কলকাতা, 1 এপ্রিল: নন্দীগ্রামের বয়ালের ঘটনায় রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠালেন ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন ৷ পাশাপাশি কেশপুরের ঘটনারও পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট চেয়েছেন তিনি ৷ এরপরই দুই জায়গার জেলাশাসকের কাছে যত দ্রুত সম্ভব রিপোর্ট চেয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন ৷
দ্বিতীয় দফার ভোটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামের বয়ালে যাওয়ার পরই ধুন্ধুমার বাঁধে ৷ গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলার পর মমতা অভিযোগ করেন, বেশ কিছু জায়গায় কেন্দ্রীয় বাহিনী ভোটারদের ভোটদানে বাধা দিচ্ছে ৷ মমতা বয়ালের ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে পৌঁছতেই বুথের বাইরে উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয় ৷ বয়াল- 2-এর 7 নম্বর বুথের বাইরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে বেরিয়ে যায় ৷ বুথের ভিতরে ছিলেন মমতা, তখন বাইরে চূড়ান্ত উত্তেজনা ৷ বিজেপি-তৃণমূলের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে, হয় হাতাহাতি ৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী, ব়্যাফ ৷ বুথের ভেতর আটকে থেকেই রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে ফোন করেন তিনি ৷ প্রায় 2 ঘণ্টা ধরে চেষ্টা চালানোর পর পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে বুথ থেকে বের করে আনা হয় তৃণমূল নেত্রীকে ৷
আরও পড়ুন: বেলা গড়াতে বুথ তদারকিতে মমতা; বয়ালে উত্তজেনা, সংঘর্ষ
এ দিকে, দ্বিতীয় দফার ভোটের আগেই কেশপুরে খুন হন এক তৃণমূল কর্মী ৷ ঘটনায় অভিযুক্ত বিজেপি ৷ কেশপুর ব্লকের এর 4 নম্বর অঞ্চলের দাদপুর গ্রামের হরিহর চকের বাসিন্দা তৃণমূল কর্মী উত্তম দলুই ৷ তৃণমূলের অভিযোগ, গতকাল রাতে ওই তৃণমূল কর্মী যখন নিজের বাড়িতে ভাত খাচ্ছিলেন সেই সময় আচমকা বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তার উপর হামলা চালায় ৷ ছুরি দিয়ে পেটে আঘাত করা হয় উত্তমকে । এরপর আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় । আজ সকালে হাসপাতালে মৃত্যু হয় উত্তম দলুইয়ের ৷
আরও পড়ুন: কেশপুরে খুন তৃণমূল কর্মী, অভিযুক্ত বিজেপি
এই ঘটনায় ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক আরিজ আফতাবের কাছে ফোন করে 24 ঘণ্টার মধ্যে সকালের কেশপুরের ঘটনা এবং নন্দীগ্রামের বয়ালের ঘটনার পুরো রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন ৷ ঠিক একইভাবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে দুই জায়গায় জেলাশাসকদের কাছে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে ।