কলকাতা, 9 অগস্ট: ভিন রাজ্যে তদন্ত গিয়ে ফের বাধার মুখে পড়তে হল কলকাতা পুলিশকে (Bihar-Kolkata Police tug of war)। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে বেলেঘাটায় এক আইনজীবীর বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় বিহারের (Bihar Police) রকসৌল থেকে গ্রেফতার করা হয় রাজকুমার রায় ওরফে মিরাজ নামে এক ব্যক্তিকে (Under trial prisoner flees jail)।
অভিযোগ, পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন ওই ব্যক্তি হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান । গতকাল বিকেলে বিহারের পূর্ব চম্পারণ থানার সহযোগিতায় ওই দুষ্কৃতীকে ফের গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ ৷ কিন্তু, নিয়ম অনুযায়ী ওই অভিযুক্তকে কলকাতা পুলিশ সেখানকার আদালতে পেশ করে ট্রানজিট রিমান্ডে কলকাতায় নিয়ে আসার কথা । কিন্তু লালবাজার সূত্রের খবর, স্থানীয় চম্পারণ থানার তরফ থেকে ওই ব্যক্তিকে নিজেদের হেফাজতে চাইতে শুরু করেছে বিহার পুলিশ ।
লালবাজারের দাবি, ওই ব্যক্তিকে অন্য একটি মামলায় নিজেদের হেফাজতে চাইতে শুরু করে দিয়েছে বিহার পুলিশ এবং কলকাতা পুলিশকে ওই দুষ্কৃতীকে হেফাজতে নিতে রীতিমতো বাধা দেওয়া হচ্ছে । এই মর্মে এ বার সঠিক কী আইনি প্রক্রিয়া নেওয়া সম্ভব, সেই নিয়েই লালবাজারে বসেছে বৈঠক । জানা গিয়েছে, কলকাতা পুলিশের অ্যাডিশনাল পুলিশ কমিশনার পদমর্যাদার দুই আধিকারিক বিহার পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলছেন । তবে এই বিষয়ে বিহার পুলিশের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি ।
আরও পড়ুন: ইডির ডেপুটি ডিরেক্টরকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে লালবাজার
সম্প্রতি জানুয়ারি মাসে বেলেঘাটার এক আইনজীবীর বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে । সেই ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ । এরপরেই তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে লাগাতার জেরা পর্ব চালাচ্ছিলেন গোয়েন্দারা । এই ঘটনায় আর কারা কারা যুক্ত রয়েছে তা জানার চেষ্টা চালানো হচ্ছিল । কিন্তু তারই মাঝে আচমকা শারীরিক অসুস্থতা বোধ করতে থাকেন ওই অভিযুক্ত ৷ এরপরেই তাঁকে ভর্তি করা হয় শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে । কিন্তু নিরাপত্তা ব্যবস্থার ফাঁকফোকর দেখে ওই অভিযুক্ত তাঁর চিকিৎসা চলাকালীন শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান ।
এরপরে লাগাতার তাঁর ফোন নম্বর ট্র্যাক করতে থাকে কলকাতা পুলিশ । ফোন নম্বর ট্র্যাক করেই টাওয়ার লোকেশন থেকে পুলিশ জানতে পারে, বিহারের রকসৌল এলাকায় সে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে ৷ এরপরেই সেখান থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ । কিন্তু মাঝপথে বিহার পুলিশ এসে ওই অভিযুক্ত ব্যক্তিকে কলকাতা পুলিশের হাত থেকে কার্যত নিয়ে গিয়ে নিজেদের হেফাজতে চাইতে শুরু করেছে ।