ETV Bharat / city

এবার শিল্পবিরোধী ভাবমূর্তি কাটাতে মনোযোগী হোন মমতা - bengal election result 2021

রাজ্যে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় তৃণমূল ৷ ফের বাংলার মসনদে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ এই অবস্থায় কোন বিষয়গুলির উপর সবার আগে গুরুত্ব দেওয়া উচিত মুখ্য়মন্ত্রীর ? নিজের মত জানালেন শান্তনু সান্যাল ৷

bengal-election-2021-now-mamata-banerjee-should-concentrate-on-her-anti-industry-image-makeover
এবার শিল্পবিরোধী ভাবমূর্তি কাটাতে মনোযোগী হোন মমতা
author img

By

Published : May 2, 2021, 4:38 PM IST

Updated : May 2, 2021, 8:25 PM IST

ভোটের ফলাফলেই স্পষ্ট যে, তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি বা শিল্পবিরোধী ইমেজের অভিযোগ বিজেপির পালে হাওয়া জোগাতে পারেনি ৷ সে জন্যই বিরোধী আসনে গেরুয়া শিবির ৷ আমার মতে, তৃণমূলের বাংলার মসনদে বসার হ্যাটট্রিকের মূল ভিত্তি চারটি ৷ মুখ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিগত ক্যারিশমা, সংখ্যালঘু ভোটের একত্রিত হওয়া, মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি মহিলাদের ভরসা ও তৃণমূলের নিজস্ব দলীয় শক্তি ৷

অপরদিকে, জনতার রায় বিজেপির বিরুদ্ধে যাওয়ারও চারটে ফ্যাক্টর ৷ সেগুলি হল নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহের উপর নির্ভর করে ভোট বৈতরণী পার করার চেষ্টা, রাজ্য নেতৃত্বে বিশ্বাসযোগ্য মুখের অভাব, দুর্বল সাংগঠনিক নেটওয়ার্ক এবং অবাঙালি ও হিন্দি বেল্টের দল হিসেবে বিজেপির ভাবমূর্তি ৷ এ ছাড়াও তৃণমূলের নেতাদের ভোটের আগে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার হিড়িকও বিজেপির পক্ষে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে, তাও স্পষ্ট ভোটের ফলে ৷

এখন পরপর তিনবার ক্ষমতায় আসার পর মুখ্যমন্ত্রীর এ বার শিল্পবিরোধী ভাবমূর্তি থেকে বেরিয়ে এসে কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ করা উচিত ৷ আমার মতে, শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থানে নীতিনির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করা উচিত মমতার ৷ প্রথমেই তাঁকে উইপ্রো, ইনফোসিস ও অ্যাক্সেঞ্চারের মতো অন্যান্যদের রাজ্যে আসার সুযোগ করে দিতে স্পেশ্য়াল ইকোনমিক জ়োনের উপর জোর দিতে হবে ৷

আরও পড়ুন: নন্দীগ্রামে তৃণমূল কর্মীদের উল্লাস

রাজনৈতিকভাবে অবশ্য নিজেদের ঘোষিত অবস্থান থেকে পুরোপুরি উল্টো পথে হাঁটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষে সম্ভব নয়, এটা আমিও মানি ৷ তবে মুখ্যমন্ত্রীর অন্তত এই ভাবমূর্তি তুলে ধরা উচিত যে, জমিদাতা ও শিল্পপতিদের মধ্যে জটিলতা কাটাতে সরকার মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করছে ৷ পশ্চিমবঙ্গে বড় বিনিয়োগ আসার ক্ষেত্রে বড় বাধা রাজ্যে নেতিবাচক ভাবমূর্তি ৷ সেই ভাবমূর্তির মেকওভার করাই মুখ্যমন্ত্রীর তৃতীয়বারের সরকারে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাওয়া উচিত ৷

সবশেষে এটাই বলি, রাজ্য ও কেন্দ্রের সরকারের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক ছাড়া রাজ্যের সার্বিক উন্নতি সম্ভব নয় ৷ বাম আমলে ও গত তৃণমূল সরকারের আমলে কেন্দ্রবিরোধী ঐতিহ্য বজায় রাখায় পশ্চিমবঙ্গে জাতীয় কোনও ক্ষেত্রে রেখাপাত করতে পারেনি ৷ হ্যাঁ, রাজনৈতিকভাবে তৃণমূল কংগ্রেস প্রধান হিসেবে নিজের এই বিজেপিবিরোধী ভাবমূর্তি ধরে রাখতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ৷ এই ঐতিহাসিক জয়ের পর তাঁকে নিজেকে জাতীয় মুখ হিসেবে তুলে ধরতে হবে ৷ তবে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে রাজ্যের আর্থিক উন্নতির স্বার্থে তাঁকে কেন্দ্রের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক বজায় রেখে চলতে হবে ৷

