কলকাতা, 17 অগস্ট: অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) ও তাঁর 3 জন আত্মীয়ের অ্যাকাউন্ট থেকে 17 কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করল সিবিআই (CBI)। এই টাকা গরু পাচার (Cattle smuggling case) থেকে পাওয়া বলে মনে করছেন সিবিআই-এর গোয়েন্দারা ৷
তদন্তে নেমে অনুব্রত মণ্ডলের অ্যাকাউন্টের উপর বিশেষভাবে নজর রেখেছিল সিবিআই । সূত্রের খবর, গরু পাচারের জন্য এবং গরু পাচারের পর যে মুনাফা হয়েছিল সেখান থেকেই মোট 17 কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট করা হয়েছিল অনুব্রত এবং তাঁর আত্মীয়দের নামে ।
আজ সকালেই সিবিআই-এর তরফ থেকে একটি প্রতিনিধি দল বোলপুরে অনুব্রতর কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তিনি সিবিআইকে ফিরিয়ে দেন । এরপরই সিবিআই আধিকারিকরা একটি রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংকের ম্যানেজারের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন । সেখান থেকেই জানা যায়, অনুব্রত মণ্ডল এবং তাঁর বেশ কয়েকজন আত্মীয়র নামে মোট 17 কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট গচ্ছিত করা রয়েছে । সেই ফিক্সড ডিপোজিটের টাকা ইতিমধ্যেই বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে সিবিআই-এর তরফে ।
গরু পাচার কাণ্ডে সিবিআই-এর গোয়েন্দারা তদন্তে নেমে প্রথমেই অনুব্রত মণ্ডল এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ আত্মীয়দের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের উপর বিশেষভাবে নজর রেখেছিল । নিজাম প্যালেস সূত্রের খবর, সেখান থেকেই সিবিআই-এর গোয়েন্দারা প্রথমে 16 কোটি 57 লক্ষ টাকার হদিশ পান । জানা গিয়েছে, এই 16 কোটি 70 লক্ষ টাকা অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে কোনওভাবে যুক্ত থাকতে পারে এই সন্দেহ নিয়েই তদন্তে নেমেছিল সিবিআই । এরপরই সিবিআই-এর গোয়েন্দাদের নজরে আসে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাংকে অনুব্রত এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ আত্মীয়দের নামে মোট 17 কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট করা রয়েছে । সিবিআই সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত অনুব্রত মণ্ডলের 17 কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট বাজেয়াপ্ত করার পর এটা দেখা হচ্ছে যে সেই টাকা শুধু ফিক্সড ডিপোজিটই করা হয়েছিল, নাকি অন্য কোনও সংস্থায় খাটানো হয়েছিল ৷ এই সব তথ্য এখন খতিয়ে দেখছেন সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা ।
আরও পড়ুন: টেট ফেল করেও চাকরি পাওয়ার অভিযোগ, অনুব্রত কন্যাকে আগামিকাল হাইকোর্টে হাজিরার নির্দেশ
তদন্তে নেমে সিবিআই-এর গোয়েন্দারা অনুমান করেন, এত বছর ধরে রাজ্যে গরু পাচারের দ্বারা যে টাকা এসেছে তা অনুব্রত মণ্ডল এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ আত্মীয়দের নামে কোথাও গচ্ছিত করে রাখা রয়েছে । সেই মতোই ব্যাংক কর্মীদের সাহায্য নেন তদন্তকারী আধিকারিকরা । তবে গরু পাচারের আরও কোটি কোটি টাকা অন্য কোথাও গচ্ছিত রয়েছে বলে মনে করছে সিবিআই ৷ এর আগে অনুব্রত মণ্ডলের একাধিক বিষয়-সম্পত্তি এবং বিপুল পরিমাণের সম্পত্তি পেয়েছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা ।