কলকাতা, 31 অগস্ট : রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার (Post Poll Violence) ঘটনায় সিট-এর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ৷ কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) চলা জনস্বার্থ মামলায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দালের (Rajesh Bindal) দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন মামলাকারীদের আইনজীবী রবিশংকর চট্টোপাধ্য়ায় ৷ তাঁর অভিযোগ, আদালতের নির্দেশে সিট গঠনের পর 11 দিন পেরিয়ে গিয়েছে ৷ ইতিমধ্যেই সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে গুরুতর অভিযোগগুলির তদন্তের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে ৷ অথচ সিট-এর কোনও নড়নচড়ন নেই ৷ কেন এই নিষ্ক্রিয়তা ? প্রশ্ন মামলাকারীদের আইনজীবীর ৷ বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে হাইকোর্ট ৷ প্রয়োজনে আদালত যে এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতেও পিছপা হবে না, তাও স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ৷
আরও পড়ুন : Post Poll Violence : নির্যাতিতার বাড়িতে শান্তিনিকেতন থানার ওসিকে ঢুকতে দিল না সিবিআই
রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় একাধিক জনস্বার্থ মামলা রুজু হয়েছে ৷ আপাতত সেগুলির শুনানি চলছে কলকাতা হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চে ৷ ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের সেই বেঞ্চ গত 19 অগস্ট একটি রায় দেয় ৷ তাতে বলা হয়, খুন, ধর্ষণ-সহ গুরুতর অভিযোগুলির তদন্ত করবে সিবিআই (CBI) ৷ আর বাকি অভিযোগগুলির তদন্ত করবে সিট (SIT) ৷ অভিযোগ, সিট বা বিশেষ তদন্তকারী দল গঠনের প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গেলেও তারা এখনও তদন্তের কাজ শুরুই করেনি ৷ অথচ সিবিআই-এর প্রতিনিধিরা ইতিমধ্যেই জেলায় জেলায় গিয়ে তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছেন ৷
আরও পড়ুন : Post Poll Violence : সিবিআই-এর মুখোমুখি ‘আক্রান্ত’ বিজেপি কর্মীরা, তাঁদের পাশে থাকতে বিশেষ কমিটি দলের
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল, ছ’সপ্তাহের মধ্যেই তদন্তের রিপোর্ট আদালতে পেশ করতে হবে ৷ আগামী 6 অক্টোবর মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে ৷ এই অবস্থায় নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কীভাবে তদন্ত রিপোর্ট পেশ করবে সিট, সেই প্রশ্নই তুলেছেন মামলাকারীদের আইনজীবী রবিশংকর চট্টোপাধ্য়ায় ৷ তাঁর প্রশ্ন শুনে বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে আদালত ৷ ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল জানিয়েছেন, তাঁদের কাছে সমস্ত তথ্যই আছে ৷ তেমন প্রয়োজন হলে আদালতই সিট-এর তদন্ত প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করবে ৷ প্রসঙ্গত, যে তিনজনকে নিয়ে বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছে, তাঁরা হলেন তিন আইপিএস সুমনবালা সাহু, রণবীর কুমার এবং কলকাতার নগরপাল সোমেন মিত্র ৷