ETV Bharat / city

পঞ্চসায়র ঘটনায় অবশেষে নির্যাতনের কথা স্বীকার করল ধৃত ট্যাক্সিচালক - নির্যাতনের কথা স্বীকার ধৃতের

সোমবার ঘটনার পুনর্নির্মাণ করার চেষ্টা করে তদন্তকারী আধিকারিকরা ৷ মঙ্গলবার যুবতিকে নির্যাতনের কথা স্বীকার করে ধৃত ট্যাক্সিচালক উত্তম রাম ৷

প্রতীকী
author img

By

Published : Nov 20, 2019, 6:11 AM IST

Updated : Nov 20, 2019, 6:42 AM IST

কলকাতা, 20 নভেম্বর : বারবার বয়ান বদল । তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চালিয়েই যাচ্ছিল ধৃত ট্যাক্সিচালক উত্তম রাম । সোমবার ঘটনার পুনর্নির্মাণ করানোর সময়েও সে স্বীকার করেনি নির্যাতনের কথা । কিন্তু মঙ্গলবার স্বীকার করে নিয়েছে । পুলিশের দাবি, উত্তম যা বলেছে তাতে ধর্ষণের বিষয়টি স্পষ্ট হচ্ছে ৷ ফলে পঞ্চসায়রে গণধর্ষণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৈরি হওয়া ধন্দ কেটে গেল অনেকটাই ।

তদন্তকারী অফিসার জানাচ্ছেন, উত্তম অপরাধের মানসিকতাতেই ছিল । সে কারণে নরেন্দ্রপুরের যেখানে এই ঘটনা ঘটেছে, সেখানকার CCTV এড়িয়ে যেতে চেয়েছে সে । আজ ফের তদন্তকারীরা ঘটনার পুনর্নির্মাণ করতে তাকে নিয়ে যায় ঘটনাস্থানে । আজ সে যে রুট দিয়ে নির্যাতিতাকে নিয়ে গেছিল তার স্পষ্ট বর্ণনা দেয় । ওই রাস্তার উপরেই আছে একটি ক্লাব । সেই ক্লাবে আছে CCTV ক্যামেরা । ওই CCTV-র ফুটেজ পেয়েছে পুলিশ । তবে তা ঘটনা ঘটিয়ে ফেরার সময়কার । তদন্তকারীদের মনে খটকা ছিল ৷ যাওয়ার সময়ের CCTV ফুটেজ পাওয়া গেল না কেন? আসলে উত্তম জানত ওই ক্লাবে CCTV ক্যামেরা আছে । আর তাই ক্লাবের পিছনের রাস্তা দিয়ে সে ঘুর পথে যায় । অনেক খানি ঘুরে দ্বিতীয় একটি সেতু দিয়ে পার হয় খাল তারপর ঘুরে আসে ওই ক্লাবের বিপরীত দিকের রাস্তায় । পুলিশের ধারণা, অপরাধের মানসিকতা ছিল তার । সে কারণেই এড়িয়ে যেতে চেয়েছিল CCTV ক্যামেরা ।

ঘটনায় আদৌ তৃতীয় ব্যক্তির উপস্থিতি ছিল কিনা তা অবশ্য এখনও পরিষ্কার নয় । তবে ক্লাবের পিছনের রাস্তা দিয়ে যাবার সময় চেনা কাউকে সে গাড়িতে তুলেছিল কিনা সেটি এখনও পরিষ্কার হয়নি । কারণ কঠিন প্রশ্ন পেলেই উত্তম মত্ত অবস্থার কথা বলে তা এড়িয়ে যাচ্ছে । তবে যে ভাবে বারবার বয়ান বদল করছে তাতে সে কতখানি মত্ত ছিল সে বিষয়েও পুলিশের সন্দেহ রয়েছে । লালবাজার সূত্রে খবর, ঘটনার সময় গাড়িতে উত্তম একাই ছিল বলে জেরায় জানিয়েছে সে । CCTV ফুটেজও একই কথা বলছে । দেখা যাচ্ছে গাড়ির সামনের সিটে বসেছিলেন নির্যাতিতা । তাঁকে নরেন্দ্রপুরের ঘটনাস্থানে নিয়ে গিয়ে গাড়ির মধ্যেই নির্যাতন করেছে বলে জানিয়েছে উত্তম ।

