কলকাতা, 22 অগস্ট: চলতি বছরের 21 জানুয়ারি ভর সন্ধ্যায় বেলেঘাটার সুরানা ইস্ট রোডের গীতাঞ্জলি আবাসনের তিনতলায় একটি ভয়াবহ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছিল (Kolkata Robbery Case)। সেই ঘটনার তদন্তে নামেন কলকাতা পুলিশের গুন্ডা দমন শাখার গোয়েন্দারা । এরপর তদন্ত নেমে কলকাতা পুলিশের গুন্ডা দমন শাখার আধিকারিকরা চন্দ্রনাথ মাহাত এবং রাজকুমার রায় নামে বিহারের দুই কুখ্যাত অভিযুক্তকে মুজফফরনগর থেকে গ্রেফতার করে । ট্রানজিট রিমান্ডে তাদের নিয়ে আসা হয় কলকাতায় (Kolkata police)। কিন্তু ধৃতদের মধ্যে রাজকুমার রায় সংশোধনাগারে থাকাকালীন শারীরিক অসুস্থতার কথা বলে ভর্তি হন শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে । এরপর নিরাপত্তার ফাঁকফোঁকর দেখে ঝোপ বুঝে কোপ মারে রাজকুমার । সোমনাথ পণ্ডিত হাসপাতাল থেকে রহস্যজনকভাবে ফেরার হয়ে যায় সে ৷ এরপরই তার খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযান ।
রাজকুমারের লোকেশন ট্র্যাক করে গোয়েন্দারা জানতে পারেন, সে নেপালে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে । দেখা যায়, রাজকুমার বিহারে এসেছে (Bihar police)। কিন্তু এখানেই গোটা ঘটনাটি বদলে যায় । বরাবর বিহারের বিভিন্ন এলাকায় একাধিক অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকা রাজকুমার রায়কে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দারা গ্রেফতার করার আগেই তাকে গ্রেফতার করে নেয় বিহার পুলিশ । বিহার পুলিশ সূত্রের খবর, বিহারের মোতিহারির গ্রামীণ ব্যাংকে ডাকাতির অভিযোগে তারা রাজকুমার রায়কে গ্রেফতার করে ।
আরও পড়ুন: কয়লাপাচার কাণ্ডে আজ দিল্লির ইডি দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা জ্ঞানবন্ত সিংয়ের
খবর পেয়ে কলকাতা পুলিশের গুন্ডা দমন শাখার বেশ কয়েকজন আধিকারিক বিহারের মোতিহারি এলাকায় যান । কিন্তু মোতিহারি পুলিশ রাজকুমার রায়কে কলকাতা পুলিশের হাতে তুলে না দিয়ে তাকে নিজেদের হেফাজতেই রাখে ৷ ফলে খালি হাতেই লালবাজারে ফিরে আসতে হয় গোয়েন্দাদের । কিন্তু পালাতে সিদ্ধহস্ত এই রাজকুমার রায় বিহার পুলিশের চোখেও ধুলো দেয় ।
আটই অগস্ট মোতিহারি জেলে পাঠানো হয় রাজকুমার রায়কে । তার উপর নজরদারির দায়িত্ব ছিল বেশ কয়েকজন কনস্টেবলের । এরপর 14 অগস্ট বেলা দুটোর সময় তার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কনস্টেবল ডিউটি পরিবর্তন করার সময় আচমকাই রাজকুমার রায় তার কোমরে পরানো দড়ি কেটে সেখান থেকে দৌড়ে পালিয়ে যায় । ফলে বর্তমানে রাজকুমার রায়কে ধরতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে কলকাতা পুলিশ এবং বিহার পুলিশ ।