কলকাতা, 17 অগস্ট: ফের গরুপাচার (West Bengal Cattle Smuggling Case) নিয়ে সরব বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ তথা লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury) ৷ তাঁর অভিযোগ, মুর্শিদাবাদ জেলার সীমান্ত এলাকাগুলি-সহ পশ্চিমবঙ্গের সবক'টি সীমান্ত দিয়েই দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে গরুপাচার হয়ে আসছে ৷ সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে অধীর জানান, এ রাজ্যে গরু পাচারের রমরমা কারবার নিয়ে অনেক আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) তথ্য দিয়েছেন তিনি ৷ এমনকী, গরু পাচারের ভিডিয়োও হিন্দি ভাষায় 'ডাবিং' করে প্রধানমন্ত্রীকে বুঝিয়ে দিয়েছেন ৷
অধীরের দাবি, মুর্শিদাবাদের বেকার যুবকদের গরু পাচারের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে ৷ কাজের সুযোগ না থাকাতেই তাঁরা পাচারের সঙ্গে যুক্ত হতে বাধ্য হয়েছেন ৷ তাঁদের পাচারকারী বানিয়ে দেওয়া হয়েছে ৷ এখানে জাতীয় সড়কের উপর দিয়ে প্রকাশ্য়ে গরু নিয়ে যাওয়া হয় ৷ সবাই সব জানে ৷ হাইওয়ে দিয়ে গরুর পাল হাঁটিয়ে নিয়ে যায় পাচারকারীরা ৷ এসব কোনও নতুন ঘটনা নয় ৷ দক্ষিণে 24 পরগনা থেকে উত্তরে কোচবিহার পর্যন্ত সর্বত্রই গরু পাচারের কারবার চলে ৷ এতে সরকারের রাজস্ব ক্ষতি হয় ৷ কিন্তু, নির্দিষ্ট কিছু মানুষের পকেট ভর্তি হয় ৷ গোটা ঘটনায় রাজ্য সরকার ও প্রশাসনের প্রত্যক্ষ মদত রয়েছে বলেও আরও একবার অভিযোগ করেন অধীর ৷
আরও পড়ুন: Anubrata CBI Update বোলপুর পৌরসভার খালাসি থেকে কোটিপতি, সিবিআই স্ক্যানারে অনুব্রতর বিদ্যুৎ
অধীরের প্রস্তাব, সংশ্লিষ্ট প্রশাসন বিষয়গুলি খতিয়ে দেখুক ৷ কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা তদন্ত করে দেখুন, কারা দোষী ৷ তাঁরা চাইলেই দোষীদের চিহ্নিত করা সম্ভব হবে ৷ যেসব বেকার যুবকরা পাচারে যুক্ত রয়েছেন, তাঁরা যাতে ছোট ছোট ব্যবসা করে স্বনির্ভর হতে পারেন, তেমন প্রস্তাবও দেন অধীর ৷ তাঁর মতে, সীমান্ত এলাকাগুলিতে আরও বেশি করে হাট বা বাজার খোলা দরকার ৷ তাতে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে ৷
ওয়াকিবহাল মহলের বক্তব্য, অধীর আসলে গরু পাচারের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের (Mamata Banerjee) সরকারকেই কাঠগড়ায় তুলছেন ৷ আগেও বহুবার তিনি দাবি করেছেন, রাজ্য সরকার ও প্রশাসনের মদতেই সমস্ত ঘটনা ঘটেছে ৷ এমনকী, দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের 'আশীর্বাদধন্য' না হলে যে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) পক্ষেও গরু পাচারে মদত দেওয়া সম্ভব হত না, তেমন অভিযোগও করেছেন অধীর ৷ প্রসঙ্গত, গরু পাচারের তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই অনুব্রতকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই ৷ কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের নজরে রয়েছেন তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল-সহ আরও অনেকেই ৷ সিবিআই সূত্রে খবর, এঁরা সকলেই অনুব্রতর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ৷