কলকাতা, 23 সেপ্টেম্বর : গরুপাচার কাণ্ডে (Cattle Smuggling Case) অন্যতম অভিযুক্ত এনামুল হক (Enamul Haque) ৷ গ্রেফতার হওয়ার পর তিনি এখন জেল হেফাজতে রয়েছেন ৷ তাঁকে রাখা হয়েছে দিল্লির তিহার জেলে (Tihar Jail) ৷ সেখানে গিয়েই এনামুলকে জেরা করার পরিকল্পনা করছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ সিআইডি (CID) ৷
সিবিআইয়ের (CBI) পাশাপাশি এখন পৃথকভাবে গরুপাচার কাণ্ডে তদন্ত করছে সিআইডি ৷ সেই তদন্তেই এনামুলকে জেরা করতে চায় তারা ৷ সেই কারণে তিহার যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন ভবানী ভবনের গোয়েন্দারা ৷ তবে সিআইডির তরফে এই নিয়ে মুখ খুলতে চাইছেন কেউই ৷ কিন্তু একটি সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে তদন্তকারী দল তৈরি হয়ে গিয়েছে ৷ সেই দলে থাকছেন একজন শীর্ষস্থানীয় আইপিএস আধিকারিক ৷ তিনিই ওই দলকে নেতৃত্ব দেবেন ৷ তাঁর সঙ্গে থাকবেন দু’জন ডিএসপি ও একজন ইনস্পেক্টর পদমর্যাদার আধিকারিক ৷
গরুপাচার কাণ্ডের তদন্ত যখন সিবিআই করছে, সেখানে কীভাবে সিআইডিও এই নিয়ে তদন্ত করতে পারে ? এই প্রশ্ন বিভিন্ন মহল থেকে বারবার উঠছে ৷ যদিও সিআইডির একটি সূত্রের দাবি, এনামুলকে জেরার বিষয়ে তারা আদালতের ছাড়পত্র পেয়েছে ৷ ফলে জিজ্ঞাসাবাদ করা এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা ।
এদিকে এনামুল হকের তিন ভাগ্নের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে সিআইডি । গোয়েন্দারা দাবি করছেন যে এনামুল হকের তিন ভাগ্নে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছেন । তাঁদের একাধিক ব্যবসা রয়েছে ৷ সেই সূত্রেই তাঁরা প্রায়ই বিদেশযাত্রা করতেন ৷ ফলে বাইরে তাঁদের যোগাযোগ রয়েছে ৷ সেই সুযোগকেই কাজে লাগিয়ে তাঁরা বিদেশে পালিয়েছেন বলে সিআইডির অনুমান ৷
এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, গরুপাচার কাণ্ডে ইতিমধ্যেই এনামুল হককে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা । এনামুল হকের থেকে তথ্য পেয়ে অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে গ্রেফতার করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা ৷ এর পর সাইগলের থেকে তথ্য পেয়ে অনুব্রত মণ্ডলকেও (Anubrata Mondal) গ্রেফতার করে সিবিআই ।
আর এবার গরুপাচার মামলায় পৃথক তদন্ত শুরু করেছে সিআইডি । ফলে গরুপাচার কাণ্ডে এনামুল হককে জিজ্ঞাসাবাদ করে একাধিক তথ্য পেতে চাইছেন গোয়েন্দারা ।
আরও পড়ুন : গরুপাচার কাণ্ডে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির যোগ মিলল সিআইডি তদন্তে