কলকাতা, 17 মে : যাদবপুরের বিজয়গড়ে বৃদ্ধের রহস্যমৃত্যু ৷ নিধর কুণ্ডু নামে ওই বৃদ্ধের বেশ কিছু দিন আগেই মৃত্যু হয়েছে বলে অনুমান পুলিশের ৷ দেহে পচন ধরতে শুরু করেছিল বলে পুলিশ সূত্রে খবর ৷ কম্বল মোড়া অবস্থায় দেহটি উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে (Body of An Old Man Recovered in Vijayghar Jadavpur) ৷ 63 বছর বয়সের নিধর কুণ্ডুর ঘর থেকে একটি ল্যাপটপ-সহ বেশ কিছু দামি সামগ্রী খোয়া গিয়েছে বলে অভিযোগ ৷ ফলে প্রশ্ন উঠেছ, লুঠের উদ্দেশ্যেই কি তাঁকে খুন করা হয়েছে ? ঘটনা তদন্তে নেমেছে কলকাতা পুলিশ ৷
আজ বেলা বারোটা নাগাদ যাদবপুর থানার বিদ্যাসাগর এলাকার একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় নিধর কুণ্ডুর পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়েছে ৷ জানা গিয়েছে, তিনি বাড়িতে একাই থাকতেন ৷ বেশ কয়েকবছর আগে তাঁর স্ত্রী ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, আজ সকাল বেলায় তাঁর পরিবারের সদস্যরা ফোন করেন ৷ ফোন বেজে গেলেও তিনি ফোন ধরেননি ৷ ফলে সন্দেহ হয় তাঁদের ৷ পাশের বাড়ির এক ব্যক্তির কাছে নিধরবাবুর ঘরের একটি অতিরিক্ত চাবি ছিল ৷ ফলে, তাঁকে ফোন করে না পাওয়াতে নিধুবাবুর প্রতিবেশীকে আত্মীয়রা ফোন করে ৷
প্রতিবেশীরা দরজা খুলতেই দেখতে পান, মেঝেতে চাপচাপ রক্ত পড়ে রয়েছে ৷ আর ঘরের একপাশে কম্বলে জড়ানো দেহটি দেখে আঁতকে ওঠেন তাঁরা ৷ সঙ্গে সঙ্গে খবর যায় যাদবপুর থানায় ৷ পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে ৷ এর পরে খবর দেওয়া হয় পরিবারকে ৷ ঘর থেকে বেশকিছু দামি সামগ্রী, ল্যাপটপ এবং বেশ কয়েকটি মোবাইল ফোন খোয়া গিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন পরিবারের সদস্যরাও ৷ ফলে ঘটনার পর প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কী শহরে একাকী বৃদ্ধ-বৃদ্ধার নিরাপত্তা একেবারেই কি নেই ? যদি এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি কলকাতা পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা ৷ দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে ৷ ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট আসার পরেই মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে ৷