ETV Bharat / city

গণি-মিথের অবসান, তৃণমূল ও বিজেপিতেই ভরসা রাখল মালদা

author img

By

Published : May 2, 2021, 9:31 PM IST

মালদা৷ এক সময় গণি খানের গড় হিসেবে পরিচিত৷ কিন্তু 2021 সালের নির্বাচনের পর সেই মিথ ভেঙে গেল ৷ এতদিন মালদা থেকে খালি হাতে ফিরতে হত তৃণমূলকে৷ কিন্তু এবার তারাই বেশি আসন পেল ৷ গতবারের চেয়ে আসন বাড়াল বিজেপিও ৷ আর শূন্য় হাতে ফিরতে হল কংগ্রেস ৷

গণি-মিথের অবসান, তৃণমূল ও বিজেপিতেই ভরসা রাখল মালদা
গণি-মিথের অবসান, তৃণমূল ও বিজেপিতেই ভরসা রাখল মালদা

কলকাতা, 02 মে : গণির গড় ৷ মালদার রাজনীতি নিয়ে আলোচনা শুরু হলে শুরুতেই প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠে এই বিষয়টি ৷ উত্তরবঙ্গের এই জেলায় কংগ্রেস ও বরকত গণি খান চৌধুরী সমার্থক হয়ে উঠেছিল ৷ এমনকী, গণি খানের মৃত্যুর পরও তাঁর মিথ ভাঙিয়েই মালদার রাজনীতিতে দাপট বজায় রেখেছিল কংগ্রেস ৷

সেই মালদাতেই কংগ্রেসকে এবার ভোটাররা শূন্য হাতে ফিরিয়ে দিল ৷ জেলার 12টি বিধানসভা আসনের একটিতেও জিতল পারল না কংগ্রেস ৷ তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে গেল 7টি আসন ৷ অথচ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে এতদিন প্রতিটি ভোটেই খালি হাতে ফিরতে হত মালদা থেকে ৷ আর 2016 সাল থেকে শক্তিবৃদ্ধির ধারা বজায় রেখে এবার 5টি আসনে জিতেছে ভারতীয় জনতা পার্টি ৷

কিন্তু কেন এমন হল ? যে জেলায় এতদিন আধিপত্য ছিল কংগ্রেসের ৷ সেখান থেকে কেন খালি হাতে ফিরতে হল কংগ্রেসকে ৷ পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে যে 2011 সালে তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যের ক্ষমতায় আসার পর থেকে মালদায় ক্রমশ শক্তিক্ষয় হয়েছে কংগ্রেসের ৷ আর সেই জায়গাটা একটু একটু করে দখল করেছে তৃণমূল ও বিজেপি ৷

কিন্তু 2016 সালে বিজেপি খাতা খুলতে পারলেও তৃণমূল কংগ্রেস পারেনি ৷ এমনকী, 2019 সালের লোকসভা ভোটে বিজেপি মালদা উত্তর আসনে জিতলেও মালদা দক্ষিণ আসনটি জিতে নেয় কংগ্রেস ৷ বিধানসভা ভিত্তিক পরিসংখ্যান ধরলে দেখা যাবে গত লোকসভা ভোটের হিসেব অনুযায়ী, বিজেপি 6টি ও কংগ্রেস 4টি আসনে এগিয়েছিল ৷ আর 2টি আসনে এগিয়েছিল তৃণমূল ৷

এর প্রেক্ষিতে বলা যায় যে মালদায় তৃণমূলের ফল অনেকটা ভালো হয়েছে ৷ বিজেপি কিছুটা হলেও 2019-এর ফল ধরে রাখতে পেরেছে ৷ কিন্তু কংগ্রেস একেবারে শূন্যতে পৌঁছে গিয়েছে ৷

