কলকাতা, 17 নভেম্বর : স্কুল সার্ভিস কমিশনের চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নিয়োগে নিয়ে চূড়ান্ত ক্ষুব্ধ কলকাতা হাইকোর্ট ৷ আজ বেলা 3-টের মধ্যে প্রয়োজনীয় নিয়োগের কাগজপত্র না দেখাতে পারলে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে আদালতের তরফে ৷ যদিও এ দিন স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে কলকাতা হাইকোর্টের কাছে নথি পেশের জন্য আরও সময় চাওয়া হয়েছিল ৷ কিন্তু, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় স্কুল সার্ভিস কমিশনকে সাফ জানিয়ে দেন, তিনি কমিশনকে এ নিয়ে আর সময় দেবেন না ৷
এ দিন স্কুল সার্ভিস কমিশনের চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল ৷ সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় আজ বেলা 3-টের মধ্যে চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নিয়োগ সংক্রান্ত নথি আদালতে পেশ করতে নির্দেশ দিয়েছেন ৷ কিন্তু, কমিশনের তরফে আইনজীবী কিশোর দত্ত নথি জমা দিতে সময় চান ৷ কারণ হিসেবে তিনি বলেন, যে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছিল ৷ তা স্কুল সার্ভিস কমিশনের রেকর্ডে নেই ৷ কমিশনের এই যুক্তি শুনে রীতিমত ক্ষিপ্ত হয়ে যান বিচারপতি ৷
আরও পড়ুন : SSC Recruitment Case : স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা, সচিবকে হাজিরার নির্দেশ হাইকোর্টের
স্কুল সার্ভিস কমিশনের আইনজীবীর উদ্দেশ্যে হুঁশিয়ারির সুরে বিচারপতি বলেন, কমিশনের অফিসের সব কর্মচারীকে বের করে দেওয়া হবে ৷ প্রয়োজনে সিআইএসএফ দিয়ে অফিসের দখল নেবে আদালত ৷ সিবিআই-কে দিয়ে তদন্ত করানো হবে ৷ নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগে কমিশনের ভূমিকায় রীতিমত ক্ষিপ্ত হয়ে যান বিচারপতি ৷ প্রসঙ্গত, 2016 সালে স্কুল সার্ভিস কমিশনের চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নিয়োগ নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয় ৷ সেই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী 2019 সালে প্রায় 16 হাজার পদে নিয়োগ হয় ৷ কিন্তু, বেশ কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী আদালতের মামলা করেন ৷ তাঁরা অভিযোগ করেন ভুয়ো নথি পেশ করে 25 জনকে স্কুল সার্ভিস কমিশনের চতুর্থ শ্রেণির কর্মী পদে নিয়োগ করা হয়েছে ৷
আরও পড়ুন : Calcutta High Court: আদালতের গুঁতোয় যোগ্যদের নিয়োগপত্র স্কুল সার্ভিস কমিশনের
সেই মামলাতেই বিচারপতি কমিশনের কাছে ওই 25 জনের নিয়োগপত্র সংক্রান্ত সমস্ত নথি আদালতে পেশ করার নির্দেশ দেন ৷ এ নিয়ে আজ আদালতে কমিশনের সচিবকে তলবও করেন বিচারপতি ৷ তিনি আদালতে উপস্থিত হয়ে জানান, সেন্ট্রাল স্কুল সার্ভিস কমিশনের রেকর্ডেও ওই 25 জনের কোনও নিয়োগ সংক্রান্ত নথি নেই ৷ কীভাবে 25 জনকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে, তা কমিশন জানে না ৷ যা শুনে রীতিমত ক্ষিপ্ত হয়ে যান বিচারপতি ৷ বেলা 2টোর মধ্যে 25 জনের নিয়োগ সংক্রান্ত নথি আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি ৷ সেই সঙ্গে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এও জানিয়েছেন, যদি কমিশনের কোনও আঞ্চলিক দফতর থেকেও নিয়োগপত্র দেওয়া হয়ে থাকে তা খুঁজে বের করা হোক ৷ বেলা 3টের সময় ফের এই মামলার শুনানি হবে ৷