ETV Bharat / city

নারদকাণ্ডে শ্রীঘরে শহরের প্রাক্তন 3 মহানাগরিক - ফিরহাদ হাকিম

নারদকাণ্ডে শ্রীঘরে শহরের প্রাক্তন 3 মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও শোভন চট্টোপাধ্যায় ৷ তিনজনই সাফল্যের সঙ্গে সামলেছেন কলকাতার মেয়র পদের দায়িত্ব ৷

cbi arrested sovan chatterjee, firhad hakim and Subrata Mukherjee, 3 former mayor of kolkata corporation in narada case
নারদকাণ্ডে শ্রীঘরে শহরের প্রাক্তন 3 মহানাগরিক
author img

By

Published : May 17, 2021, 12:51 PM IST

কলকাতা, 17 মে : নারদকাণ্ডে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার রাজ্যের দুই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও সুব্রত মুখোপাধ্যায় ৷ গ্রেফতার করা হয়েছে রাজ্যে নবনির্বাচিত বিধায়ক মদন মিত্র ও প্রাক্তন মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়কেও ৷ গ্রেফতার হওয়া চারজনের মধ্যে তিনজনই এক সময়ে মহানাগরিক ছিলেন ৷ তৃণমূলের সেনানী হিসেবে কলকাতা পৌরনিগমের দায়িত্ব সামলেছেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়, শোভন চট্টোপাধ্যায় ও ফিরহাদ হাকিম ৷ এঁদের মধ্যে শোভন চট্টোপাধ্যায় পরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন ৷ তবে সেখানেও স্থায়ী হননি তিনি ৷ বিধানসভা ভোটের সময় অবহেলিত হওয়ার অভিযোগে এবং প্রার্থী মনোনয়ন নিয়ে অসন্তোষের জেরে গেরুয়া শিবিরও ত্যাগ করেছিলেন তিনি ও তাঁর বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় ৷

এক সময়ে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের খুবই ভরসার পাত্র ছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায় ৷ দলের হয়ে সামলেছেন নানা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব ৷ 1985 সালে বেহালার 131 নম্বর ওয়ার্ড থেকে নির্বাচিত হয়ে কলকাতা পৌরনিগমের কাউন্সিলর হন তিনি ৷ এরপর 2000 সালে কলকাতা পৌরনিগমের তৃণমূল বোর্ডের মেয়র পারিষদ (জল) পদের দায়িত্ব দেওয়া হয় তাঁকে ৷ 2005 সাল পর্যন্ত সেই পদেই ছিলেন তিনি ৷ 2010 সালে প্রিয় পাত্র হিসেবে পরিচিত কাননকে কলকাতার মহানাগরিকের পদে বসান মমতা ৷ দীর্ঘদিন কলকাতার মেয়র ছিলেন শোভন ৷ তবে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ঘিরে নানা জল্পনায় ধীরে ধীরে তাঁর সঙ্গে দলের সম্পর্ক তিক্ত হতে থাকে ৷ 2018 সালের 22 নভেম্বর মেয়র পদ থেকে ইস্তফা দেন শোভন চট্টোপাধ্যায় ৷

শোভন ইস্তফা দেওয়ার পর তৃণমূল কংগ্রেস কলকাতার মেয়রের আসনে বসায় দলের আর এক বিশ্বাসযোগ্য সদস্য ফিরহাদ হাকিমকে ৷ এ জন্য কলকাতা পৌরনিগম (দ্বিতীয় সংশোধন) বিল, 2018 পাশ করাতে হয় রাজ্য সরকারকে ৷ এই আইনের মাধ্যমে কলকাতা পৌরনিগমের সদস্য না-থাকা কোনও ব্যক্তিকে মেয়র করার অনুমতি মেলে ৷ তবে 6 মাসের মধ্যে তাঁকে নির্বাচিত হয়ে আসতে হবে ৷ সেই শর্ত মেনেই ওই বছরই 28 নভেম্বর ফিরহাদ মনোনয়ন পেশ করেন এবং নির্বাচিত হন ৷ স্বাধীন ভারতে তিনিই প্রথম মুসলিম মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হন কলকাতা পৌরনিগমে ৷ ওই বোর্ডের মেয়াদ 2020 সালের 7 মে শেষ হয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও অতিমারির কারণে পৌরসভা নির্বাচন হতে পারেনি ৷ ফলে প্রশাসনিক বোর্ডেরও চেয়ারম্যান করা হয় ফিরহাদকেই ৷ বিধানসভা ভোটের ঠিক আগে এ বছর 22 মার্চ প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি ৷

আরও পড়ুন: নারদকাণ্ডে গ্রেফতার ফিরহাদ-সুব্রত-মদন-শোভন

সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হওয়া নেতাদের মধ্যে শোভন ও ফিরহাদের পাশাপাশি তাঁদের অনেক আগেই কলকাতা পৌরনিগমের মহানাগরিকের দায়িত্ব সামলেছেন সুব্রত মুখোপাধ্য়ায় ৷ 1999 সালে কংগ্রেস ছেড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন ৷ তার পরের বছরই তাঁকে তৃণমূলের সদস্য হিসেবে কলকাতার মেয়র করা হয় ৷ মেয়র হওয়া সত্ত্বেও কংগ্রেস বিধায়ক পদ ছাড়তে চাননি সুব্রত ৷ এরপর পাঁচ বছর শহরের হয়ে নানা কাজ করেছেন এই তৃণমূল নেতা ৷ কলকাতায় ইএম বাইপাসে 20 কোটি টাকা খরচ করে 300 ফিট লম্বা কলকাতা গেট তৈরির স্বপ্ন দেখেছিলেন তিনি ৷ তবে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের ছাড়পত্র না-মেলায় সেই প্রকল্প দিনের আলো দেখেনি ৷

