কলকাতা, 6 এপ্রিল : কয়লা মাফিয়া অনুপ মাঝি ওরফে লালাকে একাধিকবার জেরা করেও সন্তুষ্ট নন সিবিআই গোয়েন্দারা ৷ এবার তাই পাচারচক্রের কিংপিনকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে তদন্তের কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছেন তাঁরা ৷ স্থির হয়েছে, পাচারের প্রক্রিয়া বিষদে জানতে লালাকে সঙ্গে নিয়ে পুরো বিষয়টির পুনর্নির্মাণ করা হবে ৷ আর তার জন্য লালাকে নিজেদের হেফাজতে পেতে মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সিবিআই ৷
ইতিমধ্যেই কয়লা পাচার কাণ্ডে অনুপ মাঝির পুরুলিয়ার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে বহু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতে পেয়েছে সিবিআই ৷ গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, অনুপ মাঝি ওরফে লালার একাধিক স্পঞ্জ আয়রন কোম্পানি এবং কারখানা রয়েছে ৷ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অনুমান, অবৈধভাবে কয়লা তুলে সেই কয়লা এই স্পঞ্জ আয়রন কারখানাগুলিতেই ব্য়বহার করতেন লালা ৷
এদিকে, সম্প্রতি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) অনুপ মাঝি ওরফে লায়লার 165 কোটি 56 লাখ টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে ৷ সেই প্রক্রিয়া চলাকালীনও লালার নামে স্পঞ্জ আয়রন কারখানা থাকার বিষয়টি সামনে আসে ৷
আরও পড়ুন : কয়ালা পাচার কাণ্ডে সিবিআইয়ের কাছে হাজিরা রঘুনাথপুরের এসডিপিও-র
কয়লা কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতারি এড়াতে এর আগে সুপ্রিম কোর্টের কাছ থেকে রক্ষাকবচ পেয়েছিলেন লালা ৷ মঙ্গলবারই যার মেয়াদ শেষ হচ্ছে ৷ শীর্ষ আদালতের নির্দেশ ছিল 6 এপ্রিল পর্যন্ত কোনওভাবেই লালাকে গ্রেফতার করা যাবে না ৷ তারপর থেকে এখনও পর্যন্ত চারবার লালাকে জেরা করেছে সিবিআই ৷
সূত্রের খবর, কয়লা পাচার কাণ্ডে প্রভাবশালীদের হদিস পেতেই লালাকে বারবার জেরা করা হচ্ছে ৷ এই বিষয়ে নির্দিষ্ট সূত্র হাতে পেতেই লালাকে হেফাজতে নিয়ে ইসিএলের বিভিন্ন খনিতে যেতে চাইছেন গোয়েন্দারা ৷ কীভাবে, কোন জায়গা দিয়ে পাচার চলত, তা সঠিকভাবে বোঝার চেষ্টা করছেন তাঁরা ৷ তাই সুপ্রিম কোর্টের রক্ষাকবচের মেয়াদ শেষ হতেই লালাকে গ্রেফতারের তোড়জোড় শুরু করেছে সিবিআই ৷