কলকাতা, 15 জুলাই : আজ সকালেই রাজ্য সরকারকে টুইট করে সমালোচনা করেন রাজ্যপাল ৷ টুইটে রাজ্যপাল লেখেন," শিক্ষা ব্যবস্থাকে খাঁচাবন্দী করলে তার ফল ভয়াবহ হতে বাধ্য ৷" একইসঙ্গে রাজ্যপালের ডাকা ভার্চুয়াল কনফারেন্সে পড়ুয়াদের কথা ভেবে উপাচার্যদের যোগ দেওয়া উচিত বলেও তিনি মন্তব্য করেন ৷ কিন্তু রাজ্যপালের এই টুইটের পরেও অধিকাংশ উপাচার্য সেই ভার্চুয়াল কনফারেন্সে গরহাজির রইলেন ৷
রাজ্যপালের ডাকা ভার্চুয়াল কনফারেন্সে অধিকাংশ উপাচার্যের অনুপস্থিতিকে রাজ্যপাল "দুর্ভাগ্যজনক" আখ্যা দিয়ে টুইট করে বলেন,"ভার্চুয়াল কনফারেন্সে পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং সহ-উপাচার্যের থেকে অনেক কিছু জানার সুযোগ হল। দুর্ভাগ্যজনকভাবে অন্য উপাচার্যরা ছাত্র-ছাত্রীদের স্বার্থের কথা ভাবলেন না। তাঁরা বৈঠকে থাকেননি।" এর পরেই কার্যত ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি আবারও অন্য এক টুইটে বলেন, "বিদ্যার্থীদের স্বার্থের পরিপন্থী কিছু মানব না। ১৬ জুলাই সকাল সাড়ে 11টায় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে মিলিত হয়ে যা বলার বলব।"
আজ সকালেই রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্য সরকারকে নিশানা করেন ৷ ভার্চুয়াল কনফারেন্সের আগেই শিক্ষা ব্যবস্থায় রাজনীতিকরণ প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করে বসেন রাজ্যপাল ৷ আজ পর পর কয়েকটি টুইটে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে রাজ্যপাল লেখেন, ‘‘ছাত্র-ছাত্রীদের মুখ চেয়ে এবং তাঁদের অগ্রাধিকারের কথা ভেবে উপাচার্যদের ভার্চুয়াল কনফারেন্সে যোগ দেওয়া প্রয়োজন । এক্ষেত্রে পক্ষপাতমূলক অবস্থান নেওয়া অনুচিত । শিক্ষা এবং শিক্ষার্থীদের প্রতি ইতিবাচক পদক্ষেপ করতে চেয়েও তা সম্ভব হচ্ছে না ।’’
রাজ্যপালের এই বক্তব্য প্রসঙ্গে আজ খুব সংযত মন্তব্য করেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ৷ তিনি বলেন," শিক্ষাকে রাজনৈতিক খাঁচাবন্দী করে রাখা আমাদের রাজ্যে হয়নি ৷এটা তাঁর (রাজ্যপাল) উপলব্ধি৷ আমি গিয়ে তাঁকে বুঝিয়ে এসেছি ,এই মুহূর্তে ছাত্ররা সশরীরে পরীক্ষায় উপস্থিত থেকে জীবনের ঝুঁকি নিতে পারবে না ৷ 29 তারিখে UGC যে সার্কুলার দিয়েছে সে বিষয়ে আমরা সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের জানিয়েছি৷ আমি আমার প্রধান সচিবকে নিয়ে গিয়ে রাজ্যপালকে বুঝিয়ে এসেছি ৷ তারপর তিনিও টুইট করে বলেন যে তিনিও এই বিষয়ে একমত ৷এরপর উনার বক্তব্য নিয়ে কোনও কিছু বলা আমার শোভা পায় না, সুন্দরও লাগে না ৷"