কলকাতা, 29 এপ্রিল : রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা সংক্রান্ত মামলার শুনানি শেষ হল কলকাতা হাইকোর্টে ৷ আজ রায়দান স্থগিত রাখল আদালত (Cal HC Reserves Order of State Government Employees DA Case) । বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চ শীঘ্রই এই মামলার রায় দেবে বলে জানিয়েছেন ।
ডিভিশন বেঞ্চ গতকাল শুনানিতে উল্লেখ করেছিল যে মহার্ঘ ভাতায় (Dearness Allowance) কর্মচারীদের আইনি অধিকার রয়েছে ৷ আজ, শুক্রবার মামলার শুনানিতে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘‘2010 সাল পর্যন্ত বছরে দু’বার করে মহার্ঘ ভাতা পেতেন কর্মচারীরা । মূল্যবৃদ্ধির নিরিখে মহার্ঘ ভাতা ঠিক হত । আপনারা হঠাৎ করে সেটা বন্ধ করলেন কেন ?’’
অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, "এটা রাজ্যের নীতিগত সিদ্ধান্ত । এই বিষয়ে আদালতের হস্তক্ষেপ করা উচিত নয় ৷ রাজ্যের অর্থনৈতিক পরিস্থিতিও বিচার করার নির্দেশ দিয়েছিল ডিভিশন বেঞ্চ । রাজ্য সরকার কর্মচারীদের মূল বেতনের সঙ্গে সামর্থ মতো মহার্ঘ ভাতা দিচ্ছে ।’’
তখন বিচারপতি বলেন, ‘‘সেটা রাজ্য কেন করছে ? মূল্যবৃদ্ধির নিরিখে মহার্ঘভাতা ঠিক হওয়া উচিত ।’’ এর প্রত্যুত্তরে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল বলেন, "এটা সম্পূর্ণ প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত ।" তিনি আরও বলেন, ‘‘কেন্দ্রের হারেই বছরে দু’বার ডিএ দিতে হবে আইনে কোথাও একথা বলা নেই ।’’
মামলার শুনানি শেষে কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, "রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের হিসেব মতো পঞ্চম বেতন কমিশন ও ষষ্ঠ বেতন কমিশন মিলিয়ে প্রায় 68 শতাংশ ডিএ বকেয়া রয়েছে । তার মধ্যে 34 শতাংশের দাবিতে আমাদের মামলা ।’’ তাঁর দাবি, এর আগে নিম্ন আদালত দু’বার কর্মচারীদের পক্ষেই রায় দিয়েছে । আশা করছি এবারও আদালত কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা প্রদানের পক্ষেই রায় দেবে ।
উল্লেখ্য, 2018 সালে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা প্রদানের নির্দেশ দিয়েছিল । পরে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনাল ও মূল্যবৃদ্ধির নিরিখে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা প্রদানের নির্দেশ দেয় । কিন্তু এখনও পর্যন্ত রাজ্য সরকার কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা অনেকটাই বকেয়া রেখেছে বলে অভিযোগ কর্মচারীদের ।
আরও পড়ুন : Calcutta HC gives relief to ED officers: নিম্ন আদালতের রায়ে স্থগিতাদেশ, হাইকোর্টে স্বস্তি ইডি অফিসারদের