ETV Bharat / city

গ্রিন পুলিশের চাকরি সামলে ট্র্যাকে প্রত্যাবর্তনের চ্যালেঞ্জ চন্দনের

author img

By

Published : Jun 24, 2021, 7:48 PM IST

দারিদ্র, চোট, প্যানডেমিক, কাজের চাপে পর্যুদস্ত চন্দন বাউড়ি ফিরতে চান চেনা ট্র্যাকে ৷ সতেরাটির বেশি পদকের দাবিদার এই অ্যাথেলেট এখন কাজ করছেন সিভিক ভলান্টিয়ার হিসাবে ৷ করোনার আগে পর্যন্তও অনুশীলন করছিলেন সোমা বিশ্বাসের কাছে ৷ তবে এখন তা বন্ধ রয়েছে ৷ তবে করোনা পরিস্থিতি মিটলেই ফিরতে চান সেই মাঠেই ৷

অ্য়াথেলেট চন্দন বাউড়ি
অ্য়াথেলেট চন্দন বাউড়ি

কলকাতা, 24 জুন : চোট সারিয়ে মাঠে ফিরে দুরন্ত পারফরম্যান্সের প্রশংসার গল্প আমাদের জানা । একাধিক উদাহরণ রয়েছে হাতের কাছেই । কিন্তু চোট সারিয়ে প্রত্যাবর্তনের গল্প যদি 'কাজের পাহাড়ে' হারিয়ে যেতে বসে, তখন প্রতিভার 'অপমৃত্যু' সঠিক শব্দগুচ্ছ । তবুও শেষ চেষ্টা দাঁতে দাঁত চেপে চলতে থাকে । বছর ছয়েক আগে যাঁকে ঘিরে পদকের স্বপ্ন আবর্তিত হতো, সেই চন্দন বাউড়ি আজ সিভিক ভলান্টিয়ার । হাওড়া ব্রিজের তলায় হাওড়া ট্রাফিক গার্ডের অধীনে গাড়ি নিয়ন্ত্রণ করেন ।

কয়েক বছর আগে হাঁটু, গোড়ালি, কুঁচকির চোট তাঁকে পৌনপৌনিকভাবে ট্র্যাক থেকে ছিটকে দিয়েছে । কিন্তু অদম্য চেষ্টাকে সম্বল করে সোনালি বিকেলে ফেরার চেষ্টায় রয়েছেন চন্দন । সেই প্রত্যাবর্তনের পথে অন্তরায় গ্রিন পুলিশের চাকরি এবং বর্তমান সময় । চারুচন্দ্র কলেজের ফিজিক্যাল এডুকেশন নিয়ে পড়া প্রথমবর্ষের এই ছাত্রকে বর্তমানে প্রতিদিন রাস্তায় দাঁড়িয়ে ডিউটি করতে হয় । আগে সপ্তাহে দিন তিনেক গেলেই চলত । কিন্তু কোভিড পরিস্থিতিতে বাড়তি ডিউটি করতে হচ্ছে । তার ওপর পোস্তার ভাঙা সেতু সরিয়ে ফেলার কাজ শুরু হওয়ায় রাস্তায় ট্রাফিকের চাপ বেড়েছে । ফলে প্রতিদিন যেতেই হচ্ছে । তার উপর দীর্ঘ সময় রাস্তায় দাঁড়িয়ে থেকে কাজ করতে হচ্ছে ৷ ফলে চোটের জায়গাগুলো প্রয়োজনীয় বিশ্রাম পাচ্ছে না । 'আগে দু-তিনদিন গেলেই হতো । এখন পরিস্থিতি এমন যে রোজ যেতে হচ্ছে । বারবার আবেদনেও রেহাই মিলছে না । কোভিড পরিস্থিতির কারণে এই অবস্থা । 9 হাজার টাকা মাসের শেষে পাই । না যেতে পারলে টাকা কাটা যায় । কেটেকুটে মাসের শেষে সাত-সাড়ে সাত হাজার টাকার বেশি হাতে পাই না,' অসহায় শোনাচ্ছিল চন্দনের গলা ।

