কলকাতা, 5 ডিসেম্বর : তৃণমূল প্রসঙ্গে অন্য সুর অতীন ঘোষের গলায় । দলের অন্দরে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনায় তিনি যে কতটা মনোক্ষুণ্ণ তা আজ প্রকাশ্যে স্বীকার করে নেন । কুমোরটুলিতে অত্যাধুনিক অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা উদ্বোধন করেন কলকাতা পৌরনিগমের প্রশাসন মণ্ডলীর সদস্য ও প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ । সেই অনুষ্ঠান থেকে নিজের অবস্তানের কথা স্পষ্ট করেন তিনি ।
প্রকাশ্যে দল সম্পর্কে নিজের ক্ষোভের কথা স্বীকার করে নেন প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র । গতকাল তাঁর ক্ষোভের কথা জানিয়েছিলেন তিনি । এদিন সেই প্রসঙ্গে বলেন, "বহু ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে রাজনীতি করে চলেছি । মনের ভিতরে কিছু ক্ষোভ রয়েছে । আমার মনে হয়েছে আমি দলে অবহেলিত ও বঞ্চিত । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন যুব কংগ্রেসের সভাপতি ছিলেন তখন থেকে আমি জেনেরাল সেক্রেটারি ছিলাম । অজিত পাঁজার হাত ধরে আমি রাজনীতিতে এসেছি । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আন্দোলন করে বাংলা থেকে সিপিআইএম-কে উচ্ছেদ করেছি । আজ কিছু কিছু কারণে দলের মধ্যে যা ঘটছে তা আমার ভালো লাগছে না । কিন্তু আমি এখনও দলের দায়িত্ব পালন করে চলেছি ।" তিনি আরও বলেন, "আমার মুখ দিয়ে কিছু যন্ত্রণার কথা প্রকাশ পেয়েছিল । কিন্তু সে যন্ত্রণা কথা আমি সব সময় প্রকাশ করব না ।" দলের তরফে যে আঘাত তিনি পেয়েছেন তা সারতে সময় লাগবে বলে তিনি জানান ।
নতুন অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা সম্পর্কে অতীন ঘোষ বলেন, "কুমোরটুলিতে যেহেতু খড়-বাঁশ দিয়ে কাজ হয় তাই আগুন লেগে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থাকে । তাই 24 ঘণ্টা অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা খুবই প্রয়োজন ছিল কুমোরটুলি এলাকায় । কিন্তু মৃৎশিল্পীদের মধ্যে কয়েকজনের আজকে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকা প্রয়োজন ছিল । এই ব্যবস্থা মৃৎশিল্পীদের জন্য ।" কুমোরটুলিতে উন্নয়ন নিয়ে সমস্যা রয়েছে বলে তিনি জানান । অতীন ঘোষ বলেন, "বাম জমানায় যখন উন্নয়নের কাজ শুরু হয়েছিল, তখন রাজনীতির কারণে ঠিকমতো কাজ হয়নি এলাকায় । এর ফলে কুমোরটুলির মৃৎশিল্পীদের মধ্যে বেশ কয়েকটি গোষ্ঠী তৈরি হয়েছে । যদি কুমোরটুলিতে উন্নয়ন করতে হয় তাহলে কুমোরটুলি সবকটি গোষ্ঠীকে একসঙ্গে মিলিতভাবে । রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে । তবেই এলাকার উন্নয়ন সম্ভব ।"