কলকাতা 26 জানুয়ারি : দ্বিচারিতা করছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ, এই অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হল। মামলার বয়ান অনুযায়ী, 2017 সালের শিক্ষার অধিকার আইন অনুযায়ী 31 মার্চ 2019এ সমস্ত কর্মরত শিক্ষককে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয় ৷ সেই মত এনআইওএস থেকে কর্মরত শিক্ষকরা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে ৷ ইতিমধ্যে এনআইওএসের তরফে একটি অদ্ভুত নিয়ম চালু করে জানানো হয়, প্রত্যেক প্রার্থীর উচ্চমাধ্যমিকে 50% নম্বর থাকতে হবে ৷ আর তা না হলে তাঁদের ডি.ইএল.ইডি প্রশিক্ষণের যে সার্টিফিকেট দেওয়া হবে, সেখানে এনসিসি অর্থাৎ নট কমপ্লিটেড বলে সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে ।
ওয়েস্ট বেঙ্গল প্রাইমারি এডুকেশন বোর্ড 2017 সালে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছিল, যাদের স্নাতক ডিগ্রি রয়েছে তাঁদের উচ্চ মাধ্যমিকে 50 শতাংশ নম্বরের প্রয়োজন নেই । এর বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন একাধিক কর্মরত শিক্ষক শিক্ষিকা। সেই মামলাতে কলকাতা হাইকোর্ট এনআইওএস-র নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ জারি করে । হাইকোর্ট নির্দেশে জানায় শিক্ষকরা তাঁদের কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন।
কিছু দিন আগে রাজ্যের প্রাইমারি শিক্ষা পর্ষদ প্রায় 16 হাজার 500 জনকে নিয়োগের একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে। কিন্তু, 2014 সালের টেট উত্তীর্ণ প্রার্থী, যাদের এনসিসি যুক্ত ডি.ইএল.ইডি সার্টিফিকেট রয়েছে, তাঁদের ইন্টারভিউতে বসতে দেওয়া হচ্ছে না । তাঁরা শিক্ষক হিসেবে কাজ চালিয়ে যেতে পারলেও, কেন নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন ? সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে ৷ এর বিরুদ্ধেই আদালতে মামলা করেছেন অপূর্ব মণ্ডল সহ একাধিক প্রার্থী।
আরও পড়ুন : আপডেটেড শূন্যপদে নিয়োগের দাবি, সরকারের দ্বারে আপার প্রাইমারির চাকরিপ্রার্থীরা
মামলার ব্যাপারে মামলাকারীদের তরফে আইনজীবী ফিরদৌস শামিম জানালেন, ‘‘স্নাতক ডিগ্রি থাকলে, উচ্চমাধ্যমিকে 50% নম্বর না থাকলেও ডি.ইএল.ইডি প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা স্কুলে শিক্ষক হিসেবে তাঁদের কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন। কিন্তু, তাঁরা এই নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ইন্টারভিউতে অংশ নিতে পারবেন না, এটা পরিষ্কার দ্বিচারিতা। বহু এমএসকে, প্যারা টিচার হিসেবে কর্মরত শিক্ষক শিক্ষিকা রয়েছেন ৷ তাঁরা রাজ্যের এই দ্বিচারিতার কারণে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারছে না ৷ ফলে বাধ্য হয়ে তাঁরা কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছেন ।"