কলকাতা, 24 এপ্রিল: লকডাউনে বড়সড় আর্থিক ক্ষতির মুখে রাজ্যের প্রকাশক ও বই বিক্রেতারা । যত দিন যাচ্ছে পরিস্থিতি জটিল থেকে জটিলতর হয়ে উঠছে । এই অবস্থায় সাহায্যের আর্জি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিল পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ড।
লকডাউনের জেরে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে বই প্রকাশক ও বিক্রেতারা। বর্তমান অবস্থায় পত্রিকাগুলির পুজো সংখ্যার বাজারেও বড়সড় ধাক্কা আসতে চলেছে বলে আশঙ্কা করছেন প্রকাশকরা । এদিকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বই শিল্পের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে রাজ্যের প্রায় 5 লাখ মানুষ। এদের মধ্যে ছোটো প্রকাশনা ও বইয়ের দোকানের মালিক এবং কর্মচারীরা ইতিমধ্যে আর্থিক অনটনে পড়েছেন। কলেজ স্ট্রিটের এক প্রকাশকের কথায়, ইতিমধ্যেই বই বাজারে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ কয়েকশো কোটি টাকা। অন্যদিকে, লকডাউন কবে উঠবে, কবে ফের সব কিছু স্বাভাবিক হবে তা বোঝা যাচ্ছে না। এরকম পরিস্থিতিতে বই প্রকাশন সংস্থা ও বইয়ের দোকানগুলিকে বাঁচাতে, বই শিল্পের সঙ্গে জড়িত অসংখ্য মানুষকে সাহায্যের আর্জি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিল পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ড।
গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিবকুমার চট্টোপাধ্যায় বলেন, "বিরাট আর্থিক টানাপোড়েনের মধ্যে পড়েছে বাংলার বইজগৎ। শুধু এরাজ্যেই নয়, বাংলা বইয়ের বাজার ছড়িয়ে রয়েছে দিল্লি, মুম্বাই, বেঙ্গালুরু, ত্রিপুরা, অসম, শিলচর সহ বিস্তীর্ণ জায়গায়। মার্চ থেকেই শুরু হয়ে যায় পুজো সংখ্যার কাজও। কিন্তু এবছর কোরোনা আতঙ্ক সেসব গ্রাস করেছে।"
বইপাড়া নিয়ে উদ্বিগ্ন গিল্ডের অনারারি সাধারণ সম্পাদক ও প্রকাশক সুধাংশু শেখর দে বলেন, "জনতা কারফিউ থেকে বন্ধ হয়েছে বইপাড়া। কলেজ স্ট্রিটের দোকানিরা আর্থিক অনটনে পড়েছেন। বই শিল্পের উপর নির্ভর করে বাঁচে লাখ লাখ মানুষ। তাঁরা আজ বিপন্ন।"