এ দিকে মঙ্গলবার গোপন নির্যাতিতার জবানবন্দি নেয়নি আলিপুর আদালত । নিয়মের জটিলতায় আটকে গেছে । আদালতের নির্দেশ বিশেষজ্ঞকে সঙ্গে নিয়ে নেওয়া হবে তাঁর গোপন জবানবন্দি । এ প্রসঙ্গে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান মুরলীধর শর্মা জানিয়েছেন, "আমরা এই প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করার চেষ্টা করছি ।"

কলকাতা, 20 নভেম্বর : বারবার বয়ান বদল । তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চালিয়েই যাচ্ছিল ধৃত ট্যাক্সিচালক উত্তম রাম । সোমবার ঘটনার পুনর্নির্মাণ করানোর সময়েও সে স্বীকার করেনি নির্যাতনের কথা । কিন্তু মঙ্গলবার স্বীকার করে নিয়েছে । পুলিশের দাবি, উত্তম যা বলেছে তাতে ধর্ষণের বিষয়টি স্পষ্ট হচ্ছে ৷ ফলে পঞ্চসায়রে গণধর্ষণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৈরি হওয়া ধন্দ কেটে গেল অনেকটাই ।

তদন্তকারী অফিসার জানাচ্ছেন, উত্তম অপরাধের মানসিকতাতেই ছিল । সে কারণে নরেন্দ্রপুরের যেখানে এই ঘটনা ঘটেছে, সেখানকার CCTV এড়িয়ে যেতে চেয়েছে সে । আজ ফের তদন্তকারীরা ঘটনার পুনর্নির্মাণ করতে তাকে নিয়ে যায় ঘটনাস্থানে । আজ সে যে রুট দিয়ে নির্যাতিতাকে নিয়ে গেছিল তার স্পষ্ট বর্ণনা দেয় । ওই রাস্তার উপরেই আছে একটি ক্লাব । সেই ক্লাবে আছে CCTV ক্যামেরা । ওই CCTV-র ফুটেজ পেয়েছে পুলিশ । তবে তা ঘটনা ঘটিয়ে ফেরার সময়কার । তদন্তকারীদের মনে খটকা ছিল ৷ যাওয়ার সময়ের CCTV ফুটেজ পাওয়া গেল না কেন? আসলে উত্তম জানত ওই ক্লাবে CCTV ক্যামেরা আছে । আর তাই ক্লাবের পিছনের রাস্তা দিয়ে সে ঘুর পথে যায় । অনেক খানি ঘুরে দ্বিতীয় একটি সেতু দিয়ে পার হয় খাল তারপর ঘুরে আসে ওই ক্লাবের বিপরীত দিকের রাস্তায় । পুলিশের ধারণা, অপরাধের মানসিকতা ছিল তার । সে কারণেই এড়িয়ে যেতে চেয়েছিল CCTV ক্যামেরা ।

ঘটনায় আদৌ তৃতীয় ব্যক্তির উপস্থিতি ছিল কিনা তা অবশ্য এখনও পরিষ্কার নয় । তবে ক্লাবের পিছনের রাস্তা দিয়ে যাবার সময় চেনা কাউকে সে গাড়িতে তুলেছিল কিনা সেটি এখনও পরিষ্কার হয়নি । কারণ কঠিন প্রশ্ন পেলেই উত্তম মত্ত অবস্থার কথা বলে তা এড়িয়ে যাচ্ছে । তবে যে ভাবে বারবার বয়ান বদল করছে তাতে সে কতখানি মত্ত ছিল সে বিষয়েও পুলিশের সন্দেহ রয়েছে । লালবাজার সূত্রে খবর, ঘটনার সময় গাড়িতে উত্তম একাই ছিল বলে জেরায় জানিয়েছে সে । CCTV ফুটেজও একই কথা বলছে । দেখা যাচ্ছে গাড়ির সামনের সিটে বসেছিলেন নির্যাতিতা । তাঁকে নরেন্দ্রপুরের ঘটনাস্থানে নিয়ে গিয়ে গাড়ির মধ্যেই নির্যাতন করেছে বলে জানিয়েছে উত্তম ।

এ দিকে মঙ্গলবার গোপন নির্যাতিতার জবানবন্দি নেয়নি আলিপুর আদালত । নিয়মের জটিলতায় আটকে গেছে । আদালতের নির্দেশ বিশেষজ্ঞকে সঙ্গে নিয়ে নেওয়া হবে তাঁর গোপন জবানবন্দি । এ প্রসঙ্গে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান মুরলীধর শর্মা জানিয়েছেন, "আমরা এই প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করার চেষ্টা করছি ।"

