কলকাতা, 10 জুন : বৃহস্পতিবার সকালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন কিংবদন্তি পরিচালক বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত ৷ মৃত্যুর সময় তাঁর বয়স হয়েছিল 77 বছর ৷ তাঁর মৃত্যুতে শোকোস্তব্ধ টলিউড ৷ বহু ছবি ও একাধিক তথ্যচিত্র করেছেন তিনি ৷ তাঁর ‘উত্তরা’ ছবিটির জন্য পরিচালক হিসবে জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন তিনি ৷
সেই ‘উত্তরা’ আর বুদ্ধদেব দাশগুপ্তর স্মৃতি রোমন্থন করতে গিয়ে অভিনেতা শংকর চক্রবর্তী বলেন, ‘‘আমি ওঁর তিনটি ছবিতে কাজ করেছি ৷ তবে উত্তরার কথা বলতে গেলে বলতে পারি, বলরামের চরিত্রে প্রথমে অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের অভিনয় করার কথা ছিল ৷ ছবিতে খুব ছোট করে চুল কাটতে হবে বলে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় তখন সেই ছবিটি করতে পারেননি।’’
শংকর বলেন, ‘‘আমাকে বলরামের চরিত্রে নেওয়া হবে শুনে আমি খুবই অবাক হয়ে গিয়েছিলাম ৷ তখন আমাকে বুদ্ধবাবু দু’টো কথা বলেছিলেন ৷ প্রথম, আমাকে খুব ছোট করে চুল কাটতে হবে ৷ আর দ্বিতীয় হল আমাকে কুস্তি শিখতে হবে ! ওই বয়সে কুস্তি শিখতে হবে শুনে আমি প্রথমটায় একটু ধন্ধে পড়লেও পরে আর কোনও অসুবিধা হয়নি ৷ প্রায় চার থেকে পাঁচ মাস আখড়ায় গিয়ে কুস্তি শিখেছিলাম ৷ পরের দিকে বেশ ভালোই কুস্তি লড়তে পারতাম। একবার কুস্তি লড়তে গিয়ে তাপস (তাপস পাল) খুব চোট পেয়েছিল ৷’’
বুদ্ধদেব দাশগুপ্তর জন্ম পুরুলিয়ার আনাড়া গ্রামে। তাই তাঁর ছবিতে বারবার উঠে এসেছে পুরুলিয়া ও সেখানকার মানুষের জীবনযাত্রা ৷ উত্তরা ছবিতেও তা দৃশ্যমান ৷
আরও পড়ুন : বুদ্ধদেব দাশগুপ্তের স্মৃতিচারণায় অভিনেতা ববি
অবশেষে শংকর বলেন, ‘‘একটা যুগের অবসান ঘটল ৷ শুধুমাত্র আমাদের দেশের নয়, আন্তর্জাতিক সিনেমার ক্ষেত্রেও ওঁর মৃত্যু এক অপূরণীয় ক্ষতি ৷ ওঁর সঙ্গে কাজ করে অনেক কিছু শিখেছি ৷ ছবি পরিচালনায় ওঁর দক্ষতা অসীম ৷ তিনি একেবারে অন্য ধারার ছবি করায় বিশ্বাস করতেন ৷ সোহিনী যেহেতু ওঁর সঙ্গে অনেকদিন কাজ করেছে, তাই আশা রাখি যে সেলুলয়েডে ওঁর পরিচালনার ম্যাজিক ও লেগাসি সোহিনী বজায় রাখবে ৷’’