ETV Bharat / city

যাবজ্জীবন সাজা খারিজ, ছত্রধরসহ চারজনের মুক্তি সেপ্টেম্বরে - ছত্রধর মাহাত

সাজা কমল ছত্রধর মাহাতর । নিম্ন আদালতের দেওয়া যাবজ্জীবনের সাজা হাইকোর্টে কমে হল 3 বছর । আজ এই রায় দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট । ছত্রধর ছাড়াও আরও তিনজনের ক্ষেত্রে একই রায় দিয়েছে আদালত । এছাড়া বেকসুর খালাস পেয়েছেন রাজা সরখেল ও প্রসূন চ্যাটার্জি । ছত্রধরসহ চারজনের সবকটি মামলায় সাজা সম্পূর্ণ হওয়ার মুখে । আগামী মাসেই তাঁরা জেল থেকে মুক্তি পাবেন ।

ছত্রধর মাহাত
author img

By

Published : Aug 14, 2019, 12:39 PM IST

Updated : Aug 14, 2019, 2:36 PM IST

কলকাতা, 14 অগাস্ট : UAPA মামলায় যাবজ্জীবনের সাজা খারিজ ছত্রধর মাহাতর । নিম্ন আদালতের দেওয়া যাবজ্জীবনের সাজা খারিজ করে হাইকোর্ট তা 3 বছর করেছে । ছত্রধর ছাড়াও আরও তিনজনের ক্ষেত্রে আজ একই রায় দিয়েছে আদালত । এছাড়া একই মামলায় সাজা খাটা রাজা সরখেল ও প্রসূন চ্যাটার্জি বেকসুর খালাস পান । UAPA- র 18ও 121 A ধারায় সর্বোচ্চ যে 10 বছরের সাজা ঘোষণা করেছিল নিম্ন আদালত তা বহাল রেখেছে হাইকোর্ট । এদিকে ছত্রধরসহ ছজনের সবকটি মামলায় সাজা সম্পূর্ণ হওয়ার মুখে । আগামী মাসেই তাঁরা জেল থেকে মুক্তি পাবেন ।

2009 সালের 26 সেপ্টেম্বর লালগড় থেকে হাতে ধরা পড়েন ছত্রধর । তাঁর বিরুদ্ধে UAPA-র পাঁচটি এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির ছটি ধারায় মামলা রুজু হয় । তার মধ্যে অস্ত্র আইনও ছিল । 2015 সালের 11 মে UAPA মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন ছত্রধর-সহ জনগণের কমিটির সাত নেতা । দোষী সাব্যস্ত করেন মেদিনীপুরের চতুর্থ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক কাবেরী বসু । এঁদের সকলকেই যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারক । ছত্রধর মাহাত ছাড়াও সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে ছিলেন সুখশান্তি বাস্কে, শম্ভু সরেন, সাগেন মুর্মু, রাজা সরখেল ও প্রসূন চ্যাটার্জি, রঞ্জিত সরেন । পরে জেলে রঞ্জিত সরেনের মৃত্যু হয় ।

আজ হাইকোর্ট UAPA-র 20, 38, 39, 40 ধারায় আনা অভিযোগ থেকে ছত্রধর মাহাত, সুখশান্তি বাস্কে, শম্ভু সরেন, সাগেন মুর্মু, রাজা সরখেল ও প্রসুন চ্যাটার্জিকে বেকসুর খালাস করে । অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে ভারতীয় দণ্ডবিধির 121 ধারায় আনা অভিযোগ থেকেও । অন্যদিকে 124-এ ধারায় প্রত্যেককে যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছিল নিম্ন আদালত । তা খারিজ করে 3 বছরের কারাদণ্ড হয়েছে । যদিও 121-এ ধারায় 10 বছর কারাদণ্ডের যে সাজা দিয়েছিল নিম্ন আদালত তা বহাল রেখেছে বিচারপতি মুমতাজ খান এবং বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চ । পাশাপাশি বহাল থাকল 122 ও 123 ধারায় 8 বছর সাজার মেয়াদ । বহাল রয়েছে UAPA-র 18 ধারায় 10 বছরের সাজার মেয়াদও ।

মোট কথা হাইকোর্টের নির্দেশ মতো এখন এদের সর্বোচ্চ সাজা 10 বছর । ছত্রধর মাহাত ও অন্যারা 2009 সালের 26 সেপ্টেম্বর থেকে জেলে রয়েছেন । আগামী মাসের 26 তারিখ দশবছর পূর্ণ হবে । ওই দিনই ছাড়া পাবেন তাঁরা ।

কলকাতা, 14 অগাস্ট : UAPA মামলায় যাবজ্জীবনের সাজা খারিজ ছত্রধর মাহাতর । নিম্ন আদালতের দেওয়া যাবজ্জীবনের সাজা খারিজ করে হাইকোর্ট তা 3 বছর করেছে । ছত্রধর ছাড়াও আরও তিনজনের ক্ষেত্রে আজ একই রায় দিয়েছে আদালত । এছাড়া একই মামলায় সাজা খাটা রাজা সরখেল ও প্রসূন চ্যাটার্জি বেকসুর খালাস পান । UAPA- র 18ও 121 A ধারায় সর্বোচ্চ যে 10 বছরের সাজা ঘোষণা করেছিল নিম্ন আদালত তা বহাল রেখেছে হাইকোর্ট । এদিকে ছত্রধরসহ ছজনের সবকটি মামলায় সাজা সম্পূর্ণ হওয়ার মুখে । আগামী মাসেই তাঁরা জেল থেকে মুক্তি পাবেন ।