(লেখক প্রবীণ সাংবাদিক)

ভোটের ফলাফলেই স্পষ্ট যে, তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি বা শিল্পবিরোধী ইমেজের অভিযোগ বিজেপির পালে হাওয়া জোগাতে পারেনি ৷ সে জন্যই বিরোধী আসনে গেরুয়া শিবির ৷ আমার মতে, তৃণমূলের বাংলার মসনদে বসার হ্যাটট্রিকের মূল ভিত্তি চারটি ৷ মুখ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিগত ক্যারিশমা, সংখ্যালঘু ভোটের একত্রিত হওয়া, মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি মহিলাদের ভরসা ও তৃণমূলের নিজস্ব দলীয় শক্তি ৷

অপরদিকে, জনতার রায় বিজেপির বিরুদ্ধে যাওয়ারও চারটে ফ্যাক্টর ৷ সেগুলি হল নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহের উপর নির্ভর করে ভোট বৈতরণী পার করার চেষ্টা, রাজ্য নেতৃত্বে বিশ্বাসযোগ্য মুখের অভাব, দুর্বল সাংগঠনিক নেটওয়ার্ক এবং অবাঙালি ও হিন্দি বেল্টের দল হিসেবে বিজেপির ভাবমূর্তি ৷ এ ছাড়াও তৃণমূলের নেতাদের ভোটের আগে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার হিড়িকও বিজেপির পক্ষে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে, তাও স্পষ্ট ভোটের ফলে ৷

এখন পরপর তিনবার ক্ষমতায় আসার পর মুখ্যমন্ত্রীর এ বার শিল্পবিরোধী ভাবমূর্তি থেকে বেরিয়ে এসে কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ করা উচিত ৷ আমার মতে, শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থানে নীতিনির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করা উচিত মমতার ৷ প্রথমেই তাঁকে উইপ্রো, ইনফোসিস ও অ্যাক্সেঞ্চারের মতো অন্যান্যদের রাজ্যে আসার সুযোগ করে দিতে স্পেশ্য়াল ইকোনমিক জ়োনের উপর জোর দিতে হবে ৷

আরও পড়ুন: নন্দীগ্রামে তৃণমূল কর্মীদের উল্লাস

রাজনৈতিকভাবে অবশ্য নিজেদের ঘোষিত অবস্থান থেকে পুরোপুরি উল্টো পথে হাঁটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষে সম্ভব নয়, এটা আমিও মানি ৷ তবে মুখ্যমন্ত্রীর অন্তত এই ভাবমূর্তি তুলে ধরা উচিত যে, জমিদাতা ও শিল্পপতিদের মধ্যে জটিলতা কাটাতে সরকার মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করছে ৷ পশ্চিমবঙ্গে বড় বিনিয়োগ আসার ক্ষেত্রে বড় বাধা রাজ্যে নেতিবাচক ভাবমূর্তি ৷ সেই ভাবমূর্তির মেকওভার করাই মুখ্যমন্ত্রীর তৃতীয়বারের সরকারে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাওয়া উচিত ৷

সবশেষে এটাই বলি, রাজ্য ও কেন্দ্রের সরকারের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক ছাড়া রাজ্যের সার্বিক উন্নতি সম্ভব নয় ৷ বাম আমলে ও গত তৃণমূল সরকারের আমলে কেন্দ্রবিরোধী ঐতিহ্য বজায় রাখায় পশ্চিমবঙ্গে জাতীয় কোনও ক্ষেত্রে রেখাপাত করতে পারেনি ৷ হ্যাঁ, রাজনৈতিকভাবে তৃণমূল কংগ্রেস প্রধান হিসেবে নিজের এই বিজেপিবিরোধী ভাবমূর্তি ধরে রাখতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ৷ এই ঐতিহাসিক জয়ের পর তাঁকে নিজেকে জাতীয় মুখ হিসেবে তুলে ধরতে হবে ৷ তবে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে রাজ্যের আর্থিক উন্নতির স্বার্থে তাঁকে কেন্দ্রের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক বজায় রেখে চলতে হবে ৷

(লেখক প্রবীণ সাংবাদিক)

Last Updated : May 2, 2021, 8:25 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.