কলকাতা, 13 অগস্ট : প্রাক্তন দেহরক্ষীর দেওয়া বয়ানের উপর ভিত্তি করেই আজ অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) তিন দফায় প্রশ্ন করা হয় । তদন্তকারী আধিকারিক সুশান্ত ভট্টাচার্য-সহ সিবিআইয়ের অন্যান্য আধিকারিকরা মূলত এদিন দফায় দফায় অনুব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন ।
গোয়েন্দারা অনুব্রত মণ্ডলের কাছ থেকে জানতে চান যে তিনি রাজনীতির পাশাপাশি কী কী ব্যবসা করেন ? 2014 সালের পর থেকে তার রাইস মিলের ফ্যাক্টরি-সহ একাধিক পরিবহণ ব্যবসা কীভাবে ফুলেফেঁপে উঠল ?
উত্তরে অবশ্য অনুব্রত মণ্ডল আজও একাধিক প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গিয়েছেন বলে সিবিআই (CBI) সূত্রে জানা গিয়েছে । মূলত, সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা অনুব্রত মণ্ডলের কাছ থেকে জানতে চান যে গরু পাচারের সঙ্গে তিনি কীভাবে যুক্ত হলেন ? জবাবে সিবিআইয়ের এই প্রশ্নকে নস্যাৎ করে দিয়ে অনুব্রত মণ্ডল দাবি করেন, তিনি এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত নন । কিন্তু সিবিআইয়ের তরফে তাঁকে বলা হয় যে তাঁর বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে তাদের কাছে ।
পাশাপাশি এদিন অনুব্রত মণ্ডলের কাছ থেকে সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা জানতে চান যে তাঁর প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গেল হোসেনের সঙ্গে গরু পাচারকারী এনামুল হকের একাধিক কথোপকথনের ফোন রেকর্ড সিবিআইয়ের কাছে আছে । দেহরক্ষী কীভাবে একজন গরু পাচারকারীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন ? তিনি কেন কোনও পদক্ষেপ করেননি ? পাশাপাশি তাঁর কাছ থেকে সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা জানতে চান যে, গরুপিছু তিনি কত টাকা করে নিতেন ? কীভাবে তাঁর এই বিপুল সম্পত্তি বৃদ্ধি পেল ?
ইতিমধ্যেই সিবিআইয়ের নজরে রয়েছে কাস্টমস ও বিএসএফের (BSF) একাধিক আধিকারিক । এর আগে অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষীকে জিজ্ঞাসা করে সিবিআই গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, গরু পিছু কাস্টমসকে দিতে হতো 500 টাকা এবং সীমান্ত পারাপার করানোর জন্য সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে দিতে হত হাজার টাকা । জানা গিয়েছে, এদিন অনুব্রত মণ্ডলের বয়ান রেকর্ড করেন সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিকরা ।
আরও পড়ুন : লকআপে নেই বিনোদনের ব্যবস্থা, জেরা চলাকালীনই টিভির জন্য বায়না ধরলেন কেষ্ট