কলকাতা, 29 ডিসেম্বর : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সম্প্রতি ঘোষণা করেছেন আগামী 3 জানুয়ারি থেকে দেশজুড়ে শুরু হবে 15 থেকে 18 বছর বয়সি কিশোরদের টিকাকরণ কর্মসূচি। কীভাবে চলবে সেই কর্মসূচি, সে সম্পর্কে একটা গাইডলাইন ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের তরফে দেওয়া হয়েছে রাজ্যকে। সেই নির্দেশিকা মেনেই শহরে 15-18 বয়সিদের টিকাকরণের চূড়ান্ত প্রস্তুতি চলছে কলকাতা পৌর নিগমের (as per Central guidelines preparations for 15 to 18 vaccination underway by KMC)। কলকাতার 144টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পাশাপাশি অস্থায়ী কয়েকটি মেগা সেন্টার তৈরি করে টিকাকরণের কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে বলে প্রাথমিক খবর ৷
কর্পোরেশন সূত্রে খবর, যেহেতু টিকাকরণের পরিকাঠামো আগে থেকেই রয়েছে, ফলে আলাদা করে পরিকল্পনার প্রয়োজন পড়ছে না। যেভাবে শহরে 18 ঊর্ধ্বদের টিকাকরণ হয়েছে ঠিক সেভাবেই 15-18 বছর বয়সিদেরও টিকাকরণ কর্মসূচি হবে। যদি কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে টিকাগ্রহণের ব্যাপারে অনীহা দেখা যায়, তাহলে বাড়ি-বাড়ি ঘুরে স্বাস্থ্যকর্মীরা অভিভাবকদের এ বিষয়ে অবগত করবেন। প্রয়োজনে লিফলেটও বিলি করা হবে।
10 জানুয়ারি থেকে ষাটোর্ধ্ব কোমর্বিডিটিদের, সঙ্গে ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কারদের তৃতীয় টিকা বা প্রিকশন ডোজ দেওয়া শুরু হচ্ছে। সে কারণে পুর-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চাপ পড়ার বিষয়ে আশঙ্কা করা হলেও এ নিয়ে খুব একটা উদ্বিগ্ন নন পুর-স্বাস্থ্যকর্তারা।
আরও পড়ুন : Covid Vaccination Update : প্রায় সাড়ে সাত কোটি 15-18 বছর বয়সী কোভ্যাকসিন পাবে, জানাল স্বাস্থ্য মন্ত্রক
চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের টিকাকরণের ক্ষেত্রে খুব একটা সমস্যা না হলেও অন্যান্য ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কার যেমন সাফাই কর্মী কিংবা পৌরনিগমের স্থায়ী-অস্থায়ী শ্রমিকদের টিকাকরণের ক্ষেত্রে প্রথমদিকে যথেষ্ট সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছিল। নানা অজুহাত এবং আতঙ্কে টিকা নিতে অনীহা দেখাচ্ছিলেন সিংহভাগ কর্মী। অনেক বুঝিয়ে টিকা দেওয়া হয়েছিল তাঁদের। এবার তৃতীয় টিকার সময়েও তেমন সমস্যা তৈরি হওয়ার আশঙ্কা করছেন আধিকারিকরা। তবে 15-18 বয়সিদের টিকাকারণ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে বলেই আশা তাদের।