কলকাতা, 12 অগাস্ট : অফিস থেকে ঋণ নিয়ে মানিকতলায় কিনেছিলেন ফ্ল্যাট। সেই ফ্ল্যাটের দখল পাচ্ছিলেন না। তা নিয়ে মানসিক অশান্তি ছিল। তার উপর তিনি আক্রান্ত হন কোরোনায়। সেই সূত্র ধরে তদন্তকারীদের প্রাথমিক ধারণা ছিল, আত্মহত্যা করেছেন বৃদ্ধ।
কিন্তু ছাদে কয়েকটি আঁচড়ের দাগ এবং একটি ছেঁড়া তার দেখে তদন্তকারীদের মনে হয়েছে তিনি শেষ মুহূর্তে বাঁচার চেষ্টা করেছিলেন । তাই দুর্ঘটনার তত্ত্ব উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। কোরোনা আক্রান্ত বৃদ্ধের মৃত্যুর কারণ কী? আপাতত সেই উত্তর খুঁজছে নারকেলডাঙা থানার পুলিশ।
বুধবার সকাল 6টা15 নাগাদ 10 নম্বর নারকেলডাঙ্গা মেইন রোডের আবাসনের নিচ থেকে উদ্ধার হয় 73 বছরের রামকিশোর কেজরিওয়ালের দেহ। আবাসনের বাসিন্দারাই রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন বৃদ্ধকে। দ্রুত খবর দেওয়া হয় নারকেলডাঙা থানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাঁর দেহ এন আর এস মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁর মৃত্যু নিশ্চিত করেন।
প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানত না, বৃদ্ধ কোরোনা আক্রান্ত। ফলে নির্দিষ্ট গাইডলাইন মেনে ওই মৃতদেহ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়নি। পরিবারের সদস্যরাও প্রাথমিকভাবে কিছুই জানায়নি পুলিশকে। পরে জানা যায় তিনি কোরোনা আক্রান্ত ছিলেন। ফলে তাঁর মৃতদেহ বহনকারীদের আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর ।
জানা গেছে, ওই আবাসনে দুই ছেলে এবং স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন রামকিশোর কেজরিওয়াল। তিনি এখনও কর্মরত ছিলেন। মৈথান গ্রুপ অফ কোম্পানিজ় নামে একটি সংস্থায় কাজ করতেন। রামকিশোর আদতে হরিয়ানার বাসিন্দা । তবে দীর্ঘদিন সপরিবারে কলকাতায় ছিলেন তিনি ।