ETV Bharat / city

রেলকর্মী-প্রোমোটার সাজিয়ে ব্যাঙ্ক প্রতারণা, ধৃত 2

মেসার্স নির্মাণ কনস্ট্রাকশনের তরফে খোলা হয় একটি অ্যাকাউন্ট । সেই অ্যাকাউন্টেই পাঠানো হয় টাকা । ঋণ পরিশোধের সময় আসতেই পুরো বিষয়টি পরিস্কার হতে শুরু করে ব্যাঙ্কের কর্মীদের কাছে । কারণ, ব্যাঙ্কের কাছে যে ফোন নাম্বার দেওয়া ছিল দুজনে সেগুলি কাজ করছিল না । তারপরেই ব্যাঙ্কের তরফে যাওয়া হয় গৃহঋণের সময় যে ঠিকানায় র কথা বলা হয়েছিল সেখানে । সেখানে কোন নির্মাণ কাজই হয়নি ।

রেলকর্মী-প্রোমোটার সাজিয়ে ব্যাঙ্ক প্রতারণা, ধৃত 2
রেলকর্মী-প্রোমোটার সাজিয়ে ব্যাঙ্ক প্রতারণা, ধৃত 2
author img

By

Published : Feb 19, 2020, 2:04 AM IST

কলকাতা, 19 ফেব্রুয়ারি: একজন সেজেছিল প্রোমোটার, অন্যজন রেলকর্মী । তৈরি করা হয়েছিল ভুয়ো কাগজপত্র । আর সেসব দেখিয়ে রাসবিহারীর একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখা থেকে নেওয়া হয় প্রায় 38 লাখ টাকা গৃহঋণ । ব্যাঙ্ক ম্যানেজার যখন বিষয়টি বুঝতে পারেন তখন দেরি হয়ে গেছে । পরে পুলিশের দ্বারস্থ হন তিনি । ব্যাঙ্কের অভিযোগের সূত্র ধরেই গ্রেপ্তার করা হল 2 প্রতারককে ।

পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার মাস্টারমাইন্ড সুব্রত মাইতি । ওই ব্যক্তি নিজেকে রেলকর্মী হিসেবে পরিচয় দিয়েছিল ব্যাঙ্কের কাছে । গৃহ ঋণ নেওয়ার সময় সে বলে, বজবজে পোস্টিং তাঁর। সেই হিসেবে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেন সুব্রত । তার মধ্যে ছিল দুই কর্মীর পরিচয় পত্র, বেতনের কাগজপত্র, প্যান কার্ড, আধার কার্ড সহ আরও অনেক কিছু । ঋণ দেওয়ার আগে ব্যাঙ্ক কর্মীরা বজবজে সরেজমিনে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে চান । তখন স্টেশনেই পাওয়া যায় সুব্রতকে । সেই সূত্রেই মেলে ব্যাঙ্ক ঋণ । সুব্রত বলেছিল, সে ফ্ল্যাট কিনেছে মেসার্স নির্মাণ কনস্ট্রাকশন থেকে । যার কর্ণধার শংকর হালদার। শংকর প্রোমোটিং সংস্থার ভুয়া কাগজপত্র জমা দেয় । মেসার্স নির্মাণ কনস্ট্রাকশনের তরফে খোলা হয় একটি অ্যাকাউন্ট । সেই অ্যাকাউন্টেই পাঠানো হয় টাকা । ঋণ পরিশোধের সময় আসতেই পুরো বিষয়টি পরিস্কার হতে শুরু করে ব্যাঙ্কের কর্মীদের কাছে । কারণ, ব্যাঙ্কের কাছে যে ফোন নাম্বার দেওয়া ছিল দুজনে সেগুলি কাজ করছিল না । তারপরেই ব্যাঙ্কের তরফে যাওয়া হয় গৃহঋণের সময় যে ঠিকানায় র কথা বলা হয়েছিল সেখানে । সেখানে কোন নির্মাণ কাজই হয়নি ।

ব্যাঙ্ক বুঝতে পারে এখানে কাজ করেছে একটি প্রতারণা চক্র । তারপরেই দেরি না করে পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয় ৷ তদন্তে নেমে পুলিশ কর্মীরা যান বজবজ রেলওয়ে স্টেশনে । সেখানে জানা যায়, সুব্রত নামে সেখানে কস্মিনকালেও কেউ কাজ করেনি । রেলে ভালোভাবে খোঁজখবর নিয়ে জানা যায় ওই নামে কোন রেলকর্মী নেই । এরপর ব্যাঙ্কে গৃহঋণের আবেদনের ছবি এবং তার মোবাইল নম্বরের সূত্র ধরে তদন্তের কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে শুরু করে পুলিশ । আর তাতেই এল সাফল্য । সুব্রত আদপে সাগরদ্বীপের বাসিন্দা । তিনি মল্লিকপুরের সবজির ব্যবসা করেন ৷ তাকে সেখান থেকেই পাকড়াও করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই সংকটের কথা জানতে পারে পুলিশ । শংকরের বাড়ি মল্লিকপুরে । সেই সূত্রেই দুজনের আলাপ । তারপর রীতিমতো নিখুঁত পরিকল্পনা করে ব্যাঙ্ক প্রতারণা । পুলিশ শংকরকেও গ্রেপ্তার করে । পুলিশ সূত্রে খবর, প্রতারণার টাকা এখনও পর্যন্ত উদ্ধার করা যায়নি । চেষ্টা চলছে।

