কলকাতা, 19 জানুয়ারি : রাজ্যের বিভিন্ন আদালতে বিধায়ক ও সাংসদের বিরুদ্ধে কত মামলা জমে রয়েছে, তার পূর্ণাঙ্গ তালিকা তলব করল হাইকোর্ট। স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে দায়ের করা মামলায় হাইকোর্ট এর আগেও দ্রুত শুনানির নির্দেশ দিয়েছিল ৷ আজ প্রধান বিচারপতির এজলাসে মামলা উঠলে রাজ্যের জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে যত মামলা চলছে তার বিস্তারিত রিপোর্ট তৈরি করার নির্দেশ দেওয়া হয় রেজিস্ট্রার জেনারেলকে। রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে নিম্ন আদালত সিবিআই সহ সব পক্ষকে। 5 ফেব্রুয়ারি রিপোর্টের উপর শুনানি হবে হাইকোর্টে।
20 সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, বিধায়ক ও সাংসদের বিরুদ্ধে সমস্ত ফৌজদারি মামলার বিচারের জন্য কলকাতা হাইকোর্টে 3টি বেঞ্চ গঠন করেন প্রধান বিচারপতি টিবিএন রাধাকৃষ্ণণ। 12 জানুয়ারির মধ্যে বিধায়ক ও সাংসদদের নামে যে সমস্ত ফৌজদারি অভিযোগ রয়েছে সেই বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট চেয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি। কিন্তু পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট এখনও হাতে পায়নি কলকাতা হাইকোর্ট।
এর আগে 2018 সালে সুপ্রিম কোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ দেশের সব হাইকোর্টকে নির্দেশ দিয়েছিলেন সংশ্লিষ্ট রাজ্যের সাংসদ ও বিধায়কদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা থাকলে বিশেষ আদালত বসিয়ে তার নিষ্পত্তি করতে হবে। সেই কারণে উত্তর 24 পরগনা জেলা সদর বারসতে সাংসদ বিধায়কদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার বিচারের জন্য বিশেষ আদালত তৈরি করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন : নারদা মামলায় বিধানসভার স্পিকারের অনুমতির জন্য সিবিআইকে দ্রুত আবেদনের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের
এছাড়াও রাজ্যের বিভিন্ন নিম্ন আদালতে সাংসদ ও বিধায়কদের বিরুদ্ধে বহু অভিযোগে মামলা রয়েছে। কিন্তু কোরোনা প্যানডেমিকের কারণে দীর্ঘ প্রায় ছয়-সাত মাস নিম্ন আদালতগুলিতে যেমন বিচার ব্যবস্থা অত্যন্ত ঢিমেতালে চলেছে, একইভাবে কলকাতা হাইকোর্টের কাজেও তেমন গতি ছিল না। এই পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টের তরফে সমস্ত রাজ্যের হাইকোর্টগুলিকে ফের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, যাতে দ্রুত সাংসদ ও বিধায়কদের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত ফৌজদারি মামলার বিচার প্রক্রিয়ায় গতি আনা হয়। সেই নির্দেশ অনুযায়ী কলকাতা হাইকোর্টে তিনটি বেঞ্চ গঠন করেন প্রধান বিচারপতি টিবিএন রাধাকৃষ্ণন।