আরও পড়ুন : কাজে এল না সিদ্দিকি টনিক, এই প্রথম বিধানসভা বাম-কংগ্রেসহীন

দলের ফল কেন এত খারাপ মালদায় ? এই প্রশ্নের উত্তরে কংগ্রেসের আইনজীবী নেতা পার্থপ্রতীম বিশ্বাস জানালেন, মালদা যেহেতু সীমান্তবর্তী জেলা, তাই এনআরসি, সিএএ-র ভয় অনেকেই পেয়েছিলেন ৷ তাই সকলেই বিজেপির থেকে বাঁচতে চেয়েছেন ৷ আর এই ক্ষেত্রে তৃণমূল কংগ্রেসকেই ভোটাররা বিকল্প বলে মনে করেছেন ৷ কংগ্রেসকে বিকল্প বলে ভাবেননি ৷

কলকাতা, 02 মে : গণির গড় ৷ মালদার রাজনীতি নিয়ে আলোচনা শুরু হলে শুরুতেই প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠে এই বিষয়টি ৷ উত্তরবঙ্গের এই জেলায় কংগ্রেস ও বরকত গণি খান চৌধুরী সমার্থক হয়ে উঠেছিল ৷ এমনকী, গণি খানের মৃত্যুর পরও তাঁর মিথ ভাঙিয়েই মালদার রাজনীতিতে দাপট বজায় রেখেছিল কংগ্রেস ৷

সেই মালদাতেই কংগ্রেসকে এবার ভোটাররা শূন্য হাতে ফিরিয়ে দিল ৷ জেলার 12টি বিধানসভা আসনের একটিতেও জিতল পারল না কংগ্রেস ৷ তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে গেল 7টি আসন ৷ অথচ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে এতদিন প্রতিটি ভোটেই খালি হাতে ফিরতে হত মালদা থেকে ৷ আর 2016 সাল থেকে শক্তিবৃদ্ধির ধারা বজায় রেখে এবার 5টি আসনে জিতেছে ভারতীয় জনতা পার্টি ৷

কিন্তু কেন এমন হল ? যে জেলায় এতদিন আধিপত্য ছিল কংগ্রেসের ৷ সেখান থেকে কেন খালি হাতে ফিরতে হল কংগ্রেসকে ৷ পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে যে 2011 সালে তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যের ক্ষমতায় আসার পর থেকে মালদায় ক্রমশ শক্তিক্ষয় হয়েছে কংগ্রেসের ৷ আর সেই জায়গাটা একটু একটু করে দখল করেছে তৃণমূল ও বিজেপি ৷

কিন্তু 2016 সালে বিজেপি খাতা খুলতে পারলেও তৃণমূল কংগ্রেস পারেনি ৷ এমনকী, 2019 সালের লোকসভা ভোটে বিজেপি মালদা উত্তর আসনে জিতলেও মালদা দক্ষিণ আসনটি জিতে নেয় কংগ্রেস ৷ বিধানসভা ভিত্তিক পরিসংখ্যান ধরলে দেখা যাবে গত লোকসভা ভোটের হিসেব অনুযায়ী, বিজেপি 6টি ও কংগ্রেস 4টি আসনে এগিয়েছিল ৷ আর 2টি আসনে এগিয়েছিল তৃণমূল ৷

এর প্রেক্ষিতে বলা যায় যে মালদায় তৃণমূলের ফল অনেকটা ভালো হয়েছে ৷ বিজেপি কিছুটা হলেও 2019-এর ফল ধরে রাখতে পেরেছে ৷ কিন্তু কংগ্রেস একেবারে শূন্যতে পৌঁছে গিয়েছে ৷

আরও পড়ুন : কাজে এল না সিদ্দিকি টনিক, এই প্রথম বিধানসভা বাম-কংগ্রেসহীন

দলের ফল কেন এত খারাপ মালদায় ? এই প্রশ্নের উত্তরে কংগ্রেসের আইনজীবী নেতা পার্থপ্রতীম বিশ্বাস জানালেন, মালদা যেহেতু সীমান্তবর্তী জেলা, তাই এনআরসি, সিএএ-র ভয় অনেকেই পেয়েছিলেন ৷ তাই সকলেই বিজেপির থেকে বাঁচতে চেয়েছেন ৷ আর এই ক্ষেত্রে তৃণমূল কংগ্রেসকেই ভোটাররা বিকল্প বলে মনে করেছেন ৷ কংগ্রেসকে বিকল্প বলে ভাবেননি ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.