কলকাতা, 19 ফেব্রুয়ারি: একজন সেজেছিল প্রোমোটার, অন্যজন রেলকর্মী । তৈরি করা হয়েছিল ভুয়ো কাগজপত্র । আর সেসব দেখিয়ে রাসবিহারীর একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখা থেকে নেওয়া হয় প্রায় 38 লাখ টাকা গৃহঋণ । ব্যাঙ্ক ম্যানেজার যখন বিষয়টি বুঝতে পারেন তখন দেরি হয়ে গেছে । পরে পুলিশের দ্বারস্থ হন তিনি । ব্যাঙ্কের অভিযোগের সূত্র ধরেই গ্রেপ্তার করা হল 2 প্রতারককে ।

পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার মাস্টারমাইন্ড সুব্রত মাইতি । ওই ব্যক্তি নিজেকে রেলকর্মী হিসেবে পরিচয় দিয়েছিল ব্যাঙ্কের কাছে । গৃহ ঋণ নেওয়ার সময় সে বলে, বজবজে পোস্টিং তাঁর। সেই হিসেবে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেন সুব্রত । তার মধ্যে ছিল দুই কর্মীর পরিচয় পত্র, বেতনের কাগজপত্র, প্যান কার্ড, আধার কার্ড সহ আরও অনেক কিছু । ঋণ দেওয়ার আগে ব্যাঙ্ক কর্মীরা বজবজে সরেজমিনে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে চান । তখন স্টেশনেই পাওয়া যায় সুব্রতকে । সেই সূত্রেই মেলে ব্যাঙ্ক ঋণ । সুব্রত বলেছিল, সে ফ্ল্যাট কিনেছে মেসার্স নির্মাণ কনস্ট্রাকশন থেকে । যার কর্ণধার শংকর হালদার। শংকর প্রোমোটিং সংস্থার ভুয়া কাগজপত্র জমা দেয় । মেসার্স নির্মাণ কনস্ট্রাকশনের তরফে খোলা হয় একটি অ্যাকাউন্ট । সেই অ্যাকাউন্টেই পাঠানো হয় টাকা । ঋণ পরিশোধের সময় আসতেই পুরো বিষয়টি পরিস্কার হতে শুরু করে ব্যাঙ্কের কর্মীদের কাছে । কারণ, ব্যাঙ্কের কাছে যে ফোন নাম্বার দেওয়া ছিল দুজনে সেগুলি কাজ করছিল না । তারপরেই ব্যাঙ্কের তরফে যাওয়া হয় গৃহঋণের সময় যে ঠিকানায় র কথা বলা হয়েছিল সেখানে । সেখানে কোন নির্মাণ কাজই হয়নি ।

ব্যাঙ্ক বুঝতে পারে এখানে কাজ করেছে একটি প্রতারণা চক্র । তারপরেই দেরি না করে পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয় ৷ তদন্তে নেমে পুলিশ কর্মীরা যান বজবজ রেলওয়ে স্টেশনে । সেখানে জানা যায়, সুব্রত নামে সেখানে কস্মিনকালেও কেউ কাজ করেনি । রেলে ভালোভাবে খোঁজখবর নিয়ে জানা যায় ওই নামে কোন রেলকর্মী নেই । এরপর ব্যাঙ্কে গৃহঋণের আবেদনের ছবি এবং তার মোবাইল নম্বরের সূত্র ধরে তদন্তের কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে শুরু করে পুলিশ । আর তাতেই এল সাফল্য । সুব্রত আদপে সাগরদ্বীপের বাসিন্দা । তিনি মল্লিকপুরের সবজির ব্যবসা করেন ৷ তাকে সেখান থেকেই পাকড়াও করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই সংকটের কথা জানতে পারে পুলিশ । শংকরের বাড়ি মল্লিকপুরে । সেই সূত্রেই দুজনের আলাপ । তারপর রীতিমতো নিখুঁত পরিকল্পনা করে ব্যাঙ্ক প্রতারণা । পুলিশ শংকরকেও গ্রেপ্তার করে । পুলিশ সূত্রে খবর, প্রতারণার টাকা এখনও পর্যন্ত উদ্ধার করা যায়নি । চেষ্টা চলছে।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.