কলকাতা, 14 অগাস্ট : UAPA মামলায় যাবজ্জীবনের সাজা খারিজ ছত্রধর মাহাতর । নিম্ন আদালতের দেওয়া যাবজ্জীবনের সাজা খারিজ করে হাইকোর্ট তা 3 বছর করেছে । ছত্রধর ছাড়াও আরও তিনজনের ক্ষেত্রে আজ একই রায় দিয়েছে আদালত । এছাড়া একই মামলায় সাজা খাটা রাজা সরখেল ও প্রসূন চ্যাটার্জি বেকসুর খালাস পান । UAPA- র 18ও 121 A ধারায় সর্বোচ্চ যে 10 বছরের সাজা ঘোষণা করেছিল নিম্ন আদালত তা বহাল রেখেছে হাইকোর্ট । এদিকে ছত্রধরসহ ছজনের সবকটি মামলায় সাজা সম্পূর্ণ হওয়ার মুখে । আগামী মাসেই তাঁরা জেল থেকে মুক্তি পাবেন ।
2009 সালের 26 সেপ্টেম্বর লালগড় থেকে হাতে ধরা পড়েন ছত্রধর । তাঁর বিরুদ্ধে UAPA-র পাঁচটি এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির ছটি ধারায় মামলা রুজু হয় । তার মধ্যে অস্ত্র আইনও ছিল । 2015 সালের 11 মে UAPA মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন ছত্রধর-সহ জনগণের কমিটির সাত নেতা । দোষী সাব্যস্ত করেন মেদিনীপুরের চতুর্থ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক কাবেরী বসু । এঁদের সকলকেই যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারক । ছত্রধর মাহাত ছাড়াও সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে ছিলেন সুখশান্তি বাস্কে, শম্ভু সরেন, সাগেন মুর্মু, রাজা সরখেল ও প্রসূন চ্যাটার্জি, রঞ্জিত সরেন । পরে জেলে রঞ্জিত সরেনের মৃত্যু হয় ।
আজ হাইকোর্ট UAPA-র 20, 38, 39, 40 ধারায় আনা অভিযোগ থেকে ছত্রধর মাহাত, সুখশান্তি বাস্কে, শম্ভু সরেন, সাগেন মুর্মু, রাজা সরখেল ও প্রসুন চ্যাটার্জিকে বেকসুর খালাস করে । অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে ভারতীয় দণ্ডবিধির 121 ধারায় আনা অভিযোগ থেকেও । অন্যদিকে 124-এ ধারায় প্রত্যেককে যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছিল নিম্ন আদালত । তা খারিজ করে 3 বছরের কারাদণ্ড হয়েছে । যদিও 121-এ ধারায় 10 বছর কারাদণ্ডের যে সাজা দিয়েছিল নিম্ন আদালত তা বহাল রেখেছে বিচারপতি মুমতাজ খান এবং বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চ । পাশাপাশি বহাল থাকল 122 ও 123 ধারায় 8 বছর সাজার মেয়াদ । বহাল রয়েছে UAPA-র 18 ধারায় 10 বছরের সাজার মেয়াদও ।
মোট কথা হাইকোর্টের নির্দেশ মতো এখন এদের সর্বোচ্চ সাজা 10 বছর । ছত্রধর মাহাত ও অন্যারা 2009 সালের 26 সেপ্টেম্বর থেকে জেলে রয়েছেন । আগামী মাসের 26 তারিখ দশবছর পূর্ণ হবে । ওই দিনই ছাড়া পাবেন তাঁরা ।