Intro:কলকাতা, 19 নভেম্বর: বারবার বয়ান বদল। তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চালিয়েই যাচ্ছে উত্তম রাম। গতকাল ঘটনার পুনর্নির্মাণ করানোর সময়েও সে স্বীকার করেনি নির্যাতনের কথা। কিন্তু আজ সে স্বীকার করেছে। পুলিশের দাবি, উত্তম যা বলেছে তা ধর্ষণের বিষয়টিকে প্রতিষ্ঠা করছে। ফলে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৈরি হওয়া ধন্দ কেটে গেল অনেকটাই। Body:তদন্তকারী অফিসার জানাচ্ছেন, উত্তম অপরাধের মানসিকতাতেই ছিল। সেই কারণে নরেন্দ্রপুরের যেখানে এই ঘটনা ঘটেছে, সেখানকার সিসিটিভি এড়িয়ে যেতে চেয়েছে সে। আজ ফের তদন্তকারীরা ঘটনার পুনর্নির্মাণ করতে কাকে নিয়ে যায় ঘটনাস্থলে। আজ সে যে রুট দিয়ে নির্যাতিতাকে নিয়ে গিয়েছিল তার স্পষ্ট বর্ণনা দেয়। ওই রাস্তার উপরেই আছে একটি ক্লাব। সেই ক্লাবে আছে সিসিটিভি ক্যামেরা। ওই সিসিটিভির ফুটেজ পুলিশ পেয়েছে। তবে তা ঘটনা ঘটিয়ে ফেরার সময়। তদন্তকারীদের মনে খটকা ছিল, যাওয়ার সময় এর সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়া গেল না কেন? আসলে উত্তম জানতো ওই ক্লাবে আছে সিসিটিভি ক্যামেরা। আর তাই ক্লাবের পিছনের রাস্তা দিয়ে সে নেয় ঘুর পথ। অনেক খানি ঘুরে দ্বিতীয় একটি সেতু দিয়ে পার হয় খাল তারপর ঘুরে আসে ওই ক্লাবের বিপরীত দিকের রাস্তায়। পুলিশের ধারণা, অপরাধের মানসিকতা ছিল তার। সেই কারণেই এড়িয়ে যেতে চেয়েছিল সিসিটিভি ক্যামেরা।
Conclusion:ঘটনায় আদৌ তৃতীয় ব্যক্তির উপস্থিতি ছিল কিনা তা অবশ্য এখনো পরিষ্কার নয়। তবে ক্লাব এর পিছনের রাস্তা দিয়ে যাবার সময় চেনা কাউকে সে গাড়িতে তুলেছিল কিনা সেটি এখনো পরিষ্কার হয়নি। কারণ কঠিন প্রশ্ন পেলেই উত্তম মদ্যপ অবস্থায় কথা বলে তা এড়িয়ে যাচ্ছে। তবে যেভাবে বারবার বয়ান বদল করছো উত্তম তাকে সে কতখানি মদ্যপ ছিল সে বিষয়েও পুলিশের সন্দেহ রয়েছে। লালবাজার সূত্রে খবর, ঘটনার সময় গাড়িতে উত্তম একাই ছিল বলে জেরায় জানিয়েছে সে। সিসিটিভি ফুটেজ ও সেই একই কথা বলছে। দেখা যাচ্ছে, গাড়ির সামনের সিটে বসেছিলেন নির্যাতিতা। তাকে নরেন্দ্রপুর এর ঘটনাস্থানে নিয়ে গিয়ে গাড়ির মধ্যেই নির্যাতন করেছে বলে জানিয়েছে উত্তম।

এদিকে আজ গোপন জবানবন্দির নেয়নি আলিপুর আদালত। নিয়মের জটিলতায় আটকে গেছে তা। আদালতের নির্দেশ বিশেষজ্ঞকে সঙ্গে নিয়ে নেওয়া হবে তার গোপন জবানবন্দি। এ প্রসঙ্গে মুরলীধর শর্মা জানিয়েছেন, “ আমরা এই প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করার চেষ্টা করছি।"



Last Updated : Nov 20, 2019, 6:42 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.