কলকাতা, 8 অগস্ট: বর্তমানে সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা অনুব্রত মণ্ডলের একসময়ের দেহরক্ষী সায়গল হোসেন (Saigal Hossain)। নিজাম প্যালেস সুত্রের খবর, অনুব্রত মণ্ডলের প্রাক্তন দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে সোমবার অর্থাৎ আজ বিকেল পাঁচটার মধ্যে প্রাথমিক চার্জশিট জমা দিতে হবে সিবিআইকে (CBI may submit charge sheet)। গরু পাচার কাণ্ডে গ্রেফতার অনুব্রতর প্রাক্তন দেহরক্ষীর সিবিআই হেফাজতে থাকার আজ 60 দিন পূর্ণ হচ্ছে বলে সিবিআই সূত্রের খবর ।
মূলত অনুব্রত মণ্ডলের এই প্রাক্তন দেহরক্ষী ছিলেন রাজ্য পুলিশের একজন কনস্টেবল পদমর্যাদার পুলিশ কর্মী । তদন্তে নেমে অনুব্রত মণ্ডলের একাধিক ঘটনায় যুক্ত থাকার সন্দেহে প্রথমেই সিবিআইয়ের খাতায় নাম আসে সায়গল হোসেনের । একাধিকবার নিজাম প্যালেসে তাঁকে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআই-এর গোয়েন্দারা (Cattle Smuggling Case)। পরে বক্তব্যে অসঙ্গতি মেলায় অবশেষে তাঁকে গ্রেফতার করতে বাধ্য হয় সিবিআই । এরপর লাগাতার সায়গল হোসেনকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে একাধিক তথ্য এবং গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র উদ্ধার করেন সিবিআই-এর গোয়েন্দারা ।
জানা গিয়েছে, অনুব্রত মণ্ডলের প্রাক্তন এই দেহরক্ষীর মোট 100 কোটি টাকারও বেশি সম্পত্তি পাওয়া গিয়েছে । মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, নদিয়া-সহ একাধিক জেলায় বিলাসবহুল বাড়ি জমি কেনা রয়েছে তাঁর এবং একাধিক গাড়িও রয়েছে তাঁর নামে । পাশাপাশি তাঁকে জেরা করে নিউটাউনে তাঁর অভিজাত আবাসন থেকে কয়েক কোটি টাকার সোনার গয়না উদ্ধার করেন সিবিআই গোয়েন্দারা । রাজ্য পুলিশের একজন কনস্টেবল হয়ে এই বিপুল অংকের সম্পত্তি কোথা থেকে তাঁর কাছে এল, তা স্পষ্টই অনুধাবন করতে পারেন সিবিআই-এর গোয়েন্দারা ।
আরও পড়ুন: অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গলের মতো আরও প্রভাবশালী আছে বীরভূমে ?
জানা গিয়েছে, অনুব্রত মণ্ডলের এই প্রাক্তন দেহরক্ষী বিভিন্ন ব্যবসা-বাণিজ্যের সঙ্গেও যুক্ত ছিল ৷ এমনকী নিউটাউনে তাঁর একটি অভিজাত আবাসন রয়েছে ৷ সেই আবাসনে যিনি পরিচারিকার কাজ করেন তাঁর নামেও প্রচুর সম্পত্তি কেনা রয়েছে । ফলে সিবিআই মনে করছে, অনুব্রত মণ্ডলের মতো হেভিওয়েট তৃণমূল নেতার ছায়াসঙ্গী হওয়ার জন্যই সায়গেল হোসেনের এত প্রভাব প্রতিপত্তি ।
জানা গিয়েছে, সায়গল হোসেন শুধু নিজের সম্পত্তি নয়, প্রভাব খাটিয়ে তাঁর মামার বাড়ির সম্পত্তিও বাড়িয়েছেন তিনি । সিবিআই গোয়েন্দারা তদন্তে নেমে জানতে পেরেছেন, তাঁর মামার বাড়ির নামে একাধিক ডাম্পার, পেট্রোল পাম্প-সহ বিভিন্ন ব্যবসা-বাণিজ্য রয়েছে সায়গলের, যা 2014 সালের পর উল্কার গতিতে বৃদ্ধি পেয়েছে ৷