ETV Bharat / city

যুবতিকে ধর্ষণের চেষ্টা ও খুন; যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা বহাল হাইকোর্টের

বাঁকুড়ার সোনামুখীর বাসিন্দা ওই যুবতি 2012 সালের 7 জুলাই সকালে তাঁর তুতো ভাইয়ের সঙ্গে টিউশন পড়তে যাচ্ছিলেন ৷ সে সময় এলাকার বাসিন্দা পার্থ মণ্ডল তাঁকে জোর করে টেনে কাছের একটি জঙ্গলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে ৷ যুবতিকে ধর্ষণের চেষ্টা করে পার্থ ৷ পরে তাঁকে খুন করে ৷

author img

By

Published : Dec 6, 2019, 6:48 PM IST

Calcutta High Court
প্রতীকী ছবি

কলকাতা, 6 ডিসেম্বর : বাঁকুড়ার সোনামুখীতে যুবতিকে ধর্ষণের চেষ্টা, খুনের মামলায় নিম্ন আদালতের দেওয়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা বহাল রাখল কলকাতা হাইকোর্ট । বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি ও শুভ্রা ঘোষের ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দেয় ।

বাঁকুড়ার সোনামুখীর বাসিন্দা ওই যুবতি 2012 সালের 7 জুলাই সকালে তাঁর তুতো ভাইয়ের সঙ্গে টিউশন পড়তে যাচ্ছিলেন ৷ সে সময় এলাকার বাসিন্দা পার্থ মণ্ডল তাঁকে জোর করে টেনে কাছের একটি জঙ্গলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে ৷ যুবতির ভাই বাধা দিলে তাকে মারধর করা হয় ৷ জঙ্গলের মধ্যে ওই যুবতিকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে । যুবতি চিৎকার শুরু করলে তাঁকে খুন করে পার্থ ৷ যুবতির ভাই ঘটনাস্থান থেকে কোনওরকমে বাড়ি পৌঁছে সব ঘটনা জানায় ৷ সব শুনে ঘটনাস্থানে আসেন বাড়ির লোকজন ৷ জখম অবস্থায় যুবতিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভরতি করা হয় ৷ পরে হাসপাতালেই মারা যান ওই যুবতি ৷ ঘটনায় পুলিশের তরফে পার্থর বিরুদ্ধে খুন ও ধর্ষণের মামলা দায়ের করা হয় । কিন্তু, পরে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে দেখা যায় ধর্ষণের চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত ধর্ষণ করতে পারেনি সে ৷
এই মামলায় বাঁকুড়া সেশন কোর্ট 2015 সালের 29 ও 30 জুলাই দু'দিন ধরে সাজা ঘোষণা করে । বিচারে অভিযুক্ত পার্থর যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা করে আদালত । এর বিরুদ্ধে কয়েকদিন আগে পার্থ কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করেছিল, যাতে তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ কমানো হয় । সেই মামলার শুনানিতে আজ হাইকোর্টে তার আইনজীবী পার্থ ভট্টাচার্য বলেন, "এই ঘটনার যাঁরা সাক্ষী ছিলেন তাঁদের বক্তব্যের সঙ্গে ওই বাচ্চা ছেলেটির বক্তব্যের মধ্যে অসঙ্গতি পাওয়া গেছে । তাই বিষয়টি আবার খতিয়ে দেখা উচিত ।" রাজ্যের তরফে আইনজীবী সঞ্জয় বর্ধন বলেন, "এই ঘটনায় মূল সাক্ষী যুবতির ভাই প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত নিম্ন আদালতে একই কথা জানিয়েছে ৷ তার কথায় কোথাও কোনও অসংগতি পাওয়া যায়নি । পাশাপাশি ওই যুবতিকে যে পার্থ মণ্ডলই খুন করেছিল, সেটা স্পষ্ট । খুনের আগে সে ধর্ষণের চেষ্টাও করে ।" দু'পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি ও শুভ্রা ঘোষের ডিভিশন বেঞ্চ অভিযুক্তের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রাখে ।

কলকাতা, 6 ডিসেম্বর : বাঁকুড়ার সোনামুখীতে যুবতিকে ধর্ষণের চেষ্টা, খুনের মামলায় নিম্ন আদালতের দেওয়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা বহাল রাখল কলকাতা হাইকোর্ট । বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি ও শুভ্রা ঘোষের ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দেয় ।

