কলকাতা, 12 অক্টোবর: মোমিনপুর ও একবালপুর এলাকায় দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ সংক্রান্ত মামলায় (Ekbalpur Mominpur Case) বেলা 2টোর মধ্যে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট । বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এ দিন কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে ভর্ৎসনা করে বলেন, এলাকা থেকে যে বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে, রাজ্য পুলিশ সে ব্যাপারে কী তদন্ত করেছে বা অন্যান্য কী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে তা জানাতে হবে আদালতকে ।
এ দিন শুনানির সময় পিটিশনারের আইনজীবী সুস্মিতা সাহা দত্ত বলেন, 8 তারিখ থেকে ঝামেলা শুরু হয়েছে । বস্তিতে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে । অপর পিটিশনার নবেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফে আইনজীবী বলেন, রেড রোডে বিরাট আয়োজন করা হল কার্নিভালের । তারই ঢিল ছোড়া দুরত্বে তিনটি জায়গায় এই পরিস্থিতি হল । পুলিশ কিছু করতে পারল না ? যদি রাজ্য পুলিশ ব্যর্থ হয়, তাহলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুটমার্চ করা উচিত । বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছে । সে জন্য ক্ষতিপুরণের ব্যবস্থা করা হোক । আদালত স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে মামলাটি গ্রহণ করুক । সিসিটিভি লাগানো হোক থানার সামনে । সাধারণ মানুষের সম্পত্তি নষ্ট হওয়ার আগে কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুট মার্চ শুরু করা হোক । পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ।
আরও পড়ুন: মোমিনপুর ঘটনায় হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ আইনজীবীর
অপর পিটিশনারের আইনজীবী সুস্মিতা সাহা দত্ত এরপর বলেন, "আমি ঘটনার দিন গিয়েছিলাম আক্রান্ত এলাকায় । ময়ুরভঞ্জ এলাকায় যে বস্তি রয়েছে, সেখানে কোনও পুলিশের নিরাপত্তা ছিল না । শুধুমাত্র কয়েকজন লাঠি হাতে পুলিশ সেখানে ছিলেন ।" আইনজীবী তালে সিদ্দিকী তখন রাজ্যের তরফে জানান, "পাঁচটা এফআইআর হয়েছে এখনও পর্যন্ত ।"
এরপরই বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী জানতে চান, এলাকার মানুষের শান্তি ফেরাতে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে ? ক্ষতিপুরণের কী ব্যবস্থা করা হয়েছে এখন পর্যন্ত ? কিন্তু রাজ্য এ ব্যাপারে তেমন কোনও সদুত্তর না দিতে পারায় তিনি বলেন, "প্রয়োজনে পুলিশ কমিশনারকে ডেকে আনব কোর্টে । ওই এলাকায় যে বিস্ফোরক পাওয়া গিয়েছে, সে ব্যাপারে বিস্তারিত তদন্ত রিপোর্ট চাই রাজ্যের কাছে ৷ বেলা 2টোর মধ্যে রিপোর্ট পেশ করতে হবে ।"
বেলা দুটোর মধ্যে রাজ্যের থেকে একাধিক প্রশ্নের লিখিত উত্তর তলব করেছে হাইকোর্ট । জানতে চাওয়া হয়েছে, বোমাবাজির অভিযোগ ওঠার পরেও কেন এনআইএ ধারা প্রয়োগ করা হল না ? বিচারপতি বলেন, "আমরা রাজ্যের প্রতি আস্থাশীল, কিন্তু নাগরিক নিরাপত্তা গুরুত্বপূর্ণ ।"