2009 সালের 26 সেপ্টেম্বর লালগড় থেকে হাতে ধরা পড়েন ছত্রধর । তাঁর বিরুদ্ধে UAPA-র পাঁচটি এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির ছটি ধারায় মামলা রুজু হয় । তার মধ্যে অস্ত্র আইনও ছিল । 2015 সালের 11 মে UAPA মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন ছত্রধর-সহ জনগণের কমিটির সাত নেতা । দোষী সাব্যস্ত করেন মেদিনীপুরের চতুর্থ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক কাবেরী বসু । এঁদের সকলকেই যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারক । ছত্রধর মাহাত ছাড়াও সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে ছিলেন সুখশান্তি বাস্কে, শম্ভু সরেন, সাগেন মুর্মু, রাজা সরখেল ও প্রসূন চ্যাটার্জি, রঞ্জিত সরেন । পরে জেলে রঞ্জিত সরেনের মৃত্যু হয় ।

আজ হাইকোর্ট UAPA-র 20, 38, 39, 40 ধারায় আনা অভিযোগ থেকে ছত্রধর মাহাত, সুখশান্তি বাস্কে, শম্ভু সরেন, সাগেন মুর্মু, রাজা সরখেল ও প্রসুন চ্যাটার্জিকে বেকসুর খালাস করে । অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে ভারতীয় দণ্ডবিধির 121 ধারায় আনা অভিযোগ থেকেও । অন্যদিকে 124-এ ধারায় প্রত্যেককে যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছিল নিম্ন আদালত । তা খারিজ করে 3 বছরের কারাদণ্ড হয়েছে । যদিও 121-এ ধারায় 10 বছর কারাদণ্ডের যে সাজা দিয়েছিল নিম্ন আদালত তা বহাল রেখেছে বিচারপতি মুমতাজ খান এবং বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চ । পাশাপাশি বহাল থাকল 122 ও 123 ধারায় 8 বছর সাজার মেয়াদ । বহাল রয়েছে UAPA-র 18 ধারায় 10 বছরের সাজার মেয়াদও ।

মোট কথা হাইকোর্টের নির্দেশ মতো এখন এদের সর্বোচ্চ সাজা 10 বছর । ছত্রধর মাহাত ও অন্যারা 2009 সালের 26 সেপ্টেম্বর থেকে জেলে রয়েছেন । আগামী মাসের 26 তারিখ দশবছর পূর্ণ হবে । ওই দিনই ছাড়া পাবেন তাঁরা ।

Intro:সেপ্টেম্বরেই মুক্তি পেতে চলেছেন ছত্রধর মাহাতো সহ আরো তিন Body: মানস নস্কর---

সেপ্টেম্বরেই মুক্তি পেতে চলেছেন ছত্রধর মাহাতো সহ আরো তিনজন

কলকাতা ১৪ অগাস্ট ঃ
রাজা সরখেল ও প্রসুন চ্যাটার্জিকে সমস্ত অভিযোগ থেকে মুক্তি দিল হাইকোর্ট। কিন্ত ছত্রধর মাহাতো সহ আরো তিন জনের যে যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছিল নিম্ন আদালত তা কমিয়ে ৩ বছর করলো হাইকোর্ট। পাশাপাশি UAPA 18ও121 A ধারায় সর্বোচ্চ যে ১০ বছরের সাজা ঘোষণা করেছিল নিম্ন আদালত সেটা বহাল রাখলো হাইকোর্ট।
প্রসঙ্গত ছত্রধর মাহাতো ও বাকিরা প্রায় ১০ বছর ধরে জেল খাটছে।আর কিছুদিন হলেই ১০ বছর সম্পূর্ণ হবে।মানে ছাড়া পেতে আরো কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে ছত্রধর মাহাতোকে।
২০০৯-এর ২৬ সেপ্টেম্বর লালগড়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়েন ছত্রধর। তাঁর বিরুদ্ধে ইউএপিএ-র পাঁচটি এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির ছ’টি ধারায় মামলা দায়ের হয়। তার মধ্যে অস্ত্র আইনও ছিল।

এরপর ২০১৫ সালের ১১ মে ইউএপিএ (আনলফুল অ্যাক্টিভিটিজ প্রিভেনশন অ্যাক্ট) মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন ছত্রধর-সহ জনগণের কমিটির চার নেতা।
দোষী সাব্যস্ত করেন মেদিনীপুরের চতুর্থ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতের  বিচারক কাবেরী বসু। এঁদের সকলেরই যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারক।ছত্রধর মাহাতো ছাড়াও সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে ছিলেন
সুখশান্তি বাস্কে, শম্ভু সরেন এবং সাগেন মুর্মু, রাজা সরখেল ও প্রসুন চ্যাটার্জি।Conclusion:
Last Updated : Aug 14, 2019, 2:36 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.