কলকাতা, 9 মার্চ : গত সোমবার রাজ্যপালের বাজেট অধিবেশনের বক্তৃতায় বাধা সৃষ্টির জের ৷ বুধবার চলতি বাজেট অধিবেশন থেকে বিজেপির দুই বিধায়ক মিহির গোস্বামী এবং সুদীপ মুখোপাধ্যায়কে সাসপেন্ড করলেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের রাজ্যপালের জবাবি ভাষণের সময় বিধানসভায় ফের বিশৃঙ্খলার জড়িয়ে পড়লেন বিজেপি নেতাদের (BJP agitation in Assembly in protest of their MLAs suspension) । বিজেপি পরিষদের তরফ থেকে হুঁশিয়ারি দিয়ে জানানো হয়, এভাবে তাদের সদস্যদের সাসপেনশন করে বিজেপি বিধায়কদের মুখ বন্ধ করা যাবে না।
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, যদি এই সাসপেনশন তোলা না-হয়, তাহলে অধিবেশনের বাকি দিনগুলো সাসপেন্ড দুই বিধায়ক বিধানসভার লবিতে বসেই সরকারের জনবিরোধী সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাবেন। বুধবার, রাজ্যপালের জবাবি ভাষণের আগেই দুই বিধায়ককে সাসপেনশনের কথা ঘোষণা করেন স্পিকার। বিজেপি পরিষদীয় দলের তরফে বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানানো হলেও স্পিকার স্পষ্ট ভাষায় বলেন, "এ জন্য পরিষদের তরফে লিখিতভাবে তাঁর কাছে আবেদন জানাতে হবে ৷" কিন্তু বিজেপি বিধায়করা সেদিকে কর্ণপাত করেননি বরং স্পিকারের নির্দেশকে উপেক্ষা করে ওয়েলে নেমে চিৎকার শুরু করেন।
আরও পড়ুন : "আমরা কৃষকদের গাড়িচাপা দিয়ে মারার চেষ্টা করি না", বিধানসভায় বিজেপিকে আক্রমণ মমতার
পরবর্তীতে রাজ্যপালের জবাবি ভাষণে বিজেপির তরফে কেউ যোগদান করেনি। অধ্যক্ষ একের পর এক নাম ডাকতে থাকলেও বিরোধীরা স্লোগানে মত্ত থাকেন। ফলে বিজেপির বিক্ষোভের আঁচ এসে পড়ে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তৃতায়। বিধানসভায় এদিন নিজের বক্তব্যে বিজেপিকে নিশানা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিরক্ত মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিধানসভায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে বিজেপি। ওরা মানুষের কথা শোনে না। ওদের একটাও আসন দেওয়া উচিত নয়। খালি দাঙ্গা করে। সমস্ত অপপ্রচারের জবাব দিয়েছে বাংলার মানুষ। মনে রাখবেন বাংলায় রয়্য়াল বেঙ্গল টাইগার আছে। অব কি বার, বিজেপি পগার পার।"