শিলিগুড়ি, 1 জুন : রোগী ব্ল্যাক ফাংগাসে সংক্রমিত বলে সন্দেহ হওয়ায় রোগীকে রাখতে নারাজ নার্সিংহোম ৷ তাঁর চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে বেড জোগাড় করতে মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে হচ্ছে রোগীর পরিবারকে । চিকিৎসার জন্য কখনও উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল আবার কখনও শিলিগুড়ি পৌরনিগমের আধিকারিকদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন রোগীর মেয়ে ।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শিলিগুড়ি পৌরনিগমের 46 নম্বর ওয়ার্ড সংলগ্ন চম্পাসারি মিলনমোড়ের বাসিন্দা ওঙ্কারনাথ চৌধুরী সম্প্রতি করোনায় সংক্রমিত হয়েছিলেন । এরপর দীর্ঘ চিকিৎসার পর 20 মে করোনাকে পরাজিত করে সুস্থ হয়ে ওঠেন তিনি । এরপর 29 মে আচমকা তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হতে শুরু করে । তড়িঘড়ি তাঁকে শিলিগুড়ি সেবক রোডের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয় ।
তাঁর মুখে বেশ কয়েক জায়গায় কালো কালো ছোপ দেখতে পান চিকিৎসকেরা । এরপরই চিকিৎসকদের সন্দেহ হয়, ওই রোগী ব্ল্যাক ফাংগাসে সংক্রমিত হয়েছেন । এ দিকে, বিষয়টি নজরে আসতেই নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ রোগীকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে রেফার করে দেয় । এ দিকে, রোগীর পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় তাঁকে ভেন্টিলেটরে রাখতে বাধ্য হয় নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ । অভিযোগ, ভেন্টিলেটরে রাখলেও রোগীকে বারেবারে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যেতে পরিজনকে চাপ দিতে শুরু করে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ । কিন্তু উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে বেড না থাকায় রোগীর পরিজনদেরকে তিন দিন ধরে ঘুরিয়ে দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে । এই অবস্থায় দ্রুত ওই রোগীর চিকিৎসা শুরু না হলে প্রাণ হারানোর আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করছেন রোগীর পরিজনরা ।
আরও পড়ুন: সপ্তাহে 2-3 দিন ছুটি, রাতে 6-7 ঘণ্টা কাজ ; ডাক্তার-নার্সদের জন্য নয়া নির্দেশিকা
ওঙ্কারনাথ চৌধুরীর মেয়ে তুষালি চৌধুরী বললেন, "নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে আমাদের জানানো হয়েছে, বাবা হয়তো ব্ল্যাক ফাংগাসে সংক্রমিত হয়েছেন । সেখানে তাঁর কোনও রকম চিকিৎসা হচ্ছে না । সেই চিকিৎসার জন্য দ্রুত উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা প্রয়োজন । এ দিকে সেখানে বেড না থাকায় বাবাকে ভর্তি নেওয়া হচ্ছে না । হাসপাতালের সুপার থেকে শুরু করে প্রিন্সিপাল, এমনকী শিলিগুড়ি পৌরনিগমের প্রশাসক বোর্ডের সদস্যদের কাছে আবেদন করা হয়েছে, যাতে তাঁরা উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে একটি বেডের ব্যবস্থা করে দেন । তিন দিন হয়ে গেল এখনও আমার বাবা চিকিৎসা ছাড়াই লড়ে চলেছেন ।"