কলকাতা, 17 মে : নারদকাণ্ডে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার রাজ্যের দুই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও সুব্রত মুখোপাধ্যায় ৷ গ্রেফতার করা হয়েছে রাজ্যে নবনির্বাচিত বিধায়ক মদন মিত্র ও প্রাক্তন মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়কেও ৷ গ্রেফতার হওয়া চারজনের মধ্যে তিনজনই এক সময়ে মহানাগরিক ছিলেন ৷ তৃণমূলের সেনানী হিসেবে কলকাতা পৌরনিগমের দায়িত্ব সামলেছেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়, শোভন চট্টোপাধ্যায় ও ফিরহাদ হাকিম ৷ এঁদের মধ্যে শোভন চট্টোপাধ্যায় পরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন ৷ তবে সেখানেও স্থায়ী হননি তিনি ৷ বিধানসভা ভোটের সময় অবহেলিত হওয়ার অভিযোগে এবং প্রার্থী মনোনয়ন নিয়ে অসন্তোষের জেরে গেরুয়া শিবিরও ত্যাগ করেছিলেন তিনি ও তাঁর বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় ৷

এক সময়ে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের খুবই ভরসার পাত্র ছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায় ৷ দলের হয়ে সামলেছেন নানা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব ৷ 1985 সালে বেহালার 131 নম্বর ওয়ার্ড থেকে নির্বাচিত হয়ে কলকাতা পৌরনিগমের কাউন্সিলর হন তিনি ৷ এরপর 2000 সালে কলকাতা পৌরনিগমের তৃণমূল বোর্ডের মেয়র পারিষদ (জল) পদের দায়িত্ব দেওয়া হয় তাঁকে ৷ 2005 সাল পর্যন্ত সেই পদেই ছিলেন তিনি ৷ 2010 সালে প্রিয় পাত্র হিসেবে পরিচিত কাননকে কলকাতার মহানাগরিকের পদে বসান মমতা ৷ দীর্ঘদিন কলকাতার মেয়র ছিলেন শোভন ৷ তবে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ঘিরে নানা জল্পনায় ধীরে ধীরে তাঁর সঙ্গে দলের সম্পর্ক তিক্ত হতে থাকে ৷ 2018 সালের 22 নভেম্বর মেয়র পদ থেকে ইস্তফা দেন শোভন চট্টোপাধ্যায় ৷

শোভন ইস্তফা দেওয়ার পর তৃণমূল কংগ্রেস কলকাতার মেয়রের আসনে বসায় দলের আর এক বিশ্বাসযোগ্য সদস্য ফিরহাদ হাকিমকে ৷ এ জন্য কলকাতা পৌরনিগম (দ্বিতীয় সংশোধন) বিল, 2018 পাশ করাতে হয় রাজ্য সরকারকে ৷ এই আইনের মাধ্যমে কলকাতা পৌরনিগমের সদস্য না-থাকা কোনও ব্যক্তিকে মেয়র করার অনুমতি মেলে ৷ তবে 6 মাসের মধ্যে তাঁকে নির্বাচিত হয়ে আসতে হবে ৷ সেই শর্ত মেনেই ওই বছরই 28 নভেম্বর ফিরহাদ মনোনয়ন পেশ করেন এবং নির্বাচিত হন ৷ স্বাধীন ভারতে তিনিই প্রথম মুসলিম মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হন কলকাতা পৌরনিগমে ৷ ওই বোর্ডের মেয়াদ 2020 সালের 7 মে শেষ হয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও অতিমারির কারণে পৌরসভা নির্বাচন হতে পারেনি ৷ ফলে প্রশাসনিক বোর্ডেরও চেয়ারম্যান করা হয় ফিরহাদকেই ৷ বিধানসভা ভোটের ঠিক আগে এ বছর 22 মার্চ প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি ৷

আরও পড়ুন: নারদকাণ্ডে গ্রেফতার ফিরহাদ-সুব্রত-মদন-শোভন

সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হওয়া নেতাদের মধ্যে শোভন ও ফিরহাদের পাশাপাশি তাঁদের অনেক আগেই কলকাতা পৌরনিগমের মহানাগরিকের দায়িত্ব সামলেছেন সুব্রত মুখোপাধ্য়ায় ৷ 1999 সালে কংগ্রেস ছেড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন ৷ তার পরের বছরই তাঁকে তৃণমূলের সদস্য হিসেবে কলকাতার মেয়র করা হয় ৷ মেয়র হওয়া সত্ত্বেও কংগ্রেস বিধায়ক পদ ছাড়তে চাননি সুব্রত ৷ এরপর পাঁচ বছর শহরের হয়ে নানা কাজ করেছেন এই তৃণমূল নেতা ৷ কলকাতায় ইএম বাইপাসে 20 কোটি টাকা খরচ করে 300 ফিট লম্বা কলকাতা গেট তৈরির স্বপ্ন দেখেছিলেন তিনি ৷ তবে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের ছাড়পত্র না-মেলায় সেই প্রকল্প দিনের আলো দেখেনি ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.