কলকাতা, 8 সেপ্টেম্বর : বেহালায় জোড়া খুন কাণ্ডে উঠে এল ব্যক্তিগত আক্রশের তত্ত্ব ৷ পুলিশ জানায়, মায়ের শরীরে কুড়িবার এবং ছেলের শরীরে পাঁচবার আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে ৷ তবে সুস্মিতা আততায়ীর হাত থেকে বাঁচার চেষ্টা করেছিলেন বলেও জানান তদন্তকারীরা ৷ পাশাপাশি মৃতের স্বামী তপন মণ্ডলের কথায় অসঙ্গতি পাওয়া যাচ্ছে ৷ তাঁর দেওয়া বয়ানের পর বিভিন্ন প্রশ্ন উঠছে ৷
তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, ব্যক্তিগত আক্রোশের কারণেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে প্রাথমিক অনুমান তাঁদের ৷ সুস্মিতা আততায়ীর হাত থেকে বাঁচার চেষ্টা করেন ৷ দু'জনের দেহেই আততায়ীর নখের চিহ্নও মিলেছে । ময়নাতদন্তের পর জানা যাচ্ছে সুস্মিতার শরীরে কুড়িটি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে এবং ছেলে তমোজিতের শরীরে পাঁচটি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে । মাথা, বুক, পেট এবং হাতে ভারীর আঘাতের চিহ্ন মিলেছে । ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী তাদের পাকস্থলীতে ভাত পাওয়া গিয়েছে । মৃত্যুর দু’ঘণ্টা আগে মা-ছেলে ভাত খেয়েছিল বলে জানা গিয়েছে ।
লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতার স্বামী তপন মণ্ডল তাঁর ফোন ঘটনার দিন সকাল 11টা থেকে বিকাল 4টে পর্যন্ত বন্ধ রেখেছিলেন । তদন্তকারীদের প্রশ্ন, কী কারণে তাঁর ফোন বন্ধ ছিল । এই প্রশ্নের উত্তরে তপন মণ্ডল গোয়েন্দাদের জানান, তিনি খিদিরপুরে তাঁর ক্লায়েন্টের কাছে গিয়েছিলেন । কিন্তু গোয়েন্দা সূত্রের খবর তপনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী তাঁর ফোনের ট্যাওয়ার লোকেশন মিলছে না । এখানেই একটি মিসিংলিংক তৈরি হয়েছে গোয়েন্দাদের কাছে ।
সোমবার সন্ধ্যায় বেসরকারী ব্যাঙ্কের কর্মী তপন মণ্ডল কাজ থেকে বাড়ি ফিরে দেখেন ফ্ল্যাটে খুন হয়েছেন স্ত্রী এবং ছেলে ৷ স্কুল শিক্ষিকা স্ত্রী সুস্মিতা একটি ঘরে পড়ে রয়েছেন এবং অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়া ছেলে সমোজিৎ আর একটি ঘরে ৷ গোটা ঘটনা কখন-কীভাবে ঘটল তা টেরই পাননি প্রতিবেশীরাও ৷ খবর পেয়ে তৎক্ষণাৎ পুলিশ আসে ৷ পুলিশ তখনই অনুমান করে, পরিচিত কারোর হাতে খুন হয়েছেন মা-ছেলে ৷
আরও পড়ুন : Behala Murder : বেহালায় মা-ছেলের গলা কাটা দেহ উদ্ধার