অ্য়াথেলেট চন্দন বাউড়ি
ট্র্যাকে আপন ছন্দে চন্দন ৷

বাড়ি হুগলির তারকেশ্বরে । দারিদ্র নিত্যসঙ্গী । মা লোকের বাড়ি কাজ করে তাঁকে বড় করেছেন । এখন বয়স এবং শরীরের কারণে কাজ করতে পারেন না । চন্দনের উপার্জনেই সংসার চলে । দারিদ্র উপেক্ষা করেই কোচ রাজদীপ কারকের কড়া নজরদারিতে চন্দন বাউড়ি বাংলার অ্যাথলিট জগতে প্রতিভাবান নাম হিসাবে দ্রুত উঠে এসেছিলেন । অনুর্ধ্ব 16 এবং 18 বিভাগের চারশো মিটার দৌড়ে রাজ্য এবং জাতীয় পর্যায়ে রেকর্ড রয়েছে । অনুর্ধ্ব 20 বিভাগে জাতীয় মিট রেকর্ড করেছিলেন । এই বিভাগের রাজ্য রেকর্ড চন্দনের ঝুলিতে রয়েছে ।

যাকে ঘিরে আগামীর স্বপ্ন গড়ে উঠেছিল সেই চন্দন বাউড়ি কি দৌড় ছেড়ে দিলেন ? প্রশ্নটা শুনেই আঁতকে উঠলেন বছর কুড়ির তরুণ ৷ 'এখন সোমা বিশ্বাসের কাছে অনুশীলন করছি । ছেড়ে দেওয়ার একটা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল । 2016 সালে ভারতের অলিম্পিক্সের প্রস্তুতি শিবিরে চোট পেয়েছিলাম । পোলান্ডে শিবির হয়েছিল । চোটের চিকিৎসা করলেও সুস্থ হচ্ছিলাম না । হাঁটু এবং কুচকিতে চোট লেগেছিল । বাড়িতে ফিরে এসে চিকিৎসা করে সুস্থ হয়েছিলাম । 2018 সালে রাজ্য মিটে অংশ নিয়ে রেকর্ড সময় করে সোনা জিতেছিলাম । কিন্তু আবার ছিটকে যাই গোড়ালির চোটের কারণে । আমার ফ্ল্যাট ফুট । ফলে চোট লাগলে সারতে সময় নেয় । তবে এখন সুস্থ । অনুশীলন করছি । গত দেড় বছর তো সব কিছু বন্ধ । অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছি সুযোগের আশায়, 'বলছিলেন চন্দন । একটু থেমে ফের যোগ করলেন, 'চোট আঘাত খেলোয়াড়দের অঙ্গ । চোট সারিয়ে ফিরে আসা নতুন নয় । কিন্তু সুযোগ দরকার । এখন খেলা হচ্ছে না । এই অবস্থায় রাস্তায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে ডিউটি ক‍রতে হচ্ছে । অফিসে বসে কাজ হলেও ঠিক ছিল ৷ কঠিন পরিশ্রমের পরে এই ডিউটির চাপ সামলানো কঠিন । ভারসাম্যের চেষ্টা করছি বলতে পারেন । অফিস সাহায্য করে সাধ্যমতো । তাই হাল ছাড়ব না ।'

রাজ্য, জাতীয় এবং আর্ন্তজাতিক পর্যায় মিলিয়ে সতেরোটির বেশি পদক রয়েছে চন্দনের ঝুলিতে । কেরিয়ারগ্রাফ দেখলে চমকে উঠতে হয় । 2013 সালে মালয়েশিয়াতে স্কুল পর্যায়ের এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে (Asian Championship) প্রথম অংশ নিয়েছিলেন । 2015 সালে চিনের বেজিংয়ে বিশ্ব স্কুল চ্যাম্পিয়নশিপে (World Schools Championship) 400 মিটারে সাফল্য রয়েছে । ওই বছর ইয়ুথ কমনওয়েলথ গেমস (Commonwealth Youth Games) হয়েছিল নিউজিল্যান্ডের সামওয়া দ্বীপে । সেখানেও সাফল্য পেয়েছিলেন চন্দন । দুবাইয়ে জুনিয়র এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে (Junior Asian Championships) রূপো পেয়েছিলেন তিনি । 2016 সালে সাফ গেমসে (South Asian Games) ভারতের রিলে দল সোনা পেয়ছিল । সেই দলের সদস্য চন্দন । কলম্বিয়াতে ওপেন ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপে (The Open Championships) দশম হয়েছিলেন ।

