ETV Bharat / city

বাবুলের প্ররোচনায় গুন্ডারা ভাঙচুর করে ইউনিয়ন রুম, বললেন SFI-এর রাজ্য সম্পাদক

author img

By

Published : Sep 20, 2019, 5:50 PM IST

Updated : Sep 20, 2019, 6:13 PM IST

SFI-এর রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্যর কথায়, "গতকাল এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে যেভাবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা থেকে  প্ররোচনা দিয়েছেন, উসকানি দিয়েছেন, তা দেখেছি ৷ তাঁর প্ররোচনাতেই গুণ্ডারা এসে ভাঙচুর করে গেছে ইউনিয়ন রুম ৷ আগুন জ্বালিয়ে গেছে ৷ পড়ুয়ারা আহত হয়েছেন । এই ঘটনার প্রতিবাদে গুন্ডামিকে ধিক্কার জানিয়ে আজকের এই মিছিল।"

বাবুলের প্ররোচনায় গুণ্ডারা ভাঙচুর করে ইউনিয়ন রুম, বললেন SFI-এর রাজ্য সম্পাদক সৃজন

কলকাতা, 20 সেপ্টেম্বর : যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনার সঙ্গে বাম ছাত্র সংগঠন SFI কোনওভাবেই যুক্ত নয় । ঘটনার সঙ্গে জড়িত রয়েছে অতিবাম ছাত্র সংগঠন‌ । এই দাবি করল SFI । তবে পড়ুয়াদের হেনস্থার প্রতিবাদে আজ পথে নামল SFI-এর কলকাতা শাখা । ঢাকুরিয়ার দক্ষিণাপন থেকে যাদবপুর এইট বি পর্যন্ত মিছিল করে তারা ।

SFI-এর তরফে অণ্বেষা দাস বলেন, "কাল সারা দুনিয়া দেখেছে, গোটা দেশ দেখেছে, ছবি ভাইরাল হয়েছে ফেসবুকে ৷ বিভিন্ন সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে আমরা দেখতে পেয়েছি ছাত্রী হেনস্থা ‌। একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অবশ্যই আসবেন, কেন আসবেন না ? প্রথমত, আমাদের সংগঠনের সঙ্গে কোনওভাবেই জড়িত নয় । কারণ, সবাই জানে আমরা বাম ছাত্র সংগঠন । অতি বাম ছাত্র সংগঠন নয় । যখন মন্ত্রীমশাই জিজ্ঞেস করেন, আপনারা বুদ্ধবাবুর থেকে এটা শিখেছেন? তখন দেখা যায় তাঁরা কীভাবে চিৎকার করে বলেন যে আমরা নকশাল ।"

ছাত্র সংগঠনের সদস্যের কথায়, "আমরা তাঁদের রক্ষা করতে রাস্তায় নামিনি । আমরা যেটার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছি, তা হল একজন মন্ত্রী একটি মেয়েকে গলাধাক্কা দিচ্ছেন । উনি বলছেন, ওঁর নাকি জামা কাপড় ছেড়া হয়েছে, চুল ছেড়া হয়েছে, চশমা পড়ে গেছে । আমরা সেগুলো নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাই না ৷ কারণ, আমরা সেখানে কেউই উপস্থিত ছিলাম না । তবে, যাঁরা প্রত্যক্ষদর্শী তাঁরা এটাও দেখেছেন, কীভাবে একটি মেয়েকে মারা হচ্ছে, একটা ছেলেকে ধাক্কা মারা হচ্ছে । আমরা এই ঘটনার বিরোধিতা করছি।"

SFI-এর রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্যের কথায়, "গতকাল এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে যেভাবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা থেকে প্ররোচনা দিয়েছেন, উসকানি দিয়েছেন, তা দেখেছি ৷ তাঁর প্ররোচনাতেই গুন্ডারা এসে ভাঙচুর করে গেছে ইউনিয়ন রুম, আগুন জ্বালিয়ে গেছে, পড়ুয়ারা আহত হয়েছেন । এই গোটাটার প্রতিবাদে গুণ্ডামিকে ধিক্কার জানিয়ে আজকের এই মিছিল।"

BJP নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেছেন, ''ABVP নয়, জনরোষে আক্রান্ত হয়েছেন পড়ুয়ারা ।'' সেই বিষয়ে সৃজন ভট্টাচার্য বলেন, "BJP নিজেদের সম্পর্কে একটু বেশি ভাবছে । এখনও পশ্চিমবঙ্গে ওদের অত গণসমর্থন নেই । সেটা BJP-র সংঘটিত জমায়েত কি না তা ছবিতে মুখ তুলে তুলে দেখে চিহ্নিত করুক প্রশাসন । অবশ্যই ওটা BJP-র সংঘটিত গুন্ডামি সেটা প্রকাশ পেয়ে যাবে ।"

পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সৃজনবাবুর বক্তব্য, "পুলিশের ভূমিকা নিয়ে যত কম বলা যায় তত ভালো । BJP-র কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কোনওরকম প্ররোচনা দিলে বা BJP বাইরে থেকে এসে ভাঙচুর করলে পুলিশ নীরব দর্শক হয়ে থাকে । বামপন্থী ছাত্র-ছাত্রীরা কাজের দাবিতে, শিক্ষার দাবিতে নবান্ন অভিযানে গেলে পুলিশ উপর থেকে ইট ছোড়ে, জলকামান চালায় । পুলিশের এই ভূমিকাই আমরা দেখছি । পুলিশের ভূমিকায় ভাল কথা বলার কিছু নেই ।"

কলকাতা, 20 সেপ্টেম্বর : যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনার সঙ্গে বাম ছাত্র সংগঠন SFI কোনওভাবেই যুক্ত নয় । ঘটনার সঙ্গে জড়িত রয়েছে অতিবাম ছাত্র সংগঠন‌ । এই দাবি করল SFI । তবে পড়ুয়াদের হেনস্থার প্রতিবাদে আজ পথে নামল SFI-এর কলকাতা শাখা । ঢাকুরিয়ার দক্ষিণাপন থেকে যাদবপুর এইট বি পর্যন্ত মিছিল করে তারা ।

SFI-এর তরফে অণ্বেষা দাস বলেন, "কাল সারা দুনিয়া দেখেছে, গোটা দেশ দেখেছে, ছবি ভাইরাল হয়েছে ফেসবুকে ৷ বিভিন্ন সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে আমরা দেখতে পেয়েছি ছাত্রী হেনস্থা ‌। একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অবশ্যই আসবেন, কেন আসবেন না ? প্রথমত, আমাদের সংগঠনের সঙ্গে কোনওভাবেই জড়িত নয় । কারণ, সবাই জানে আমরা বাম ছাত্র সংগঠন । অতি বাম ছাত্র সংগঠন নয় । যখন মন্ত্রীমশাই জিজ্ঞেস করেন, আপনারা বুদ্ধবাবুর থেকে এটা শিখেছেন? তখন দেখা যায় তাঁরা কীভাবে চিৎকার করে বলেন যে আমরা নকশাল ।"

ছাত্র সংগঠনের সদস্যের কথায়, "আমরা তাঁদের রক্ষা করতে রাস্তায় নামিনি । আমরা যেটার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছি, তা হল একজন মন্ত্রী একটি মেয়েকে গলাধাক্কা দিচ্ছেন । উনি বলছেন, ওঁর নাকি জামা কাপড় ছেড়া হয়েছে, চুল ছেড়া হয়েছে, চশমা পড়ে গেছে । আমরা সেগুলো নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাই না ৷ কারণ, আমরা সেখানে কেউই উপস্থিত ছিলাম না । তবে, যাঁরা প্রত্যক্ষদর্শী তাঁরা এটাও দেখেছেন, কীভাবে একটি মেয়েকে মারা হচ্ছে, একটা ছেলেকে ধাক্কা মারা হচ্ছে । আমরা এই ঘটনার বিরোধিতা করছি।"

SFI-এর রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্যের কথায়, "গতকাল এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে যেভাবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা থেকে প্ররোচনা দিয়েছেন, উসকানি দিয়েছেন, তা দেখেছি ৷ তাঁর প্ররোচনাতেই গুন্ডারা এসে ভাঙচুর করে গেছে ইউনিয়ন রুম, আগুন জ্বালিয়ে গেছে, পড়ুয়ারা আহত হয়েছেন । এই গোটাটার প্রতিবাদে গুণ্ডামিকে ধিক্কার জানিয়ে আজকের এই মিছিল।"

BJP নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেছেন, ''ABVP নয়, জনরোষে আক্রান্ত হয়েছেন পড়ুয়ারা ।'' সেই বিষয়ে সৃজন ভট্টাচার্য বলেন, "BJP নিজেদের সম্পর্কে একটু বেশি ভাবছে । এখনও পশ্চিমবঙ্গে ওদের অত গণসমর্থন নেই । সেটা BJP-র সংঘটিত জমায়েত কি না তা ছবিতে মুখ তুলে তুলে দেখে চিহ্নিত করুক প্রশাসন । অবশ্যই ওটা BJP-র সংঘটিত গুন্ডামি সেটা প্রকাশ পেয়ে যাবে ।"

পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সৃজনবাবুর বক্তব্য, "পুলিশের ভূমিকা নিয়ে যত কম বলা যায় তত ভালো । BJP-র কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কোনওরকম প্ররোচনা দিলে বা BJP বাইরে থেকে এসে ভাঙচুর করলে পুলিশ নীরব দর্শক হয়ে থাকে । বামপন্থী ছাত্র-ছাত্রীরা কাজের দাবিতে, শিক্ষার দাবিতে নবান্ন অভিযানে গেলে পুলিশ উপর থেকে ইট ছোড়ে, জলকামান চালায় । পুলিশের এই ভূমিকাই আমরা দেখছি । পুলিশের ভূমিকায় ভাল কথা বলার কিছু নেই ।"

