শিলিগুড়ি, 25 মার্চ : করোনার দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ে চিন্তিত নির্বাচন কমিশন । কমিশনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করে প্রকাশ করা হবে নতুন গাইডলাইন । বুধবার শিলিগুড়িতে সাংবাদিক বৈঠক করে একথা জানান কেন্দ্রীয় মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক সুনীল আরোরা । সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সুনীল আরোরা বলেন, "এবারের নির্বাচনে সাধারণ নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের উপর বিশেষ নজরদারি চালাবে নির্বাচন কমিশন । নজরদারির জন্য নিয়োগ করা হবে বিশেষ পর্যবেক্ষক ।"
মঙ্গল এবং বুধবার উত্তরবঙ্গের আট জেলার জেলা প্রশাসন এবং পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরা । পাশাপাশি 11 জেলার জেলা প্রশাসন এবং পুলিশ আধিকারিকরা ভার্চুয়ালি বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন । তবে রাজ্যের জেলা প্রশাসন এবং পুলিশের আধিকারিকদের নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে পদক্ষেপ নিয়ে সন্তুষ্ট নির্বাচন কমিশন ।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে 31 শতাংশ ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে । মোট ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের 50 শতাংশ কেন্দ্রে ওয়েব কাস্টিং-এর মাধ্যমে নজরদারি রাখবে নির্বাচন কমিশন । অন্যদিকে গোর্খা টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (জিটিএ)-এর বিষয়ে সুনীল আরোরা বলেন, "রাজ্য যেখানে সমস্ত সরকার মনোনীত প্রশাসক বোর্ড ভেঙে দেওয়া হয়েছে, সেখানে কেন এখনও পর্যন্ত জিটিএ-তে প্রশাসক বোর্ড কাজ করছে, সেই বিষয়ে নির্বাচন আধিকারিকের মাধ্যমে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।"
পাশাপাশি তিনি বলেন, "এবারের নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সিভিক ভলান্টিয়ার এবং গ্রিন পুলিশকে কোনওভাবেই ব্যবহার করা যাবে না । নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় তাদের ভূমিকা কী হবে, তা নিয়ে একটি গাইডলাইন ইতিমধ্যে প্রকাশ করা হয়েছে ।" বিমল গুরুংয়ের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "বিমল গুরুংয়ের বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা করা হয়েছে । কিন্তু সংবাদমাধ্যমের কাছে তা খোলাসা করা সম্ভব নয় ।"
আরও পড়ুন : বিজেপি নেতার মৃত্যুতে সিবিআই তদন্তের দাবি নিশীথ প্রামাণিকের
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন 209 জন সাধারণ পর্যবেক্ষক, 55 জন পুলিশ পর্যবেক্ষক এবং 85 জন পর্যবেক্ষক নিয়োগ করেছে।