কলকাতা, 16 অগস্ট : ভারতীয় জনতা পার্টির পশ্চিমবঙ্গ বাঁচাও কর্মসূচি নিয়ে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হল শহর কলকাতায় ৷ মেয়ো রোডে গান্ধি মূর্তির পাদদেশে পুলিশ-কেন্দ্রীয় বাহিনীর ধস্তাধস্তির ঘটনাও ঘটে ৷ একাধিক বিজেপি নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ গ্রেফতার করা হয়েছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari), রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরীকেও (Debasree Chaudhuri) ৷ বিজেপির রাজ্য সভাপতির প্রতিক্রিয়া, "রাজ্যে স্বৈরাচারী সরকার চলছে ৷"
শহরের রানি রাসমণি রোডে এদিন ধর্না কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয় বিজেপির তরফে ৷ সেই মতো এদিন দুপুর একটা নাগাদ কর্মসূচি শুরুও করেন তাঁরা ৷ ধরনা শুরুর পরই কর্মীদের গ্রেফতার করে পুলিশ ৷
এরপর দু'টো নাগাদ রানি রাসমণি রোডের ধরনাস্থল থেকে কর্মীদের গ্রেফতারের প্রতিবাদে গান্ধি মূর্তি পাদদেশে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারীরা ৷ তাঁদের দাবি, দলীয় কর্মীদের অবৈধ ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ প্রতিবাদে তাঁরা সেখানে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন ৷
গান্ধি মূর্তির পাদদেশেও পুলিশ ফের বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের গ্রেফতার করতে এলে অশান্তির বাতাবরণ তৈরি হয় ৷ বিক্ষোভকারীদের টানা-হেঁছড়া শুরু করে পুলিশ ৷ সেই সময়ই শুভেন্দু-দিলীপের নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁদের আড়াল করে রাখলে তাঁদের সঙ্গে পুলিশের খানিক ধস্তাধস্তি বাধে ৷ তবে শেষ পর্যন্ত তাঁদের গ্রেফতার করে গাড়িতে তোলা হয় ৷
প্রথমে সায়ন্তন বসু, জয়প্রকাশ মজুমদার-সহ বিজেপি কর্মীদের বাসে তোলে পুলিশ ৷ শেষে দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারী, দেবশ্রী চৌধুরীদেরও গ্রেফতার করে লালবাজার সেন্ট্রাল লকআপে নিয়ে যায় পুলিশ ৷ বিজেপির দাবি, এদিন মোট 150 জন বিজেপি নেতা-কর্মী-সমর্থককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷
রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, "আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন কর্মসূচিতে পুলিশ লাঠি চালিয়েছে ৷ অবৈধ ভাবে গ্রেফতার করেছে কর্মীদের ৷ তাঁদের টেনে হিঁচড়ে গাড়িতে তোলা হয় ৷ রাজ্যে একটা স্বৈরাচারী সরকার চলছে ৷"
পুলিশের তরফে জানানো হচ্ছে, এদিন বিক্ষোভরত বিজেপি নেতাদের মহামারি আইনের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ পুলিশের বিরুদ্ধে বিজেপি কর্মীদের মুখে ধিক্কার স্লোগান শোনা যায় ৷ পুলিশকে উর্দি ছাড়ার কথা বলেন বিক্ষোভকারীরা ৷
আরও পড়ুন : Suvendu Adhikary: শুভেন্দুর নিরাপত্তার বিষয়ে কেন সক্রিয় নয় রাজ্য, হলফনামা চাইল হাইকোর্ট