কলকাতা, 4 ডিসেম্বর : ছত্রধর মাহাতোকে গ্রেপ্তারের আবেদনে করা মামলার শুনানি এক সপ্তাহ পিছিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট ৷ সিপিএম কর্মী প্রবীর মাহাতোকে খুনের মামলায় ছত্রধর মাহাতো সহ 27 জনকে গ্রেপ্তারির আবেদন জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনআইএ ৷ আজ বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্য়োপাধ্য়ায় ও বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ তাঁদের রায়ে জানিয়েছে, ছত্রধর মাহাতো রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের একজন অন্যতম দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা । তাই রাজ্যের বক্তব্য শোনা জরুরি ৷ সেই কারণে এনআইএকে এই মামলায় রাজ্যকে যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত ৷
প্রসঙ্গত, এর আগে কলকাতায় বিশেষ এনআইএ আদালতে ছত্রধর সহ বাকিদের গ্রেপ্তারির আবেদন করেছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ৷ কিন্তু, আদালত অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা যাবে না বলে জানিয়ে দেয় ৷ তবে, তদন্তের স্বার্থে অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছিল ৷ তারপরেই কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন জানায় এনআইএ ৷ প্রসঙ্গত, 2009 সালে জঙ্গলমহলের নেতা ছত্রধর মাহাতোর বিরুদ্ধে প্রথমে বাঁশপাহাড়িতে রাজধানী এক্সপ্রেসকে পণবন্দি করার ঘটনায় লালগড় থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। পরে লালগড় থানাতেই আরও একটি অভিযোগ দায়ের হয় ৷ যেখানে ঝাড়গ্রামের সিপিএম নেতা প্রবীর মাহাতোকে খুনের অভিযোগ করা হয় । চলতি বছরের গত 30 মার্চ, এই দু'টি মামলাতেই রাষ্ট্রদ্রোহিতা এবং রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে এনআইএ-কে পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ৷
ছত্রধর মাহাতকে ফের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠাল NIA
তদন্তের নির্দেশ আসতেই ছত্রধর মাহাতোকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একাধিকবার চিঠি দেয় এনআইএ । ঝাড়গ্রামে গিয়েও ছত্রধর মাহাতোকে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে এনআইএ-র আধিকারিকরা । তা সত্বেও ছত্রধর মাহাতো তদন্তে সহযোগিতা করছেন না বলে অভিযোগ করে এনআইএ ৷ এরপরেই কলকাতার নগর দায়রা আদালতের, বিশেষ এনআইএ কোর্টে ছত্রধর মাহাতো সহ 27 জন অভিযুক্তকে হেপাজতে নেওয়ার আর্জি জানিয়েছিল এনআইএ ৷
