যাণ দফতরের মন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মনের নাম ৷
আমন্ত্রণ পত্রে নিজের নাম না দেখে ক্ষুব্ধ রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় টুইটে লেখেন, ‘আগামী 14 ফেব্রুয়ারি কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা ইউনিভার্সিটির সমাবর্তন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে ৷ পার্থ চট্টোপাধ্যায়, গৌতম দেব, রবীন্দ্রনাথ ঘোষ এবং বিনয়কৃষ্ণ বর্মন এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ৷ অথচ, আচার্য এই বিষয়ে কিছুই জানেন না ! কোথায় যাচ্ছি আমরা!’’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দেবকুমার মুখোপাধ্যায় বলেন, রাজ্যপালকে আসার জন্য বিধি মেনেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল । কিন্তু ওনার কাছ থেকে অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার বিষয়ে কোনও জবাব আসেনি ৷