কলকাতা, 20 জুলাই: কয়লা পাচার কাণ্ডে (Coal Smuggling Scam Case) শুধু কি ইসিএল-এর কর্মী ও আধিকারিকরাই (ECL Employee) যুক্ত? নাকি এর সঙ্গে জড়িত রয়েছেন রেলের কর্মীরাও (Railway Employee) ? প্রশ্ন সিবিআই (CBI)-এর ৷ উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই রাজ্যে কয়লা পাচার কাণ্ডে যুক্ত থাকার অভিযোগে ইসিএল-এর বর্তমান এবং প্রাক্তন কর্মী ও আধিকারিক মিলিয়ে মোট আটজনকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (Central Bureau of Investigation) ৷ তাতে জানা গিয়েছে, শুধুমাত্র ইসিএল-এর কর্মী ও আধিকারিকরাই যে কয়লা মাফিয়াদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন, তেমনটা নয় ৷ বরং কয়লা মাফিয়াদের সঙ্গে রেলের আধিকারিক থেকে শুরু করে প্রশাসনের একাধিক কর্তারও নিয়মিত যোগাযোগ ছিল ৷
ধৃতদের আলাদা আলাদা জেরা করে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, রেলের বেশ কয়েকজন আধিকারিক কয়লা পাচার কাণ্ডে জড়িত রয়েছেন ! তাঁদের নামও জানা গিয়েছে ! সিবিআই সূত্রের দাবি, বাঁকুড়া, রানিগঞ্জ, আসানসোল, পুরুলিয়া-সহ বিভিন্ন জেলা ও এলাকায় ট্রেনের সিগন্যালিং-এর দায়িত্বে থাকা কর্মী থেকে শুরু করে ট্রেনচালকদের একাংশও কয়লা মাফিয়াদের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ! ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন কয়লা মাফিয়ার বয়ান সংগ্রহ করেছে সিবিআই ৷ তাদের দাবি, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া-সহ একাধিক জায়গায় নির্জন এলাকায় ট্রেনের গতি কমিয়ে দেওয়া হত ৷ আর তখনই কয়লা মাফিয়াদের লোকজন ট্রেনে উঠে সেই কয়লা নামিয়ে নিত ! 'কাজ' হয়ে গেলেই ফের ট্রেনের গতি বাড়িয়ে দেওয়া হত ৷
আরও পড়ুন: Coal Smuggling Case: কয়লাকান্ডে বিনয় মিশ্র-সহ চারজনের নামে ওপেন ডেটেড ওয়ারেন্ট জারি
এমনকী, শুধুমাত্র রেলকর্মী বা আধিকারিকরা নন, সেইসঙ্গে আরপিএফ (RPF)-এর একাংশও এর সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে দাবি সূত্রের ৷ এমন কয়েকজন আরপিএফ আধিকারিকের নামও ইতিমধ্যেই জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা ৷ তদন্তে মেলা তথ্য বলছে, 2014 থেকে 2020 সাল পর্যন্ত রানিগঞ্জ, বাঁকুড়া এবং পুরুলিয়ায় কর্মরত আরপিএফ-এর বেশ কয়েকজন আধিকারিক কয়লা পাচারে সরাসরি যুক্ত ছিলেন ! মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে তাঁরা এই 'কাজ' করতেন ৷ এঁদের সকলকেই ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় সিবিআই ৷