কলকাতা, 6 মার্চ: বামপন্থী যুবরা আনিশ খানের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে রাস্তায় নেমেছে। সরব হয়েছেন একাধিক বামপন্থী নেতা। এবার সুর চড়াল প্রদেশ কংগ্রেস কমিটি। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী সাংবাদিক সম্মেলনে মুখমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় এবং শাসকদলকে কাঠগড়ায় তুলেছেন (Adhir Slams Mamata)। শনিবার দুপুরে আনিশের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে সমবেদনা জানান এবং পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে আসে রাজ্য কংগ্রেস নেতৃত্ব।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন,"আনিশের মৃত্যুতে বাংলা শোকার্ত। সারা বাংলার মানুষকে কষ্ট দিয়েছে। মানুষ জানতে চাইছে রহস্য কী। কিন্তু ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। লুকোচুরি খেলা চলছে। প্রতিবাদী বাংলার যুবককে হত্যার ঘটনা তৃণমূল সরকার যেভাবে ধামাচাপা দিচ্ছে তা লজ্জার। সবাইকে বোকা ভাবা হচ্ছে। পরিবারকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। খরিদ করারও চেষ্টা চলছে। সরকার সরাসরি যুক্ত। এর থেকে দোষীরা মুক্তি পাবে না। আমরা আদালতে বিচার চাইতে যাব। মানবাধিকার কমিশনে যাব। এটাই বাংলার তৃণমূলের আসল চেহারা। ভোটে মোদি-দিদি সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করে থাকেন। মুসলমান এলাকায় মমতা বন্দোপাধ্যায় বুঝিয়েছিলেন তিনি রক্ষা করবেন। কিন্তু এখন প্রশ্ন হল এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী নিশ্চুপ কেন? আমার প্রশ্ন ভোটের সময় মুসলমান, ভোট ফুরলেই জাহান্নাম।"
আরও পড়ুন: বাংলায় গণতন্ত্র নেই, তার প্রমাণ চিকিৎসকদের নির্বাচন, প্রতিক্রিয়া সুকান্তের
অতীতের উদাহরণ টেনে এনেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। খুচিয়ে তুলেছেন রিজওয়ানুর কাণ্ড। রিজওয়ানুরের সময় যাঁকে অভিযুক্ত করা হয়েছিল তাঁকেই কেন মুখ্যমন্ত্রী তদন্ত করতে দিয়েছেন তা নিয়ে প্রশ্নও তুলেছেন অধীর চৌধুরী। তদন্ত হবে না বলে সিট গঠন। এই পদক্ষেপকে কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না ৷ কে সরকারে আছে আর কে নেই সেটা বড় কথা নয় বলেও কটাক্ষ করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। "এই ঘটনা দেশের মানুষের সামনে রাজ্যের মুখ কলঙ্কিত করেছে। একজন হোমগার্ড, একজন সিভিক ভলান্টিয়ার এই কাজ করেছে কেউ বিশ্বাস করবে।" আন্দোলন চলবে ঘোষণা করে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি আরও বলেন,"আমরা মিছিল করব প্রকৃত হত্যাকারীকে গ্রেফতারের জন্য। আনিশের বাবা ভয় পায় না। প্রলোভিত হয় না। বিচার চাইছে। খুব খারাপ অবস্থা রাজ্যের। কী অপরাধ বিচার চাওয়া। মুখ্যমন্ত্রী গেলে কী আকাশ ভেঙে পড়ত।"