অ্য়াথেলেট চন্দন বাউড়ি
ইতিমধ্যেই সতেরোটির বেশি পদক চন্দনের ঝুলিতে ।

চন্দনের ফিরে আসার কথা, অনুশীলন শুরু করার কথা জানেন রাজ্য অ্যাথলেটিক্স অ্যাসোসিয়েশনের সচিব কমল মৈত্র । গ্রিন পুলিশের চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে উদ্যোগী হয়েছিলেন তিনি । চোট সারিয়ে চন্দনের মতো প্রতিভাবান অ্যাথলিট ফিরে আসুক, প্রার্থনা তাঁর । চন্দনের বর্তমান কোচ সোমা বিশ্বাসও আশাবাদী । যেভাবে নিজেকে ফিরে পেতে অনুশীলনে মরিয়া মনোভাব চন্দনের মধ্যে দেখছেন তাতে ভাল কিছুর প্রত্যাশা তাঁর মনেও । সোমা বলেন, 'করোনার আগে ছ'মাস আমার কাছে অনুশীলন করেছিল । এখন তো সম্ভব নয় । ফোনে যোগাযোগ রয়েছে । চন্দনের বয়স ওর অনুকূলে । যেটুকু দেখেছি, আমার অভিজ্ঞতা বলে, ফিরে আসার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে । এই জন্য চন্দনের নিজের তাগিদটা জরুরি । এখন ওর যে প্র্যাকটিস না করতে পারার সমস্যা বিশ্বের সকলেরই এক সমস্যা । পরিস্থিতি হাতে নেই । তাই ওকে বলব চাকরির চাপ সামলে লক্ষ্য পূরণের ইচ্ছে বাঁচিয়ে রাখতে ৷'

চন্দন বাউড়ির পায়ের ছন্দে পদকের সংখ্যা বাড়ুক । প্রতিভার অপমৃত্যু নয়, ফিরে আসুক সোনালি বিকেল । তাই প্রত্যাবর্তনের চন্দনের লড়াই শেষ নয়, শুরু ।

আরও পড়ুন : বায়ার্ন মিউনিখের অনুশীলনে যাওয়া হচ্ছে না শুভ পালের

কলকাতা, 24 জুন : চোট সারিয়ে মাঠে ফিরে দুরন্ত পারফরম্যান্সের প্রশংসার গল্প আমাদের জানা । একাধিক উদাহরণ রয়েছে হাতের কাছেই । কিন্তু চোট সারিয়ে প্রত্যাবর্তনের গল্প যদি 'কাজের পাহাড়ে' হারিয়ে যেতে বসে, তখন প্রতিভার 'অপমৃত্যু' সঠিক শব্দগুচ্ছ । তবুও শেষ চেষ্টা দাঁতে দাঁত চেপে চলতে থাকে । বছর ছয়েক আগে যাঁকে ঘিরে পদকের স্বপ্ন আবর্তিত হতো, সেই চন্দন বাউড়ি আজ সিভিক ভলান্টিয়ার । হাওড়া ব্রিজের তলায় হাওড়া ট্রাফিক গার্ডের অধীনে গাড়ি নিয়ন্ত্রণ করেন ।

কয়েক বছর আগে হাঁটু, গোড়ালি, কুঁচকির চোট তাঁকে পৌনপৌনিকভাবে ট্র্যাক থেকে ছিটকে দিয়েছে । কিন্তু অদম্য চেষ্টাকে সম্বল করে সোনালি বিকেলে ফেরার চেষ্টায় রয়েছেন চন্দন । সেই প্রত্যাবর্তনের পথে অন্তরায় গ্রিন পুলিশের চাকরি এবং বর্তমান সময় । চারুচন্দ্র কলেজের ফিজিক্যাল এডুকেশন নিয়ে পড়া প্রথমবর্ষের এই ছাত্রকে বর্তমানে প্রতিদিন রাস্তায় দাঁড়িয়ে ডিউটি করতে হয় । আগে সপ্তাহে দিন তিনেক গেলেই চলত । কিন্তু কোভিড পরিস্থিতিতে বাড়তি ডিউটি করতে হচ্ছে । তার ওপর পোস্তার ভাঙা সেতু সরিয়ে ফেলার কাজ শুরু হওয়ায় রাস্তায় ট্রাফিকের চাপ বেড়েছে । ফলে প্রতিদিন যেতেই হচ্ছে । তার উপর দীর্ঘ সময় রাস্তায় দাঁড়িয়ে থেকে কাজ করতে হচ্ছে ৷ ফলে চোটের জায়গাগুলো প্রয়োজনীয় বিশ্রাম পাচ্ছে না । 'আগে দু-তিনদিন গেলেই হতো । এখন পরিস্থিতি এমন যে রোজ যেতে হচ্ছে । বারবার আবেদনেও রেহাই মিলছে না । কোভিড পরিস্থিতির কারণে এই অবস্থা । 9 হাজার টাকা মাসের শেষে পাই । না যেতে পারলে টাকা কাটা যায় । কেটেকুটে মাসের শেষে সাত-সাড়ে সাত হাজার টাকার বেশি হাতে পাই না,' অসহায় শোনাচ্ছিল চন্দনের গলা ।

অ্য়াথেলেট চন্দন বাউড়ি
ট্র্যাকে আপন ছন্দে চন্দন ৷

বাড়ি হুগলির তারকেশ্বরে । দারিদ্র নিত্যসঙ্গী । মা লোকের বাড়ি কাজ করে তাঁকে বড় করেছেন । এখন বয়স এবং শরীরের কারণে কাজ করতে পারেন না । চন্দনের উপার্জনেই সংসার চলে । দারিদ্র উপেক্ষা করেই কোচ রাজদীপ কারকের কড়া নজরদারিতে চন্দন বাউড়ি বাংলার অ্যাথলিট জগতে প্রতিভাবান নাম হিসাবে দ্রুত উঠে এসেছিলেন । অনুর্ধ্ব 16 এবং 18 বিভাগের চারশো মিটার দৌড়ে রাজ্য এবং জাতীয় পর্যায়ে রেকর্ড রয়েছে । অনুর্ধ্ব 20 বিভাগে জাতীয় মিট রেকর্ড করেছিলেন । এই বিভাগের রাজ্য রেকর্ড চন্দনের ঝুলিতে রয়েছে ।

যাকে ঘিরে আগামীর স্বপ্ন গড়ে উঠেছিল সেই চন্দন বাউড়ি কি দৌড় ছেড়ে দিলেন ? প্রশ্নটা শুনেই আঁতকে উঠলেন বছর কুড়ির তরুণ ৷ 'এখন সোমা বিশ্বাসের কাছে অনুশীলন করছি । ছেড়ে দেওয়ার একটা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল । 2016 সালে ভারতের অলিম্পিক্সের প্রস্তুতি শিবিরে চোট পেয়েছিলাম । পোলান্ডে শিবির হয়েছিল । চোটের চিকিৎসা করলেও সুস্থ হচ্ছিলাম না । হাঁটু এবং কুচকিতে চোট লেগেছিল । বাড়িতে ফিরে এসে চিকিৎসা করে সুস্থ হয়েছিলাম । 2018 সালে রাজ্য মিটে অংশ নিয়ে রেকর্ড সময় করে সোনা জিতেছিলাম । কিন্তু আবার ছিটকে যাই গোড়ালির চোটের কারণে । আমার ফ্ল্যাট ফুট । ফলে চোট লাগলে সারতে সময় নেয় । তবে এখন সুস্থ । অনুশীলন করছি । গত দেড় বছর তো সব কিছু বন্ধ । অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছি সুযোগের আশায়, 'বলছিলেন চন্দন । একটু থেমে ফের যোগ করলেন, 'চোট আঘাত খেলোয়াড়দের অঙ্গ । চোট সারিয়ে ফিরে আসা নতুন নয় । কিন্তু সুযোগ দরকার । এখন খেলা হচ্ছে না । এই অবস্থায় রাস্তায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে ডিউটি ক‍রতে হচ্ছে । অফিসে বসে কাজ হলেও ঠিক ছিল ৷ কঠিন পরিশ্রমের পরে এই ডিউটির চাপ সামলানো কঠিন । ভারসাম্যের চেষ্টা করছি বলতে পারেন । অফিস সাহায্য করে সাধ্যমতো । তাই হাল ছাড়ব না ।'