বাঁকুড়ার সোনামুখীর বাসিন্দা ওই যুবতি 2012 সালের 7 জুলাই সকালে তাঁর তুতো ভাইয়ের সঙ্গে টিউশন পড়তে যাচ্ছিলেন ৷ সে সময় এলাকার বাসিন্দা পার্থ মণ্ডল তাঁকে জোর করে টেনে কাছের একটি জঙ্গলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে ৷ যুবতির ভাই বাধা দিলে তাকে মারধর করা হয় ৷ জঙ্গলের মধ্যে ওই যুবতিকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে । যুবতি চিৎকার শুরু করলে তাঁকে খুন করে পার্থ ৷ যুবতির ভাই ঘটনাস্থান থেকে কোনওরকমে বাড়ি পৌঁছে সব ঘটনা জানায় ৷ সব শুনে ঘটনাস্থানে আসেন বাড়ির লোকজন ৷ জখম অবস্থায় যুবতিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভরতি করা হয় ৷ পরে হাসপাতালেই মারা যান ওই যুবতি ৷ ঘটনায় পুলিশের তরফে পার্থর বিরুদ্ধে খুন ও ধর্ষণের মামলা দায়ের করা হয় । কিন্তু, পরে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে দেখা যায় ধর্ষণের চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত ধর্ষণ করতে পারেনি সে ৷
এই মামলায় বাঁকুড়া সেশন কোর্ট 2015 সালের 29 ও 30 জুলাই দু'দিন ধরে সাজা ঘোষণা করে । বিচারে অভিযুক্ত পার্থর যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা করে আদালত । এর বিরুদ্ধে কয়েকদিন আগে পার্থ কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করেছিল, যাতে তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ কমানো হয় । সেই মামলার শুনানিতে আজ হাইকোর্টে তার আইনজীবী পার্থ ভট্টাচার্য বলেন, "এই ঘটনার যাঁরা সাক্ষী ছিলেন তাঁদের বক্তব্যের সঙ্গে ওই বাচ্চা ছেলেটির বক্তব্যের মধ্যে অসঙ্গতি পাওয়া গেছে । তাই বিষয়টি আবার খতিয়ে দেখা উচিত ।" রাজ্যের তরফে আইনজীবী সঞ্জয় বর্ধন বলেন, "এই ঘটনায় মূল সাক্ষী যুবতির ভাই প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত নিম্ন আদালতে একই কথা জানিয়েছে ৷ তার কথায় কোথাও কোনও অসংগতি পাওয়া যায়নি । পাশাপাশি ওই যুবতিকে যে পার্থ মণ্ডলই খুন করেছিল, সেটা স্পষ্ট । খুনের আগে সে ধর্ষণের চেষ্টাও করে ।" দু'পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি ও শুভ্রা ঘোষের ডিভিশন বেঞ্চ অভিযুক্তের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রাখে ।
Intro:মানস নস্কর

কলকাতা 6 ডিসেম্বর:
ধর্ষণের চেষ্টা করে খুন। এই মামলায় নিম্ন আদালতের দেওয়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রাখল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি ও শুভ্রা ঘোষের ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিল।


Body:বাঁকুড়ার সোনামুখী মাঝের ডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী সমাপ্তি মন্ডলের মৃত্যুতে নিম্ন আদালত যে যাবজ্জীবনের সাজা দিয়েছিল দোষী কে। সেটাই আজ বহাল রাখল কলকাতা হাইকোর্ট। 2012 সালের সাতুই জুলাই সকালে তুতো ভাই পিন্টু মণ্ডল বয়স 12 এর সঙ্গে প্রাইভেট টিউশন পড়তে যাচ্ছিল। সেই সময় এলাকার বাসিন্দা পার্থ মণ্ডল বয়স কুড়ি সমাপ্তি মন্ডলকে জোর করে টেনে হিচড়ে কাছাকাছি একটি জঙ্গলের কাছে নিয়ে যায়। তাতে পিন্টু মণ্ডল বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তাকে মারধর করা হয়। এই ধস্তাধস্তির সময় পার্থ মণ্ডল সমাপ্তি মন্ডল কে ধর্ষণের চেষ্টা করে। কিন্তু ধস্তা-ধস্তি করতে করতে সে হঠাৎ নিজের পকেট থেকে একটি ধারালো ছুরি বের করে সমাপ্তি মন্ডলের পেটে ঢুকিয়ে দেয়। সমাপ্তি মন্ডলের দুটো ভাই পিন্টু মণ্ডল ওই অবস্থায় সেখান থেকে কোন রকমে পালিয়ে বাড়িতে ফিরে এবং ফিরে তার বাবা-মাকে সমস্ত ঘটনা জানায়। তার বাবা-মা সঙ্গে সঙ্গে ছুটে যায় ঘটনাস্থলে এবং সমাপ্তি মন্ডল কে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় কিন্তু হাসপাতলে সমাপ্তি মন্ডলের মৃত্যু হয়। এরপর পুলিশ অভিযুক্ত পার্থ মণ্ডলের বিরুদ্ধে খুন ও ধর্ষণের মামলা দায়ের করে। কিন্তু পরে ময়না তদন্ত রিপোর্টে দেখা যায় ধর্ষণের চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত ধর্ষণ করতে না পেরেই পার্থ মণ্ডল সমাপ্তি মন্ডলের পেটে ছুরি চালিয়ে দেয়। বাঁকুড়া সেশন কোর্ট এই মামলায় 2015 সালের 29 ও 30 জুলাই দুদিন ধরে সাজা ঘোষণা করে। বিচারে অভিযুক্ত পার্থ মন্ডলের যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা করে আদালত। এর বিরুদ্ধে তিনি কিছুদিন আগে কলকাতা হাইকোর্টে আপিল করেছিলেন যাতে তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ কমানো হয়। সেই মামলার শুনানি হয়। শুনানিতে পার্থ মন্ডলের তবে আইনজীবী পার্থ ভট্টাচার্য বলেন," এই ঘটনার যারা সাক্ষী ছিলেন এবং ওই বাচ্চা ছেলেটি ছেলেটির বক্তব্যের মধ্যে অসঙ্গতি পাওয়া গেছে। তাই বিষয়টি আবার খতিয়ে দেখা উচিত।" কিন্তু রাজ্যের তরফে আইনজীবী সঞ্জয় বর্ধন বলেন," এই ঘটনায় মূল সাক্ষী মেয়েটির ছোট ভাই পিন্টু মণ্ডল প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত নিম্ন আদালতে একই কথা জানিয়েছে তার কথায় কোথাও অসংগতি পাওয়া যায়নি। পাশাপাশি সমাপ্তি মন্ডলকে পার্থ মন্ডল ই যে খুন করেছিলেন করেছিলেন সেটা স্পষ্ট। এবং খুনের আগে সে ধর্ষণের চেষ্টা করে।" আদালত দুই পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি শুভ্রা ঘোষের ডিভিশন বেঞ্চ অভিযুক্তের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রাখল।


Conclusion:
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.