কলকাতা, 17 এপ্রিল : ভোট-পঞ্চমী শেষ ৷ এবার ‘ষষ্ঠী’র অপেক্ষা ৷ প্রথম দফা থেকে আপাত শান্তিপূর্ণ ভোটের রেকর্ড কি ধরে রাখতে পারবে পশ্চিমবঙ্গ ? এটাই এখন রাজ্য রাজনীতিতে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন ৷
কারণ, ষষ্ঠ দফায় যে আসনগুলিতে ভোট হবে, সেগুলির একটা বড় অংশে যেমন বিজেপির দাপট রয়েছে, তেমনই সেখানে ভোটের দিন গোলমালের ইতিহাসও খুব ছোট নয় ৷ গত লোকসভাতেও অশান্ত হয়েছিল পরিস্থিতি ৷
যদিও প্রথম থেকে চতুর্থ, এই দফাগুলিতে যে গোলমাল হয়নি, তা বলা যায় না ৷ অশান্তি হয়েছে ৷ প্রার্থীরা আক্রান্ত হয়েছেন ৷ এমনকী, কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চার জনের মৃত্যু হয়েছে ৷ ভোটের লাইনে দাঁড়িয়েও একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গিয়েছেন ৷ আর আজ, শনিবার পঞ্চম দফাতেও বিভিন্ন জায়গায় গোলমাল মাত্রা ছাড়িয়েছে ৷ কোথাও নির্দল প্রার্থীকে অস্ত্র হাতে দেখা গিয়েছে ৷ কোথাও আবার গুলি চলেছে ৷
তবু শীতলকুচির ঘটনা বাদ দিলে রাজ্যের ভোট আপাত শান্তিপূর্ণ বলেই মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক শান্তনু সান্যাল ৷ তবে তাঁর মতে, এইটুকু বিক্ষিপ্ত অশান্তিই বা হবে কেন ?
আর এই পরিস্থিতিতে শান্তিপূর্ণ ভোটের রেকর্ড ধরে রাখাই নির্বাচন কমিশনের কাছে অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ৷ কারণ, পরের দফায় উত্তর দিনাজপুরের ন’টি আসনে ভোট, উত্তর 24 পরগনার যে 17টি আসনে ভোট, তার মধ্যে রয়েছে আমডাঙা, ভাটপাড়া, নোয়াপাড়া, বাদুড়িয়ার মতো গোলামাল প্রবণ এলাকা ৷
একই কথা বলা যায় পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোট, আউশগ্রাম, কেতুগ্রাম সম্পর্কেও ৷ সেখানেও ভোট আগামী 22 এপ্রিল ৷ নদিয়ার 9টি আসনে ভোট ওই দিন ৷ তেহট্ট, পলাশিপাড়া, নাকাশিপাড়াতেও ভোটের দিন অশান্তির ছবি আগেও উঠে এসেছে ৷
তাই অনেকেরই প্রশ্ন যে পরের দফায় কি এই শান্তি খানখান হয়ে যাবে ? রাজনৈতিক বিশ্লেষক শান্তনু সান্যালও গোলমালের আশঙ্কা উড়িয়ে দিলেন না ৷ তাঁর মতে, গোলমাল হতেই পারে ৷ তবে ভোট শান্তিপূর্ণ করার দায় নির্বাচন কমিশনের ৷
আরও পড়ুন : ভোট-পঞ্চমীতে ভাল নম্বর নিয়েই পাস করল কমিশন
কিন্তু এই এলাকায় গোলমাল কারা করতে পারে ৷ কারণ, অধিকাংশ জায়গাই বিজেপির শক্তঘাঁটি বলে পরিচিত ৷ শান্তনু সানাল্যের মতে, যারা হারবে বলে মনে করবে, তারাই গোলমাল পাকাবে ৷