রাজ্য, জাতীয় এবং আর্ন্তজাতিক পর্যায় মিলিয়ে সতেরোটির বেশি পদক রয়েছে চন্দনের ঝুলিতে । কেরিয়ারগ্রাফ দেখলে চমকে উঠতে হয় । 2013 সালে মালয়েশিয়াতে স্কুল পর্যায়ের এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে (Asian Championship) প্রথম অংশ নিয়েছিলেন । 2015 সালে চিনের বেজিংয়ে বিশ্ব স্কুল চ্যাম্পিয়নশিপে (World Schools Championship) 400 মিটারে সাফল্য রয়েছে । ওই বছর ইয়ুথ কমনওয়েলথ গেমস (Commonwealth Youth Games) হয়েছিল নিউজিল্যান্ডের সামওয়া দ্বীপে । সেখানেও সাফল্য পেয়েছিলেন চন্দন । দুবাইয়ে জুনিয়র এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে (Junior Asian Championships) রূপো পেয়েছিলেন তিনি । 2016 সালে সাফ গেমসে (South Asian Games) ভারতের রিলে দল সোনা পেয়ছিল । সেই দলের সদস্য চন্দন । কলম্বিয়াতে ওপেন ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপে (The Open Championships) দশম হয়েছিলেন ।

অ্য়াথেলেট চন্দন বাউড়ি
ইতিমধ্যেই সতেরোটির বেশি পদক চন্দনের ঝুলিতে ।

চন্দনের ফিরে আসার কথা, অনুশীলন শুরু করার কথা জানেন রাজ্য অ্যাথলেটিক্স অ্যাসোসিয়েশনের সচিব কমল মৈত্র । গ্রিন পুলিশের চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে উদ্যোগী হয়েছিলেন তিনি । চোট সারিয়ে চন্দনের মতো প্রতিভাবান অ্যাথলিট ফিরে আসুক, প্রার্থনা তাঁর । চন্দনের বর্তমান কোচ সোমা বিশ্বাসও আশাবাদী । যেভাবে নিজেকে ফিরে পেতে অনুশীলনে মরিয়া মনোভাব চন্দনের মধ্যে দেখছেন তাতে ভাল কিছুর প্রত্যাশা তাঁর মনেও । সোমা বলেন, 'করোনার আগে ছ'মাস আমার কাছে অনুশীলন করেছিল । এখন তো সম্ভব নয় । ফোনে যোগাযোগ রয়েছে । চন্দনের বয়স ওর অনুকূলে । যেটুকু দেখেছি, আমার অভিজ্ঞতা বলে, ফিরে আসার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে । এই জন্য চন্দনের নিজের তাগিদটা জরুরি । এখন ওর যে প্র্যাকটিস না করতে পারার সমস্যা বিশ্বের সকলেরই এক সমস্যা । পরিস্থিতি হাতে নেই । তাই ওকে বলব চাকরির চাপ সামলে লক্ষ্য পূরণের ইচ্ছে বাঁচিয়ে রাখতে ৷'

চন্দন বাউড়ির পায়ের ছন্দে পদকের সংখ্যা বাড়ুক । প্রতিভার অপমৃত্যু নয়, ফিরে আসুক সোনালি বিকেল । তাই প্রত্যাবর্তনের চন্দনের লড়াই শেষ নয়, শুরু ।

আরও পড়ুন : বায়ার্ন মিউনিখের অনুশীলনে যাওয়া হচ্ছে না শুভ পালের

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.