কলকাতা, 9 জুন: বিশ্বে হেলমেটেড কোরাসো বিরল প্রজাতির পাখি হিসেবে চিহ্নিত। একটু একটু করে শেষ হয়ে যাচ্ছে তাদের উপস্থিতি। তেমনি আটটি বিরল পাখি ভারতে পাচারের চেষ্টায় ছিল পাচারকারীরা। কিন্তু সীমান্তরক্ষী বাহিনীর তৎপরতায় সেই পাখি পাচারের চেষ্টা বানচাল হল। উদ্ধার হয়েছে আটটি পাখি। সেগুলি পাঠানো হয়েছে আলিপুর চিড়িয়াখানায়।
সীমান্ত রক্ষীবাহিনী সূত্রে খবর, আজ ভোর তিনটে নাগাদ কলকাতা সেক্টরের তেঁতুলবেড়িয়া বর্ডার আউটপোস্টের কাছে সন্দেহজনক গতিবিধি নজরে পড়ে জওয়ানদের। ভালোভাবে দেখতে নজরে আসে কয়েকজন কিছু বক্স নিয়ে বাংলাদেশ সীমান্ত পার হয়ে ভারতে ঢোকার চেষ্টা করছে। তৎপর হন কর্তব্যরত জওয়ানরা। সীমান্তরক্ষী বাহিনীর তৎপরতা দেখে অন্ধকারের সুযোগে পাট খেতের ভিতর দিয়ে বাংলাদেশের দিকেই পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। কিন্তু ফেলে রেখে যায় দুটি কাঠের বাক্স। সেগুলি উদ্ধার করে বর্ডার আউট পোস্টে নিয়ে আসেন জওয়ানেরা।
সেই বাক্স দুটি থেকে উদ্ধার হয় কালো রঙের পাখি। পরে বোঝা যায় সেগুলি হেলমেটেড কোরাসো। পাখির কালো বাজারে যার প্রতিটির দাম কয়েক লক্ষ টাকা।
জানা গেছে, হেলমেটেড কোরাসো মূলত লাতিন আমেরিকান পাখি। এদের মূলত দেখতে পাওয়া যায় পশ্চিম ভেনেজুয়েলা ও উত্তর কলম্বিয়ার পাহাড়ি অঞ্চলে। তবে একটু একটু করে সংখ্যা ক্রমশ কমে আসছে এদের। সেই সূত্রে 1990 সালের ইন্টারন্যাশনাল উনিয়ন ফর কন্সারভেশন অফ নেচার এই পাখিকে বিলুপ্তপ্রায় বলে ঘোষণা করে। তারপর থেকে এই পাখির বিক্রি সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। ভারতেও এই পাখি বিক্রি নিষিদ্ধ। তাই বাংলাদেশে কীভাবে পাচারকারীরা এই পাখি আনলো তা জানার চেষ্টা চলছে। গোয়েন্দারা খতিয়ে দেখছেন, ভারতে ওই পাখি কাদের হাতে তুলে দেওয়া হত। আপাতত ওই পাখিগুলোকে পাঠানো হয়েছে আলিপুর চিড়িয়াখানায়।