Intro:কলকাতা, 20 সেপ্টেম্বর: গতকাল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটে যাওয়া ঘটনার সঙ্গে বাম ছাত্র সংগঠন SFI কোনোভাবেই যুক্ত নয়। ঘটনার সঙ্গে জড়িত রয়েছে অতিবাম ছাত্র সংগঠন‌। এমনই দাবি SFI-এর। তাও গতকালের ঘটনায় ছাত্র-ছাত্রীদের হেনস্থার প্রতিবাদে আজ পথে নামল SFI-এর কলকাতা শাখা। এদিন ঢাকুরিয়া দক্ষিণাপন থেকে যাদবপুর 8B পর্যন্ত মিছিল করেন তাঁরা।



Body:আজ মিছিলের কারণ হিসেবে SFI-এর তরফে অন্বেষা দাস বলেন, "কালকে সারা দুনিয়া দেখতে পেয়েছে, গোটা দেশ দেখতে পেয়েছে, ফোটো ভাইরাল হয়েছে ফেসবুকে এবং বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে আমরা দেখতে পেয়েছি মহিলা স্টুডেন্টদের হ‍্যাকেল করা হয়েছে‌। একজন ইউনিয়ন মিনিস্টার অবশ্যই আসবেন, কেন আসবেন না। প্রথমত, আমাদের সংগঠনের সঙ্গে কোনোভাবেই জড়িত নয়। কারণ, সবাই জানে আমরা বাম ছাত্র সংগঠন। তাঁরা অতি বাম ছাত্র সংগঠন। তখন মন্ত্রীমশাই জিজ্ঞেস করেন, আপনারা বুদ্ধবাবুর থেকে এটা শিখেছেন? তখন দেখা যায় তাঁরা কিভাবে চিৎকার করে বলে যে আমরা নকশাল। তবে হ‍্যাঁ, আজ আমরা তাঁদেরকে ডিফেন্ড করার জন্য রাস্তায় নামিনি। আমরা যেটার বিরুদ্ধে নেমেছি সেটা হল, একটি মেয়ে দেখা যাচ্ছে তাঁকে গলায় ধাক্কা দিচ্ছেন একজন মিনিস্টার। উনি খুব বলছেন ওনার নাকি জামা কাপড় ছেড়া হয়েছে, চুল ছেড়া হয়েছে, চশমা পড়ে গেছে। আমরা সেগুলো নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না, কারণ, আমরা সেখানে কেউই উপস্থিত ছিলাম না। তবে, যারা প্রত্যক্ষদর্শী তাঁরা এটাও দেখেছেন, কিভাবে একটি মেয়েকে মারা হচ্ছে, একটা ছেলেকে ধাক্কা মারা হচ্ছে। আমরা তার বিরোধিতা করছি।"

SFI-এর রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য বলেন, "গতকাল এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে যেভাবে ঘন্টার পর ঘন্টা ইনস্টিগেট করেছেন, প্ররোচনা দিয়েছেন, উস্কানি দিয়েছেন এবং তারপরে তার প্ররোচনাতেই গুণ্ডারা এসে ভাঙচুর করে গেছে ইউনিয়ন রুম, আগুন জ্বালিয়ে গেছে, ছাত্র-ছাত্রীরা আহত হয়েছেন। এই গোটাটার প্রতিবাদে গুণ্ডামিকে ধিক্কার জানিয়ে আজকের এই মিছিল।"

জয়প্রকাশ মজুমদার বলছেন, ABVP নয়, জনরোষে আক্রান্ত হয়েছেন ছাত্রছাত্রীরা। সেই বিষয়ে সৃজন ভট্টাচার্য বলেন, "বিজেপি নিজেদের সম্পর্কে একটু বেশি ভাবছে। এখনো পশ্চিমবঙ্গে ওদের অত গণভিত্তি হয়নি যে, বিজেপির পতাকা নিয়ে জনরোষ হবে। সেটা বিজেপির সংঘটিত জমায়েত কিনা তা ছবিতে মুখ তুলে তুলে দেখে চিহ্নিত করুক প্রশাসন। অবশ্যই ওটা বিজেপির সংঘটিত গুণ্ডামি সেটা প্রকাশ পেয়ে যাবে।" পুলিশের ভূমিকা নিয়ে তিনি বলেন, "পুলিশের ভূমিকা নিয়ে যত কম বলা যায় তত ভালো। পুলিশ বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কোনোরকম উস্কানি, প্ররোচনা দিলে বা বিজেপি বাইরে থেকে এসে ভ‍্যান্ডালাইজ করলে পুলিশ নীরব দর্শক হয়ে থাকে। আর বামপন্থী ছাত্র-ছাত্রীরা কাজের দাবিতে, শিক্ষার দাবিতে নবান্ন অভিযানে গেলে পুলিশ উপর থেকে ইট মারে, জলকামান চালায়। পুলিশের এই ভূমিকায় আমরা অভ্যস্ত। পুলিশের ভূমিকায় ভালো কথা বলার কিছু নেই।"


Conclusion:
Last Updated : Sep 20, 2019, 6:13 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.